চট্টগ্রাম শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪

৩৯ নম্বর দক্ষিণ হালিশহর ওয়ার্ড

ফুটপাতেও জমে উঠেছে ঈদবাজার

নিজস্ব প্রতিবেদক

২৯ মে, ২০১৯ | ২:০৩ পূর্বাহ্ণ

ঈদ মানেই বাড়তি খুশি। আর এই খুশির মাত্রা আরো বাড়িয়ে দেয় নতুন পোশাক। তাইতো প্রতিবার ঈদ আসলেই নতুন পোশাক কেনার ধূম পড়ে যায় মার্কেটগুলোতে। তবে মার্কেটে গিয়ে শপিং করার সাধ থাকলেও সাধ্য থাকে না সবার। তাই বলে থেমে নেয় বাজার ঘুরে তাদের সাধ্যের মধ্যে সাধ পূরণ করার চেষ্টা। নি¤œ আয়ের মানুষগুলো নামিদামি মার্কেটগুলোতে যেতে না পারলেও ফুটপাতে বসা দোকানগুলো থেকেই সারছেন তাদের ঈদের কেনাকাটা। তাইতো রমজানের শেষ দিকে এসে জমে উঠেছে নগরীর প্রতিটি মোড়ের ফুটপাতের ঈদবাজার।
নেইল পলিশ থেকে চুল বাঁধার ফিতা, জুতা থেকে জামা আর শাড়ি থেকে লুঙ্গি। কি নেই এই বাজারে। এ যেন একের ভিতর সব। তাইতো রাস্তার ফুটপাত দখল করে লাইন ধরে বসা এ দোকানগুলেতে ভিড় জমিয়েছে ক্রেতারা। কিনছে সাধ্যের মধ্যে পছন্দের পোশাকটি।
গতকাল নগরীর ইপিজেড থানাধীন বন্দরটিলা মোড়ের ফুটপাতে বসা দোকানগুলোতে গিয়ে দেখা যায়, সব বয়সি নারী-পুরষের জন্য রং-বেরংয়ের বিভিন্ন ডিজাইনের জামা-কাপড়ে সেজেছে দোকানগুলো। যেখানে ক্রয় করতে আসা বেশিরভাগ ক্রেতাই গার্মেন্টস শ্রমিক।
এ সময় বিকাল ৪টার দিকে কথা হয় ছেলের জন্য পাঞ্জাবি কিনতে আসা জহিরুল ইসলাম নামে এক বাবার সাথে। তিনি প্রতিবেদককে বলেন, ‘আমার ছেলে ক্লাস ফোরে পড়ে। চিন্তা করেছি আজ অফিস থেকে বাসায় ফিরে যাওয়ার পথে ওর জন্য একটা পাঞ্জাবি কিনে নিয়ে যাবো।
আজ (গতকাল) ২২ রমজান শেষ, এখনো পরিবারের কারো জন্য শপিং করা হয়নি। গত বৃহস্পতিবার বোনাস পেয়ে বাড়ির সবার জন্য কেনাকাটা করেছি। এখন নিজেদের জন্য করবো। তাই এখানে একটা পাঞ্জাবি দেখে পছন্দ হলো। ভাবলাম ছেলের জন্য নিয়ে যাই। দাম কম কিন্তু দোকানদারা জোট বেধে একটু বেশি দাবি করে।
পাঞ্জাবিটার দাম ৫০০ টাকা বলেছে। আমি ৩০০ বলেছি। যদি এই দামে কিনতে না পারি তাহলে ছেলে আর তার মাকে নিয়ে ইফতারের পর আবার বের হবো’।
দোকানদার আব্দুল্লাহ আল সাঈদ জানান, ‘ঈদ উপলক্ষে ভালো বেচা-কেনা হচ্ছে। প্রতিদিন প্রায় ৮ থেকে ১০ হাজার টাকা বিক্রি করছি। এখানে আসা ক্রেতারা বেশিরভাগই নি¤œ আয়ের মানুষ। তারা কম দামের মধ্যে পছন্দনীয় পণ্য ক্রয় করতে চায়। আমরা তাদের সে চাহিদা পূরণ করতে পারছি। তাছাড়া প্রতিবছর ২০ রমজানের পর থেকে এখানে প্রচুর বেচা-কেনা হয়। কারণ তখন গামের্ন্টসগুলোতে ঈদ বোনাস দেয়। আর বোনাসের সাথে সাথে আমাদের বেচা-কেনাও বাড়ে। কেননা, এই অঞ্চলে বসবাসরত বেশিরভাগই গার্মেন্টস শ্রমিক’।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট