চট্টগ্রাম শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

স্বস্তির বর্ষণে জলাবদ্ধতায় নগরী

নিজস্ব প্রতিবেদক, ছবি- শরিফ চৌধুরী

২৫ মে, ২০১৯ | ১২:৪২ পূর্বাহ্ণ

তাবদাহের পর গতকাল শুক্রবার সকালে মাঝারী, সন্ধ্যায় হাল্কা বৃষ্টি এবং রাত সাড়ে ৭ টা থেকে ৯ টা পর্যন্ত দেড় ঘণ্টার ভারি বর্ষণে নগরীর বিভিন্ন এলাকা পানিতে ডুবে যায়। এতে নগরীর জনজীবন প্রায় বিপর্যয় হয়ে পড়ে।
স্বস্তির মাঝে এমন আচমকা বৃষ্টির কারণে সড়কে পথচারী ও যানবাহন চলাচলও কমে যায়। এক প্রকার সন্ধ্যার পর থেকেই ফাঁকা হয়ে পড়ে নগরী। সেই সঙ্গে কিছুটা শীত শীত অনুভূতিও ছিল ।
গতকাল শুক্রবার ইফতারের পর থেকে প্রায় দুইঘণ্টা পর্যন্ত টানা বৃষ্টি হয়। বৃষ্টির পানিতে নগরীর চারদিকে থইথই হয়ে পড়ে। একেতো বৃষ্টির পানিতে জলবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। তার সাথে ওয়াসার রাস্তা খোড়াখুড়িতে ছোট বড় গর্তে পানি জমে চলাফেরায় ভোগান্তি আরো দুর্ভোগ বাড়িয়েছে নগরবাসীর।

পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিস থেকে বলা হয়, গতকাল শুক্রবার ২৪ ঘণ্টায় ৩৫.৬ মিলি মিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। তারমধ্যে সন্ধ্যা ৬টা থেকে ৯টা পর্যন্তই ১৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়।
সকালের পর থেকে আকাশ কিছুটা মেঘলা থাকলেও দুপুরের পর থেকে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি হয়। কিন্তু ইফতারের পর থেকে হঠাৎ টানা বৃষ্টিতে নগরীর রাস্তায় হাঁটু পানি জমে পড়ে। যার কারণে সড়কে যানবাহন চলাচলও থমকে গিয়ে সাধারণ মানুষের ভোগান্তির মাত্রা বাড়িয়ে দেয়।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, হঠাৎ এ বৃষ্টির পানির কারণে নগরীর আগ্রাবাদ, শান্তিবাগ, বেপারী পাড়া, চকবাজার ডিসি রোড, বহদ্দারহাট, বাদুরতলা, কাপাসগোলা, প্রবর্তক মোড় ও দুই নম্বর গেট, মুরাদপুর, জিইসি, পাঁচলাইশ, পাঠানটুলী, খাতুনগঞ্জসহ নিচু এলাকার কিছু অংশে পানিবন্দী হয়ে পড়ে লোকজন। কয়েকটি স্থানে পানি নেমে গেলেও অধিকাংশ স্থানে নালা ভরাট থাকায় জমে ছিলো সৃষ্ট বৃষ্টির পানি। এতে করে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয় নগরবাসীর।
অন্যদিকে, ঈদের কেনাকাটায় অনেকটাই ভাটা পড়ে মার্কেটগুলোতে। ব্যবসায়ীরা জানান, বৃষ্টির কারণে মার্কেটে ক্রেতার সংখ্যা কম হওয়ায় তুলনামূলক ব্যবসা-বাণিজ্য অনদিনের চেয়ে কম হয়েছে। আবার যারা মার্কেটে কেনাকাটার জন্য অবস্থান করেছিলেন তাদের পড়তে হয়েছে দুর্ভোগেও। বৃষ্টির কারণে যানবাহনের সংখ্যা সীমিত হয়ে পড়ে। এতে করে সাধারণ যাত্রীদের গুনতে হয়েছে বাড়তি ভাড়াও।
নগরীর বাসিন্দারা বলেছেন, পানিতে সয়লাব শহরে এখন ওয়াসার খুঁড়ে রাখা গর্ত মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে। এছাড়া খোলা নর্দমার কারণে রাস্তার নোংরা পানি পার হয়েই চলাচল করতে হচ্ছে সবাইকে। রিকশা ও অটো ভাড়াও গুণতে হচ্ছে অন্য সময়ের চেয়ে বেশি।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট