চট্টগ্রাম শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

চবি শিক্ষক সমিতির নির্বাচন

জয়ের পথে আওয়ামীপন্থীরা অংশ নিচ্ছেন না বিএনপি জামায়াতপন্থী শিক্ষকরা

নিজস্ব সংবাদদাতা, চবি

২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২০ | ৪:৫৭ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) এবারের শিক্ষক সমিতির নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন না বিএনপি-জামায়াতপন্থী শিক্ষকরা। ফলে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় পূর্ণ প্যানেলে নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন আওয়ামীপন্থী-বামপন্থী শিক্ষকরা। আগামী বুধবার তাদের নির্বাচিত ঘোষণা করা হতে পারে।
এদিকে ৩৪ বছরে এই প্রথম নির্বাচনে অংশ না নেওয়াকে দেশে গণতন্ত্রহীনতা ও বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকের পরিবর্তে ভোটার নিয়োগের নীরব প্রতিবাদ বলে জানিয়েছেন জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরামের আহ্বায়ক ও বন ও পরিবেশ বিদ্যা ইনিস্টিটিউটের অধ্যাপক ড. আমিন।
তিনি বলেন, গত ১০ বছরে বিশ্ববিদ্যালয়ে যত শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে সবগুলো নিয়োগে দলীয়করণ করা হয়েছে, যা অনেকটা ভোটার নিয়োগের মতো। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ দেওয়া হোক। সবার নিজ নিজ মতাদর্শ রয়েছে। কিন্তু বর্তমানে সবাই নির্দিষ্ট একটি গন্ডির মধ্যে আবদ্ধ। আমরা এসবের প্রতিবাদ হিসেবে এবারের নির্বাচন বর্জন করেছি।

জানা যায়, শিক্ষক সমিতির নির্বাচনের তফসিল অনুযায়ী গত রবিবার ছিল মনোনয়ন নেওয়া এবং জমা দেওয়ার শেষ দিন। এতে হলুদ দল থেকে ১১ জন প্রার্থী মনোনয়ন জমা দেন। কিন্তু বিএনপি-জামায়াতপন্থী শিক্ষক সমর্থিত সাদা দল ও সাদা দল থেকে বেরিয়ে আসা বিএনপিপন্থী শিক্ষকদের একাংশের সংগঠন জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরাম থেকে কেউই মনোনয়ন জমা দেননি। ফলে অন্য কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকায় অষ্টমবারের মতো নিশ্চিত বিজয়ের অপেক্ষায় রয়েছে হলুদ দল।

হলুদ দলের প্রার্থী যারা : হলুদ দল থেকে সভাপতি পদে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন পদার্থবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক মো. এমদাদুল হক, সাধারণ সম্পাদক পদে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক মঞ্জুরুল ইসলাম, সহ-সভাপতি পদে মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের অধ্যাপক মো. তৌহিদ হোসেন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে অর্থনীতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. সাইফুদ্দীন, কোষাধ্যক্ষ পদে মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক শাহ নেওয়াজ মাহমুদ, সদস্য পদে বন ও পরিবেশবিদ্যা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক খালেদ মিসবাহুজ্জামান, বাংলা বিভাগের অধ্যাপক শফিউল আযম, জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড বায়োটেকনোলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আদনান মান্নান, আইন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মুহাম্মদ মঈন উদ্দীন, ইনিস্টিটিউট অব মেরিন সায়েন্সেসের সহকারী অধ্যাপক জুয়েল দাশ ও ইলেকট্রিকাল এন্ড ইলেকক্ট্রিনক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক কাজী তানভীর আহাম্মদ।

প্রসঙ্গত, ১৯৮৬ সাল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন পর্ষদে শিক্ষক প্রতিনিধি নির্বাচনে আওয়ামী-বামপন্থী শিক্ষক সমর্থিত হলুদ দল ও বিএনপি-জামায়াতপন্থী শিক্ষক সমর্থিত সাদা দলের মধ্যে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হতো। শুধু ২০১৪ সালের সিনেটে শিক্ষক প্রতিনিধি নির্বাচন বয়কট করে অংশ নেয়নি সাদা দল। এছাড়া গত ৩৩ বছরে সব নির্বাচনেই অংশ নিয়েছিল দলটি।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট