চট্টগ্রাম বৃহষ্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪

সর্বশেষ:

ওয়াসার ২৭ হাজার গ্রাহক ৫ গুণ বেশি বিল দেন

অর্থ বিভাগের প্রতিবেদন

৩০ মে, ২০১৯ | ৩:১৪ পূর্বাহ্ণ

নির্ধারিত বিলের চেয়ে পাঁচ গুণ বেশি বিল দেন চট্টগ্রাম ওয়াসার প্রায় ২৭ হাজার গ্রাহক। গড় বিল পদ্ধতির কারণে এ সমস্যা তৈরি হয়েছে বলে ওয়াসার অর্থ বিভাগের এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে। সম্প্রতি অনুষ্ঠিত ওয়াসার ৫১তম বোর্ড সভায় এ সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন দেয় অর্থ বিভাগ।
ওয়াসার অর্থ বিভাগের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা জানান, গড় বিলের কারণে প্রায় ২৭ হাজার গ্রাহক অতিরিক্ত বিল দেন। যার কারণে সিস্টেম লসের (রাজস্ব বহির্ভূত পানি) পরিমাণ কম। নয়তো সিস্টেম লস আরও বাড়তো। তিনি জানান, দীর্ঘদিন পানি পাচ্ছে না এমন ১৬৫ জন গ্রাহককে
নিয়মিত বিল দেওয়া হচ্ছে ওয়াসা থেকে। এসব গ্রাহকের বকেয়া ১৭ লাখ টাকার বেশি। এ ছাড়া প্রায় দেড় হাজার গ্রাহক দীর্ঘদিন বিল পরিশোধ করছেন না।
ওয়াসার বোর্ড সদস্য জাফর আহমেদ সাদেক বলেন, ২৭ হাজার গ্রাহক কয়েকগুণ অতিরিক্ত বিল দেন; এমন একটি প্রতিবেদন অর্থ বিভাগ দিয়েছে। এরপর কয়েকজন বোর্ড সদস্য প্রতিবাদ জানান। ‘পরে এটি নিয়ে বোর্ড সভায় আলোচনায় হয়। অর্থ বিভাগের দাবি, গড় বিল ও মিটার সমস্যার কারণে এমনটা হচ্ছে। পাশাপাশি ১৬৩ তম বোর্ড সভায় ন্যুনতম বিলের ব্যাপারে যে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে, সেটির কারণে এ সমস্যা দেখা দিয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘বোর্ড সদস্যরা অতিরিক্ত বিলের বিষয়টি নিয়ে আপত্তি তুললে এসব সমস্যা সমাধানে একটি কমিটি গঠন করা হয়। কমিটিকে আগামী বোর্ড সভায় প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। আশা করি এ ধরনের সমস্যা থেকে শিগগির গ্রাহকেরা মুক্তি পাবেন।’
ওয়াসার উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক (অর্থ) মোহাম্মদ নুরুল আলম চৌধুরী বলেন, অতিরিক্ত বিল নিয়ে একটি প্রতিবেদন দেওয়া হয়েছে। সেটি নিয়ে আলোচনার পর বোর্ড সভায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
জানতে চাইলে কনজ্যুমারস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সহ-সভাপতি এসএম নাজের হোসাইন বলেন, গ্রাহক ৫ ইউনিট ব্যবহার করে ৩০ ইউনিটের বিল দিচ্ছেন। সেই সুযোগে ওয়াসা গ্রাহকের লাখ লাখ টাকা পকেটে ঢুকাচ্ছে। এটি মারাত্মক অন্যায়। ‘মিটার রিডাররা পরিদর্শনে না গিয়ে বেশিরভাগ সময় গড় বিল করছে। তদারকি না থাকায় এ ধরনের সমস্যা হচ্ছে।’
গড় বিলের বিষয়টি নিশ্চিত করে ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) একেএম ফজলুলাহ বলেন, গড় বিলের কারণে কিছু গ্রাহক কম পানি ব্যবহার করে বেশি বিল দিচ্ছেন। আবার অনেকে বেশি পানি ব্যবহার করে কম বিল দিচ্ছেন। এসব সমস্যা নিয়ে সম্প্রতি অনুষ্ঠিত বোর্ড সভায় আলোচনা হয়েছে। এগুলো সমাধানে কমিটিও গঠন করা হয়েছে।
এদিকে বোর্ড সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ভুতুড়ে বিল, পানি অপচয়সহ গ্রাহক ভোগান্তি তদন্তে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে।
কমিটিতে বোর্ড সদস্য জাফর আহমেদ সাদেককে প্রধান করে ও উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক (অর্থ) মোহাম্মদ নুরুল আলম চৌধুরী এবং প্রধান প্রকৌশলী ইয়াকুব সিরাজদ্দৌলাকে সদস্য করা হয়েছে। -খবর বাংলানিউজ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট