চট্টগ্রাম মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

বেতন জট খুলছে ১০৯ কর্মচারীর

চমেক হাসপাতাল

ইমাম হোসাইন রাজু

২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২০ | ৭:০০ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের আউটসোর্সিংয়ে নিয়োগ অফিস সহায়কদের বেতনের জট খুলতে শুরু করেছে। দীর্ঘ পাঁচ মাস ধরে তাদের বেতন বন্ধ থাকলেও তা কেটে উঠতে শুরু করেছে। ইতোমধ্যে অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে এসব কর্মচারীদের বেতন-ভাতা প্রদানের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে চমেক হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

গত বছরের জুন মাসে টেন্ডার প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ১০৯ জন অফিস সহায়ক নিয়োগ দেয় চমেক হাসপাতাল। ওই সময়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনক্রমে নিয়োগ দিলেও দুই মাস গড়াতেই তাদের বেতন বন্ধ হয়ে যায়। যদিও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ নিজস্ব ফান্ড থেকে জুলাই ও আগস্ট মাসের বেতন পরিশোধ করেন। কিন্তু পরবর্তী মাস থেকে সেটিও বন্ধ করে দেয়া হয়।

এ বিষয়ে গত ১ ফেব্রুয়ারি দৈনিক পূর্বকোণে ‘চার মাস ধরে বেতন মিলছে না’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদনও প্রকাশিত হয়। সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার কিছুদিন পর এ বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরসহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে একটি প্রতিবেদন পাঠায় চমেক হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এরই প্রেক্ষিতে গত ১৮ ফেব্রুয়ারি এক বৈঠকে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে জানান কর্তৃপক্ষ। এ প্রসঙ্গে চমেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহসেন উদ্দিন আহমেদ পূর্বকোণকে বলেন, ‘আউটসোর্সিংয়ে নিয়োগকৃতদের বেতনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। অর্থ মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বসে এ বিষয়ে সুরহা করেছেন বলে শুনেছি। তবে এখন পর্যন্ত আমাদের কাছে লিখিত কোন চিঠি ইস্যু হয়নি। চিঠি পাওয়া মাত্রই তাদের সকলের বেতন পরিশোধ করা হবে’।

উল্লেখ্য, গত বছরের শুরুতে বিভিন্ন অভিযোগে স্পেশাল-আয়া-বয়দের ছাঁটাই করে চমেক হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এর পরেই জুন মাসে মন্ত্রণালয়ের অনুমতিতে আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে ১০৯ জন অফিস সহায়ক নিয়োগ দেন। যার জন্য ২০১৮-২০১৯ অর্থ বছরের বাজেটের মধ্যেই নিয়োগকৃতদের জন্য বরাদ্দ দেওয়া হয়। কিন্তু বরাদ্দ দেওয়ার পরপরই ‘১০৯ জনের’ বেতন যেন না ছাড়া হয় সে বিষয়ে নির্দেশনা দেওয়া হয়। যাতে উল্লেখ করা হয়, নীতিমালা বহির্ভূত হওয়ায় এসব টাকা ছাড় দেওয়া সম্ভব নয়।
এ বিষয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কাছে একাধিকবার চিঠি চালাচালিও করে চমেক হাসপাতাল। এমনকি অর্থ মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট শাখাসহ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে সরাসরি যোগাযোগ করা হয়। তবুও ‘নীতিমালা বহির্ভূত’ হয়েছে উল্লেখ করে এ বিষয়ে এতদিন কোন সিদ্ধান্তই দেয়নি মন্ত্রণালয়।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট