চট্টগ্রাম শনিবার, ৩০ মার্চ, ২০২৪

চসিকের কর কর্মকর্তা পদে পদোন্নতি স্থগিত

২৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২০ | ৫:২৪ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) রাজস্ব বিভাগে কর কর্মকর্তা পদে পদোন্নতির উপর স্থগিতাদেশ দিয়েছে উচ্চ আদালত। চসিকের কর কর্মকর্তা মো. ইউসুফ মামলা করলে আদালত শুনানি শেষে এই নির্দেশনা দেয়। মামলা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত এই স্থগিতাদেশ বহাল থাকবে বলে নির্দেশে উল্লেখ করা হয়।
বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ এবং বিচারপতি মো. মাহমুদ হাসান তালুকদারের বেঞ্চ এই নির্দেশ দেন। মামলার বাদি আবেদনে উল্লেখ করেন, চসিকের ২০০৮ সালের ২৬ মে তৈরিকৃত গ্রেডেশন তালিকা অনুযায়ী বাদিকে জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে ২০০৮ সালের ৩১ ডিসেম্বর থেকে সব ধরনে চাকুরি সুবিধা যেন তাকে দেয়া হয়। সম্প্রতি চসিকের রাজস্ব বিভাগে কর কর্মকর্তা পদে পদোন্নতি দেয়ার জন্য খসড়া তালিকা প্রকাশ করা হলে এর বিরুদ্ধে অন্তত ৩০টি আপত্তি পড়ে। এরপর কর কর্মকর্তা মো. ইউসুফ আদালতে মামলা করেন।

এদিকে, রাজস্ব বিভাগে কর্মরত জ্যেষ্ঠ ব্যক্তিদের যারা এখনো উপকর কর্মকর্তা পদে পদোন্নতি পাননি তারা এখনো আশায় বুক বেঁধে আছেন। পদোন্নতি প্রত্যাশী রাজস্ব বিভাগের একাধিক কর্মকর্তার সাথে আলাপকালে তারা পূর্বকোণকে জানান, আদালত স্থগিতাদেশ দিয়েছেন কর কর্মকর্তা পদে পদোন্নতির বিষয়ে। কিন্তু উপকর কর্মকর্তা পদে পদোন্নতির ক্ষেত্রে কোন বাধা নেই। তাই তারা আশা করছেন চসিক কর্তৃপক্ষ শীঘ্রই উপকর কর্মকর্তা পদে পদোন্নতি প্রদান করবে।

সংশ্লিষ্টরা জানান, অতীতে কখনো মেয়র অথবা প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার ক্ষমতার অপব্যবহার, কখনো মামলার দোহাই দিয়ে রাজস্ব বিভাগের উপকর কর্মকর্তা পদে পদোন্নতির ক্ষেত্রে বার বার অনিয়মের আশ্রয় নিয়ে জ্যেষ্ঠদের বঞ্চিত করা হয়েছে। কাউকে অস্থায়ীভাবে নিয়োগ দিয়ে সেই পদে স্থায়ী না করে উচ্চতর পদে নিয়মিত করা হয়েছে। সেই অনিয়ম-দুর্নীতির হোতারা ২০০৮ সালের অনুমোদিত গ্রেডেশন তালিকার বিরুদ্ধে প্রথম শ্রম আদালতে মামলার মাধ্যমে প্রকৃত পদোন্নতি পাওয়া উপকর কর্মকর্তাদের পদোন্নতি ঠেকাতে চাইলে জ্যেষ্ঠরা উচ্চ আদালতের আশ্রয় নেন। উচ্চ আদালত শ্রম আদালতের আদেশকে আইনগত কর্তৃত্ব বহির্ভূত ঘোষণা করে রুল স্টে ও শোকজ করে। কিন্তু মামলার দোহাই দিয়ে ২০১০ সালে ভিন্ন ভিন্ন স্মারক এ অর্গানোগ্রাম অনুযায়ী ১২টি পদের বিপরীতে ১৬ জনকে পদোন্নতির নামে নিয়মিত করে তখনকার তৎকালীন মেয়র ক্ষমতার অপব্যবহার করেন বলে রাজস্ব বিভাগের একাধিক কর্মকর্তার অভিযোগ। কারণ সেসময়ও উচ্চ আদালতের রুলও স্থগিতাদেশ বহাল ছিল।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট