চট্টগ্রাম শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪

হালদায় নমুনা ডিম ছেড়েছে মা মাছ

পূর্বকোণ ডেস্ক

২৫ মে, ২০১৯ | ২:৪০ অপরাহ্ণ

এশিয়ার একমাত্র প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন ক্ষেত্র হালদা নদীতে মা মাছ নমুনা ডিম ছেড়েছে। আজ শনিবার (২৫ মে) ভোর থেকে ডিম আহরণকারীরা ডিম সংগ্রহ করছেন।

মৎস্য বিশেষজ্ঞদের মতে, মূল ডিম ছাড়ার আগে পরিবেশ ও পারিপার্শ্বিকতা যাচাইয়ের জন্য নমুনা ডিম ছাড়ে মা মাছ। পরে পরিবেশ অনুকূল তথা নিরাপদ মনে হলে মা মাছ। মূল ডিম ছাড়ে

শুক্রবার (২৪ মে) সন্ধ্যার পর থেকে বজ্রসহ প্রবল বর্ষণ শুরু হলে ডিম সংগ্রহের সরঞ্জাম নিয়ে নদীর পাড়ে অবস্থান নেন ডিম আহরণকারীরা। বর্ষণের ফলে হালদার সঙ্গে সংযুক্ত খাল, ছড়া ও নদীতে ঢলের সৃষ্টি হয়।

সাধারণত, চৈত্র ও বৈশাখ মাসে প্রবল বর্ষণ হলে মা মাছ ডিম ছাড়ে। কিন্তু এবার বৃষ্টির পরিমাণ কম থাকায় ঢলের প্রকোপ হয়নি। বৈশাখ মাসের মাঝামাঝিতে নদীতে মা মাছ নগণ্য পরিমাণ ডিম ছেড়েছিল। মা মাছ সাধারণত অমাবস্যা, অষ্টমী ও পূর্ণিমা তিথিতে নদীতে ডিম ছাড়ে।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এবার নিয়মিত অভিযান চালিয়ে মা মাছ সংরক্ষণ, ডিম থেকে রেণু তৈরির কুয়া সংস্কার, কুয়ায় নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের ব্যবস্থাসহ নানা উদ্যোগের কারণে হালদায় ডিম সংগ্রহের পরিমাণ এবার অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে যেতে পারে।

প্রসঙ্গতঃ হালদা থেকে ২০১৮ সালে ২২ হাজার ৬৮০ কেজি, ২০১৭ সালে ১ হাজার ৬৮০ কেজি, ২০১৬ সালে ৭৩৫ (নমুনা ডিম) কেজি, ২০১৫ সালে ২ হাজার ৮০০ কেজি এবং ২০১৪ সালে ১৬ হাজার ৫০০ কেজি ডিম সংগ্রহ করা হয়।

হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রুহুল আমিন জানান, দেশের একমাত্র প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন ক্ষেত্র হালদা। এটি আমাদের জাতীয় সম্পদ। এ কারণে ইউএনও হিসেবে দায়িত্ব পাওয়ার পরপরই হালদাকে গুরুত্ব দিয়ে নানা উদ্যোগ নিই।

তিনি বলেন, ডিম সংগ্রহকারীরা যাতে ভালো ডিম সংগ্রহ করতে পারেন এজন্য মা মাছ সংরক্ষণের উপর জোর দিই। ইঞ্জিন চালিত নৌকা জব্দ, নিষিদ্ধ জাল ধ্বংসসহ হালদার দূষণ কমাতে নিয়মিত অভিযান চালাই। ডিম থেকে রেণু তৈরির কুয়াগুলো সংস্কারের উদ্যোগ নিই। নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুতের ব্যবস্থা করি।

এবার হালদার মা মাছ রক্ষায় গত কয়েক মাসে ব্যাপক অভিযান চালিয়েছে উপজেলা প্রশাসন। মাছের ডিম থেকে রেণু তৈরির কুয়াগুলো সংস্কারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। সব মিলিয়ে এবার রেকর্ড ডিম সংগ্রহে আশা করা হচ্ছে।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট