চট্টগ্রাম শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪

ভারপ্রাপ্তে বাড়ছে সংকট

চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ হ ১০ বছরেও নিয়োগ জট খুলেনি হ প্রথম শ্রেণির ১৩টি পদসহ মোট ১৮১টি পদ শূন্য

ইমরান বিন ছবুর

২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২০ | ৫:১৯ পূর্বাহ্ণ

গত ১০ বছর ধরে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) জনবল নিয়োগ বন্ধ থাকায় জনবল সংকটে পড়েছে সংস্থাটি। বর্তমানে সিডিএ’র ৫১৯টি পদের মধ্যে ১৮১টি পদ শূন্য। এরমধ্যে প্রথম শ্রেণির শূন্য পদ রয়েছে ১৩টি। এছাড়া দ্বিতীয় শ্রেণি পদে শূন্য রয়েছে ৮টি, তৃতীয় শ্রেণি পদে শূন্য রয়েছে ৫৬টি এবং চতুর্থ শ্রেণি পদে শূন্য রয়েছে ১০৪টি পদ। এসব পদের বিপরীতে ভারপ্রাপ্তদের দিয়ে কোন রকমে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে এই সংস্থা। দীর্ঘ ১০ বছর ধরে মামলা জটিলতা থাকায় নতুন কোন নিয়োগ দিতে না পারার ফলে জনবল সংকটে ভুগছে সিডিএ।

সিডিএ সূত্র জানায়, প্রথম শ্রেণির ১৩টি শূন্য পদের মধ্যে রয়েছে- প্রধান প্রকৌশলীর পদ ১টি, প্রধান নগর পরিকল্পনাবিদের পদ ১টি, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ১ ও ২ (দুটি পদ), নির্বাহী প্রকৌশলীর পদ ১টি, সহকারী স্থপতির পদ ২টি, সহকারী নগর পরিকল্পনাবিদের পদ ১টি, সহকারী সচিবের পদ ১টি, ইকোনমিক এনালিস্টের পদ ১টি ও ৩টি সহকারী প্রকৌশলীর পদ শূন্য রয়েছে। ভারপ্রাপ্তদের দিয়ে এসব পদের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে সিডিএ।

এ সম্পর্কে জানতে চাইলে সিডিএ চেয়ারম্যান এম জহিরুল আলম দোভাষ জানান, ২০১০ সালে সিডিএ’র এক কর্মকর্তা নিয়োগের বিরুদ্ধে শ্রম আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। পূর্বে দায়িত্বরতরা মামলাটি নিষ্পত্তি করার জন্য সেভাবে কাজ করেনি। তাই মামলাটি এখনো ঝুলে আছে। আমরা এখন সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি মামলা নিষ্পত্তি করার জন্য। মামলাটি শ্রম আপিলেট ট্রাইব্যুনালে রয়েছে। মামলাটি দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য উচ্চ আদালত শ্রম আপিলেট ট্রাইব্যুনালকে আদেশ দিয়েছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সিডিএ’র এক কর্মকর্তা জানান, দীর্ঘদিন ধরে জনবল সংকট থাকায় আমাদের বিভিন্ন সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। এছাড়া, গুরুত্বপূর্ণ অনেকগুলো পদ শূন্য থাকার কারণে যথাসময়ে কাজ করা সম্ভব হয় না। দ্রুত মামলা নিষ্পত্তি করে শূন্য পদগুলো পূরণ করতে হবে। তাহলে সিডিএ’র কাজের গতি আগের চেয়ে কয়েকগুণ বাড়বে বলে মনে করছি।

সিডিএ’র সেকশন অফিসার আইন মো. ইলিয়াস চৌধুরী বলেন, ২০১০ সালে সিডিএতে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দিলে সিডিএ’র সাবেক এক কর্মকর্তা এই নিয়োগের বিরুদ্ধে শ্রম আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। পরে মামলার সংযুক্ত বাদি হয়েছেন স্টোনোগ্রাফার হাবিবুর রহমান। মামলাটি দীর্ঘ শুনানি শেষে ২০১১ সালে খারিজ হয়। আবার ওই রায়ের বিরুদ্ধে শ্রম আপিলেট ট্রাইব্যুনাল আপিল করেন। মামলাটি এখনো বিচারাধীন রয়েছে। এখনো যার শুনানি হয়নি।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট