চট্টগ্রাম বৃহষ্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

চাঁদাবাজির অভিযোগে বান্দরবানে বিএনপির সহ সভাপতি বহিষ্কার

নিজস্ব সংবাদদাতা , বান্দরবান

৩০ মে, ২০১৯ | ৩:১১ পূর্বাহ্ণ

সংগঠনের নাম ব্যবহার করে চাঁদা নেওয়ার অভিযোগ এনে বান্দরবান জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি মুজিবুর রশীদকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব এডভোকেট রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক পত্রে এই বহিষ্কারের কথা জানানো হয়। গতকাল বুধবার কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে বহিষ্কারাদেশের কপি বান্দরবান জেলা বিএনপির কাছে পৌঁছেছে। দলীয় শৃঙ্খলা বিরোধী কর্মকা-ে জড়িত থাকায় গঠনতন্ত্রের ৫ এর গ-ধারা অনুযায়ী বিএনপি নেতা মুজিবুর রশীদকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে বলে আদেশে জানানো হয়। বর্তমান জেলা বিএনপির আংশিক কমিটির সহ-সভাপতি ছিলেন মুজিবুর রশীদ। তবে তিনি বান্দরবান জেলা বিএনপির সাচিং প্রু জেরী গ্রুপের নেতা। দীর্ঘদিন থেকে বান্দরবান জেলা বিএনপিতে রাজ পুত্রবধূ মাম্যাচিং ও রাজপুত্র সাচিং গ্রুপের মধ্যে নেতৃত্বের দ্বন্দ্ব চলে আসছে। তবে মুজিবুর রশীদ এই দ্বন্দ্বের শিকার বলে তিনি জানিয়েছেন। তিনি জানান তার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে তা মিথ্যা। মাম্যাচিং গ্রুপের নেতারা ষড়যন্ত্রমূলকভাবে অর্থের মাধ্যমে এই বহিষ্কারাদেশ করিয়েছেন। তিনি কখনোই সংগঠনের নামে চাঁদাবাজির সাথে জড়িত ছিলেন না বলে জানিয়েছেন। তবে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জাবেদ রেজা জানান শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের কাছে মুজিবুর রশীদ লিখিতভাবে আর্থিক সহায়তা চেয়েছেন। তিনি এসব টাকা সংগঠনের জন্য ব্যয় না করে নিজে আত্মসাৎ করেছেন। এ বিষয়ে সুস্পষ্ট প্রমাণ সাপেক্ষে কেন্দ্র বহিষ্কারাদেশের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এদিকে হঠাৎ করে সাচিং প্রু জেরী গ্রুপের নেতা মুজিবুর রশীদকে সংগঠন থেকে প্রাথমিক সদস্যপদ সহ বহিষ্কার করায় ওই গ্রুপের নেতাকর্মীদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। অন্যদিকে, মাম্যাচিং গ্রুপের নেতাকর্মীরা কেন্দ্রের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন। উল্লেখ্য, ২০১৭ সালে সাবেক মহিলা সংসদ সদস্য মাম্যাচিংকে সভাপতি ও জাবেদ রেজাকে সাধারণ সম্পাদক করে ২১ সদস্য বিশিষ্ট জেলা বিএনপির কমিটি গঠন করা হয়। এ কমিটি ঘোষণার পর সাচিং প্রু জেরী পক্ষের ১৬ নেতা পদত্যাগ করেন। এদের মধ্যে মুজিবুর রশীদও ছিলেন।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট