চট্টগ্রাম বৃহষ্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

জব্দের পাঁচ হাজার কেজি জাটকা এতিমখানায় দান

নিজস্ব সংবাদদাতা

২৩ মে, ২০১৯ | ১২:০১ পূর্বাহ্ণ

কর্ণফুলী নদীতে অভিযান চালিয়ে পাঁচ হাজার কেজি জাটকা ইলিশ জব্দ করেছে কোস্ট গার্ড বাহিনী। আজ বুধবার (২২ মে) রাত ১১টার সময় কর্ণফুলী নদীর অভয়মিত্র ঘাট থেকে জাটকাগুলো জব্দ করা হয়। পরে জব্দকৃত জাটকাগুলো এতিমখানায় বিতরণ করা হয়।
কোস্ট গার্ড পূর্ব জোনের স্টাফ অফিসার (অপারেশন্স) লে. কমান্ডার সাইফুল ইসলাম পূর্বকোণ অনলাইনকে জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বুধবার রাত ১১টার সময় কর্ণফুলী নদীর অভয়মিত্র ঘাট এলাকা থেকে একটি বোটসহ পাঁচ হাজার কেজি জাটকা ইলিশ জব্দ করা হয়। কোস্ট গার্ডের উপস্থিতি টের পেয়ে বোটের মাঝি ও মাছ ব্যবসায়ী পালিয়ে যাওয়ায় কাউকে গ্রেপ্তার করা যায়নি। এতিমখানায় খবর দেয়া হয়েছে জাটকাগুলো রাতের মধ্য বিভিন্ন এতিমখানায় বিতরণ করে দেয়া হবে বলে জানান তিনি।
উল্লেখ্য, সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী, সামুদ্রিক মৎস্য সম্পদের উন্নয়নে ২০ মে থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত ৬৫ দিন বঙ্গোপসাগরে বন্ধ থাকবে মাছ ধরা। বাণিজ্যিক ট্রলারের পাশাপাশি সব ধরনের নৌযানের ক্ষেত্রে এ নিষেধাজ্ঞা প্রযোজ্য হবে।
সম্প্রতি চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত এক সভায় মৎস ও প্রাণীসম্পদ প্রতিমন্ত্রী আশরাফ আলী খান খসরু ৬৫ দিনের এ নিষেধাজ্ঞাকে ‘মাছ আহরণের ছুটি’ হিসেব ভাবতে মৎস্যজীবীদের প্রতি আহ্বান জানান ।
বঙ্গোপসাগরে বাংলাদেশের একচ্ছত্র অর্থনৈতিক অঞ্চলে প্রজনন মৌসুমে ডিমওয়ালা মাছ ও ক্রাস্টাসিয়ান্স (কঠিন আবরণযুক্ত জলজ প্রাণী, কাঁকড়া) এর নিরাপদ পরিবেশ সৃষ্টি করা এবং মাছের মজুদ সংরক্ষণ সুষ্ঠু ও সহনশীল আহরণ নিশ্চিত করার স্বার্থেই ২০১৫ সাল থেকে প্রতিবছর এই সময় মাছ ধরা নিষিদ্ধ থাকে।
এর সুফল হিসেবেই প্রজনন মৌসুমের পর জেলেরা বিপুল পরিমাণ মাছ আহরণ করতে পারে বলে মন্তব্য করেন প্রতিমন্ত্রী।
তিনি বলেন, মাছ প্রাকৃতিক সম্পদ হলেও তা অফুরন্ত নয়। সমুদ্র মৎস্য সম্পদ সহনশীল পর্যায়ে আহরণ না করলে এমন সময় আসবে যখন সমুদ্র থেকে মাছ আহরণ অর্থনৈতিক ভাবে লাভজনক হবে না।
বাংলাদেশের মৎস্য সম্পদ রক্ষা ও উন্নয়নের লক্ষ্যে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ জলাশয় যেমন- নদী, উপকূলীয় এলাকা, সমুদ্র, হ্রদ ইত্যাদির সুনির্দিষ্ট অংশে বছরের কোন না সময় বিভিন্ন ধরণের মাছ ধরা নিষিদ্ধ থাকে।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট