চট্টগ্রাম শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি বহাল তবিয়তে রাঙামাটির দুই উপজেলা চেয়ারম্যান

পূর্বকোণ প্রতিনিধি , রাঙামাটি অফিস

২৩ মে, ২০১৯ | ১:৪১ পূর্বাহ্ণ

রাঙামাটির বাঘাইছড়িতে ইউপিডিএফ কর্মী উদয় বিকাশ চিক্কোধন চাকমাকে হত্যার অভিযোগে গ্রেপ্তারের হুলিয়া মাথায় নিয়ে দাপ্তরিক কাজ করছেন নবনির্বাচিত দুই উপজেলা চেয়ারম্যান।
উদয় বিকাশ চিক্কোধন চাকমার স্ত্রী মিতা চাকমা বাদি হয়ে দায়েরকৃত মামলায় বাঘাইছড়ি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানকে হুকুমদাতা উল্লেখ করেন। এছাড়া নানিয়ারচর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান প্রগতি চাকমাকে হত্যাকা-ের সাথে সরাসরি জড়িত উল্লেখ করে ১৫ নাম্বার আসামি করে ৬৯ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।
গত ২৭ মার্চ রাঙামাটির চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের নির্দেশনায় বাঘাইছড়ি থানা কর্তৃপক্ষ গত ২২ এপ্রিল মামলাটি রেকর্ড করেন।
দায়েরকৃত হত্যা মামলাটিতে বিবাদি করা হয়েছে ইউপিডিএফ’র মূল প্রতিপক্ষ জেএসএস এমএন লারমা বা সংস্কারপন্থী হিসেবে পরিচিত জেএসএস’র প্রভাবশালী নেতাদেরকে। এ ব্যাপারে অভিযুক্ত বাঘাইছড়ি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সুদর্শন চাকমা বলেন, এটা সম্পূর্ণ রাজনৈতিক একটি মামলা। প্রতিপক্ষ ইউপিডিএফ আমাকে ও আমার নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে এ ধরনের অনেকগুলো ঘটনায় সম্পূর্ণ রাজনৈতিক অবস্থান থেকে মিথ্যা ও সাজানো ঘটনাগুলোয় মামলা দিয়ে হয়রানি করছে। ওই হত্যাকা-ের সাথে তিনি ও তার দল জড়িত নয় মন্তব্য করে সুদর্শন চাকমা জানান, চিক্কোধনকে তার দল ইউপিডিএফ এর সন্ত্রাসিরাই হত্যা করেছে।
অভিযোগপত্রে বাদি মিতা চাকমা উল্লেখ করেছেন, বাঘাইছড়ি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সুদর্শন চাকমাকে তার স্বামী উদয় বিকাশ চাকমা ওরফে চিক্কোধন ইউপিডিএফ’র একজন সক্রিয় সদস্য। তার স্বামী সাংগঠনিক কাজে বঙ্গলতলী বি ব্লকের নিজ বাড়ি থেকে বের হয়ে কিছুদূর অগ্রসর হলে রাজনৈতিক মত বিরোধের জেরে ১ নং আসামির নির্দেশে ৫ থেকে ৬৯ নং আসামিরা পূর্ব থেকে উৎপেতে থাকা অবস্থায় চিক্কোধনকে ঘিরে ফেলে বুকে মাথায় বাম হাত পিঠসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুলি করে হত্যা করে।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট