২৩ মে, ২০১৯ | ৯:১১ অপরাহ্ণ
নিজস্ব প্রতিবেদক
যাত্রীদের দুর্ভোগ লাঘবে চট্টগ্রামের দূরপাল্লার বাস কাউন্টারগুলোতে সাঁড়াশি অভিযান চালিয়েছে বিআরটিএর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এস এম মনজুরুল হক। আজ বৃহষ্পতিবার (২৩ মে) দামপাড়া, অলংকার, এ কে খান ও কর্নেল হাটের বাস কাউন্টারগুলোতে এ সাঁড়াশি অভিযান পরিচালনা করা হয়। এসময় অনিয়মের কারণে বিভিন্ন পরিবহনের কাউন্টারগুলোকে লাখ টাকা জরিমানা করা হয় বলে জানান বিআরটিএর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এস এম মনজুরুল হক।
তিনি পূর্বকোণকে বলেন, ঈদ উপলক্ষে অগ্রিম টিকিটে কোন কাউন্টারে বাড়তি ভাড়া নেয়া হচ্ছে কিনা এবং কাউন্টারগুলোতে ভাড়ার চার্ট আছে কিনা তা তদারকি করেছি। এসময় ঈদকে পুঁজি করে বাড়তি ভাড়া আদায়, বাড়তি ভাড়া নিয়ে টিকিটে কম উল্লেখ করা, ভাড়া নিয়ে টিকিটে একেবারেই উল্লেখ না করা ইত্যাদি অপরাধে আর এম ট্রাভেলসকে ২৫ হাজার টাকা, শাহ ফতেহ আলী পরিবহনকে ২০ হাজার টাকা, বেপারী পরিবহনকে ৩০ হাজার টাকা, লিটন পরিবহনকে ২০ হাজার টাকা ও বলেশ্বর পরিবহনকে ৫ হাজার টাকাসহ মোট ১ লাখ জরিমানা করা হয়।
তিনি আরো বলেন, অভিযান চলাকালে বেশ কয়েকটি দূরপাল্লার কাউন্টারে নিয়মিত ভাড়ার চেয়ে প্রায় দ্বিগুণ ভাড়া নেয়ার প্রমাণ পাওয়া যায়। এসব পরিবহনের মধ্যে উত্তরবঙ্গ ও দক্ষিণবঙ্গ এ দুই গন্তব্যেরই বাস রয়েছে। এ কে খানস্থ উত্তরবঙ্গগামী আর এম ট্রাভেলস ২ জুনের অগ্রিম টিকিটে নওগাঁর ভাড়া রাখছিলো ১৩৫০ টাকা করে যেখানে নিয়মিত ভাড়া হলো ৮০০ টাকা। অর্থাৎ ৫৫০ টাকা অতিরিক্ত ভাড়া। অন্যদিকে কর্নেল হাট এলাকার শাহ ফতেহ আলী পরিবহন অগ্রিম টিকিটে বগুড়ার ভাড়া নিচ্ছে ১২৫০ টাকা করে। বগুড়ার নিয়মিত ভাড়া ৭৫০ টাকা। এ পরিবহনটি যাত্রীর কাছ থেকে ১২৫০ টাকা নিলেও টিকিটে উল্লেখ করছে ১১৫০ টাকা। এদিকে অলংকার এলাকার বেপারী পরিবহন আরো একধাপ এগিয়ে। এরা রাজশাহীর অগ্রিম টিকিটের দাম নিচ্ছে ১৪০০ টাকা করে যা নিয়মিত ভাড়ার চেয়ে ৬০০ টাকা বেশি। শুধু তাই নয়, এ পরিবহনটি যাত্রী টিকিটে ভাড়ার পরিমাণ লিখছে না।
এসময় সকল দূরপাল্লার পরিবহনকে ঈদ উপলক্ষে বাড়তি ভাড়া না নিতে হুঁশিয়ার করে, নিয়মিত অভিযান চলানোর ঘোষণাও দেন তিনি।