প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারি শিক্ষক নিয়োগ-১৮ প্যানেলের মাধ্যমে নিয়োগের দাবীতে মানববন্ধন করেছে লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ও মৌখিক পরীক্ষায় অংশগ্রহনকরী চাকরি প্রার্থীরা। গতকাল সকালে চট্টগ্রাম জেলা প্রেস ক্লাবের সামনে এ মানববন্ধনে অংশ নেন প্রায় কয়েক’শ চাকরি প্রার্থী। প্রাথমিক সহকারি শিক্ষক নিয়োগ পরিক্ষা-১৮ এ লিখিত পরিক্ষায় উত্তীর্ণ ও মৌখিক পরিক্ষায় অংশগ্রহনকরী সবাইকে প্যানেল করে অবিলম্বে সরাসরি নিয়োগ প্রদান করা দাবী জানানো হয়। মুজিব শতবর্ষ ও ভাষার মাসকে সামনে রেখে সরাসরি প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করে মানববন্ধন করেন প্রাথমিক সহকারি শিক্ষক নিয়োগে প্যানেল চাই বাস্তবায়ন কমিটি। রিমি আচার্য্যের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, শেখ ফরিদ, নিশি আচার্য্য, দিদারুল আলম, নজরুল ইসলাম, অনিক সেন, কতুব উদ্দীন, শাহিন আক্তার, আব্দুল আজিজ ও আয়েশা আক্তার। সমপনী বক্তব্য রাখেন প্রদীপ কুমার নাথ। মানববন্ধনে বক্তাদের দাবী ছিল, প্রধনমন্ত্রী ইতোমধ্যে ঘোষনা দিয়েছেন- ‘মুজিববর্ষে কেউ বেকার থাকবেনা।’ আমরা সেই ঘোষণার প্রেক্ষাপটে প্রতিটি ঘরে একজন শিক্ষিত বেকারের চাকরির দাবী জানায়। আমরা শিক্ষিত বেকার। তাই এ কঠিন যন্ত্রণা ও অভিশাপ থেকে মুজিববর্ষ উপলক্ষ্যে বেকারত্ব থেকে মুক্তি চাই। গত ২০১০, ১২, ১৩ সালে প্যানেল হয়েছে ও ১৪ সালেও প্যানেলের মাধ্যমে প্রায় ৪৩ হাজার শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তাই ২০১৮ সালে প্রাথমিক শিক্ষাক নিয়োগ পরিক্ষায় ৩৭ হাজার চাকুরি মৌখিক পরিক্ষায় উর্ত্তীণ হয়েছে এমন প্রার্থী প্যানেলের মাধ্যমে নিয়োগ চাই। আগে ৬ মাস পর পর সহকারী শিক্ষক ও ২ বছর পর পর প্রাথমিক প্রধান শিক্ষক নিয়োগ করা হতো। কিন্তু বর্তমানে অনেক বিদ্যালয়ে শিক্ষক সংকট থাকলেও নানারকম আইনি জটিলতার কারণে দীর্ঘদিন ধরে এসব নিয়োগও স্থগিত ছিল। যে কারনে অনেকের সরকারি চাকুরিতে প্রবেশের বয়সসীমা শেষ হওয়ার আগে এটাই ছিল তাদের সর্বশেষ সুযোগ। এমনকি মেয়েদের জন্য এইচএসসি পাশে চাকুরিতে প্রবেশের এটা সর্বশেষ বিজ্ঞপ্তি। এরপর থেকে মেয়েরা ¯œাতক পাশ ছাড়া আবেদন করতে পারবেন না। তাই এসব কারণে আমরাই বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছি। তাই ৩৭ হাজার চাকুরি প্রার্থীদের সকলের মঙ্গলে প্রধান মন্ত্রীর সদৃষ্টি কামনা করছি। মানববন্ধনের পরিচালনা করেন সহ-সভাপতি মো. রুবেল রানা।