কক্সবাজরের রামু উপজেলার দক্ষিণ মিঠাছড়ি ঘাট এলাকায় বাঁকখালী নদীতে গরু নিয়ে পারাপারের সময় নিখোঁজ রামুর এক স্কুলছাত্র ও অপর প্রবাসীকে উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল বুধবার দুপুর পৌনে ১২টার দিকে বাঁকখালী নদী পারাপারকালে এ ঘটনা ঘটে। নিখোঁজ হওয়া প্রবাসী আমির হোসাইন (২৫)। স্কুল ছাত্র মো. সাহেদ (১৫) দক্ষিণ মিঠাছড়ি উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী। তাদের বাড়ি রামু মিঠাছড়ি ইউনিয়নের দক্ষিণ পাড়া গ্রামে। রামু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ আবুল মনসুর বাঁকখালী নদীতে নিখোঁজ দুজনের লাশ উদ্ধারের

বিষয় নিশ্চিত করেছেন। স্থানীয়রা জানান, বুধবার দুপুরের দিকে বাঁকখালী নদীর মিঠাছড়িঘাট পয়েন্ট দিয়ে গরু পারাপার করতে নেমে নিখোঁজ হন মিঠাছড়ি দক্ষিণ পাড়ার গুরা মিয়ার পুত্র প্রবাসী আমির হোসাইন (২৫) এবং একই এলাকার সুলতান আহমদের পুত্র স্কুলছাত্র মো. সাহেদ (১৫)। স্থানীয় বাসিন্দা মোহাম্মদ সায়েদ জানান, গরু পার করতে গিয়ে নদীর অধিকাংশ পার হওয়ার পর পরেই দুজন ডুবে যেতে থাকে। এ সময় গরু নদী পার হয়ে গেলেও তারা পানিতে ডুবে যায়। নিখোঁজের পর দ্রুত ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরী দল ও স্থানীয়রা উদ্ধার কার্যক্রম শুরু করে। এর মধ্যে বেলা ২টার দিকে আমির হোসাইন ও ৪ টার দিকে মো. সাহেদের মৃতদেহ নদীর ওই পয়েন্ট থেকে উদ্ধার করেন ডুবুরীরা।
কক্সবাজার দমকল বাহিনীর টিম লিডার ওবাইদুল জানান, বেলা ১২টার দিকে দক্ষিণ মিঠাছড়ির ওপার থেকে গরু নিয়ে বাঁকখালী নদী পার হয়ে খরুলিয়া ঘাটে আসছিলেন আমির হোছাইন ও সাহেদ। এ সময় গরু নদী পার হয়ে গেলেও তারা পানিতে ডুবে যায়। অনেক খোঁজাখুঁজির পর বেলা ২ দিকে আমির হোসাইনের এবং বিকেল ৪ টার দিকে স্কুলছাত্র সাহেদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
দক্ষিণ মিঠাছড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইউনুছ ভুট্টো জানান, উদ্ধারের পর মৃতদেহ দুটি পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা প্রণয় চাকমা ও রামু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল মনছুর, দক্ষিণ মিঠাছড়ি চেয়ারম্যান ইউনুচ ভূট্টো। এদিকে রাত ৯ টায় দক্ষিণ মিঠাছড়ি স্টেশন জামে মসজিদ মাঠে নিহত ২ জনের নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।