চট্টগ্রাম শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

ভাসমান দোকান, ময়লা-আবর্জনায় অসন্তোষ

রেলওয়ে স্টেশন পরিদর্শন বিভাগীয় কমিশনারের

নিজস্ব প্রতিবেদক

২৪ মে, ২০১৯ | ২:৩৭ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশনে ভাসমান দোকান ও ময়লা-আবর্জনা দেখে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন বিভাগীয় কমিশনার আবদুল মান্নান। গতকাল (বৃহস্পতিবার) বিকেল সাড়ে ৩ টায় চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশন পরিদর্শন করেন তিনি। এসময় তিনি ঈদে রেলের অগ্রিম টিকেট বিক্রিসহ স্টেশনের সার্বিক কার্যক্রম পরিদর্শন করেন। পরিদর্শনকালে রেলওয়ে স্টেশনের প্ল্যাটফর্মে অবৈধ ভাসমান দোকান, বিভিন কোম্পানির বিজ্ঞাপনি ব্যানার, প্ল্যাটফর্ম ও রেল লাইনে যত্রতত্রভাবে পড়ে থাকা পলিথিন, টিস্যু পেপার, চিপসের প্যাকেট, কাগজ, নোংরা কাপড়সহ অন্যান্য ময়লা-আবর্জনা দেখে অসন্তোষ প্রকাশ করে নিজের হাতে ময়লা তুলে নেন বিভাগীয় কমিশনার। এছাড়া স্টেশনের বারান্দা, প্ল্যাটফর্ম ও রেললাইন নিয়মিত ময়লা-আবর্জনামুক্ত পরিষ্কাার-পরিছন্ন রাখাসহ ভাসমান দোকান উচ্ছেদ করতে রেলওয়ের জেনারেল ম্যানেজার ও স্টেশন ম্যানেজারসহ সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) শংকর রঞ্জন সাহা, চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইলিয়াস হোসেন, রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের জেনারেল ম্যানেজার সৈয়দ ফারুক আহমদ, রেলওয়ে স্টেশন ম্যানেজার আবুল

কালাম আজাদ, বিভাগীয় কমিশনারের পিএস অভিষেক দাশ, রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর কমান্ডার ইকবাল হোসেনসহ রেলওয়ের পদস্থ কর্মকর্তাগণ। চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশন পরিদর্শনে গিয়ে ঈদে রেলের অগ্রিম টিকেট বিক্রি ও টিকেট কালোবাজারি বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বিভাগীয় কমিশনার বলেন, প্রতিদিন চট্টগ্রাম থেকে বিভিন্ন ট্রেনের ১২ হাজার টিকেট বিক্রি হচ্ছে। এই টিকেট বিক্রির সাথে আইন-শৃঙ্খলার সম্পর্ক আছে, অর্থনৈতিক, সামাজিক নানান কিছু আছে, টিকেট কেনা-বেচা নিয়ে মানুষ কতটা বঞ্চিত হচ্ছে তা আমাদের নজরদারিতে রয়েছে। বাসস্ট্যান্ড গুলোতেও একইভাবে মনিটরিং করা হচ্ছে। শোনা আর নিজের চোখে দেখা এক কথা নয়, সে জন্য রেলওয়ে স্টেশন আকস্মিকভাবে পরিদর্শন করা হয়েছে। এখানে মানুষ লাইনে দাঁড়িয়ে সুশৃংঙ্খলভাবে টিকেট নিচ্ছে। টিকেট কালোবাজারি পাওয়া গেলে তাদের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ ব্যবস্থা নেয়া হবে, একজনকেও ছাড়া হবে না। কালোবাজারিরোধে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষসহ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী নজরদারীতে রয়েছে। সারাদেশে মানুষ যাতে ক্ষতি বা হয়রানির শিকার না হয় সেটা দেখা আমাদের প্রধান কাজ।
রেল স্টেশন পরিষ্কার রাখা বিষয়ে তিনি বলেন, বিগত দশ বছর আগে রেল স্টেশনগুলো এত পরিষ্কারর ছিলনা। সারা দুনিয়ার রেল স্টেশনগুলো যে রকম পরিষ্কার আমরা আমাদের দেশের রেল স্টেশনগুলো সে রকম রাখতে চাই। ময়লা-আবর্জনা থাকলে স্টেশন কর্তৃপক্ষ নিজেরাই পরিষ্কার রাখবে। আমরা ইউরোপের রেলওয়ে স্টেশনের সাথে এখানকার স্টেশনগুলোর তুলনা করতে চাই। ময়লা-আবর্জনা নির্দিষ্ট জায়গা ছাড়া কোথাও না ফেলতে মানুষকে অভ্যস্ত করে তুলতে হবে। এজন্য স্টেশন ম্যানেজারসহ সংশ্লিষ্টদের আন্তরিক হতে হবে।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট