চট্টগ্রাম মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ, ২০২৪

সর্বশেষ:

বান্দরবানে সন্ত্রাসী হামলার ভয়ে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা

বান্দরবান সংবাদদাতা

২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২০ | ৪:২১ অপরাহ্ণ

বান্দরবানের সদর উপজেলার জামছড়ি এলাকায় সন্ত্রাসীদের গুলিতে আওয়ামী লীগ নেতা নিহত ও পাঁচজন গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনার পর সেখানে এখন থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। জনসাধারণের নিরাপত্তায় ওই এলাকায় সেনাবাহিনী ও পুলিশ টহল দিচ্ছে। ঘটনার পর আতঙ্কের মধ্যে রয়েছে ওই এলাকার লোকজন ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা কর্মীরা। অনেকেই এখন পুণরায় সন্ত্রাসী হামলার ভয়ে এলাকা ছেড়ে নিরাপদ জায়গায় আশ্রয় নিয়েছেন।

এদিকে সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত রাজবিলা ইউনিয়ন এর ৭ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি বাচনু মারমার লাশের ময়না তদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত ৫ জনের মধ্যে গুরতর ৪ জনকে বান্দরবান সদর হাসপাতাল থেকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এদিকে ঘটনার প্রতিবাদে সকালে জেলা আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা শহরের মুক্তমঞ্চের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে। জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতা আব্দুর রহিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন আঞ্চলিক পরিষদের সদস্য কাজল কান্তি দাস, জেলা আওয়ামীলীগের নেতা ক্যসাপ্রু মারমা, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান একে এম জাহাঙ্গীর, পৌরমেয়র ইসলাম বেবি, জেলা পরিষদের সদস্য লক্ষি পদ দাস প্রমুখ। সমাবেশ থেকে বক্তারা ঘটনার জন্য আঞ্চলিক রাজনৈতিক দল জনসংহতি সমিতির সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের দায়ী করে অবিলম্বে হামলাকারীদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন।

উল্লেখ্য, শনিবার রাত সাড়ে সাতটার দিকে জামছড়ি মুখ পাড়ায় একদল সশস্ত্র সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে আওয়ামী লীগ নেতা বাচনু মারমাকে গুলি করে হত্যা করে। ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয় আরো পাঁচজন। ঘটনায় আতঙ্কিত হয়ে স্ট্রোক করে মারা যায় এক কৃষক। জেলা আওয়ামীলীগের সহসভাপতি একেএম জাহাঙ্গীর জানিয়েছেন অবিলম্বে সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার ও অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করা না হলে আরো কঠোর আন্দোলন দেয়া হবে। পুলিশ সুপার জেরিন আখতার জানিয়েছেন ঘটনার পর সাধারণ মানুষের নিরাপত্তায় এলাকায় নিরাপত্তা বাহিনী টহল দিচ্ছে। কারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। তবে এখনো পর্যন্ত এ ঘটনায় কোনো মামলা হয়নি বলে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শহীদুল ইসলাম জানিয়েছেন।

 

 

 

 

 

পূর্বকোণ/এম

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট