চট্টগ্রাম মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ, ২০২৪

সর্বশেষ:

১ কোটি ২৩ লাখ টাকার পণ্য উদ্ধার

গার্মেন্টস পণ্য চুরিতে জড়িত ১০ জন গ্রেপ্তার

নিজস্ব প্রতিবেদক

২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২০ | ৫:৩৬ পূর্বাহ্ণ

রপ্তানির পোশাক চুরির সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ১০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম বন্দরে নেয়ার পথে কাভার্ডভ্যান থেকে চুরির সময় হাতেনাতে প্রথমে দু’জনকে গ্রেপ্তার করে ইপিজেড থানা পুলিশ। এরপর তাদের দেওয়া তথ্যমতে আরও দু’টি কাভার্ডভ্যান থেকে চুরির সঙ্গে জড়িত অপর আটজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। চোর চক্রের সদস্যরা এক কোটি ২৩ লাখ টাকার রপ্তানিযোগ্য পোশাক চুরি করেছিলো।

গত এক সপ্তাহ ধরে টানা অভিযানের পর গতকাল (শনিবার) অভিযানের সমাপ্তি টেনে নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি-বন্দর) আরেফিন জুয়েল এসব তথ্য জানিয়েছেন। গ্রেপ্তার ১০ জন হল, মো. সুমন (৩১), মো. ইউসুফ (৩৫), তাজুল ইসলাম হাসান (২২), রুবেল হোসেন (২০), মো. সুমন (১৯), মো. বোরহান (২৬), নুরুনবী সোহাগ (৪০), মো. মাসুদ (৩০), মাহাবুবর রহমান শাওন (৩২) এবং সাইফুল ইসলাম রিপন (২৩)। ইপিজেড থানার পরিদর্শক (ওসি) মীর মো. নুরুল হুদা জানান, ইপিজেড পুলিশ ফাঁড়ির সামনে একটি কাভার্ডভ্যান থেকে পণ্য নামানোর সময় চালক মোহাম্মদ সুমন এবং সহকারী মোহাম্মদ ইউসুফকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। এ সময় তাদের কাছে ৪০৩ কার্টনে ৯ হাজার ৮০১ পিস তৈরি পোশাক পাওয়া যায়। সুমন ও ইউসুফের তথ্য অনুযায়ী কিউএনএস কনটেইনার ডিপোতে অভিযান চালিয়ে আরো দু’টি কাভার্ডভ্যান আটক করা হয়। সেখানে আটক হয় এই চক্রের সদস্য তাজুল হাসান, রুবেল হোসেন এবং সুমন নামে আরও তিন জনকে। এই দুটি কাভার্ডভ্যানের একটি থেকে ৩৯৮ কার্টনে ৯ হাজার ৬৩৭ পিস এবং অপর কাভার্ডভ্যান থেকে ৫৮৮ কাটনে ১০ হাজার ৩২ পিস তৈরি পোশাক চুরি করেছিলো এই চক্রটি।

শেষ পর্যায়ে পুলিশ অভিযান চালায় রাজধানী ঢাকায়। এসময় ঢাকার বিভিন্ন স্থান থেকে এই চক্রের সদস্য নুরুন্নবী প্রকাশ সোহাগ, মাহবুবুর রহমান প্রকাশ শাওন, মোহাম্মদ মাসুদ এবং সাইফুল ইসলাম প্রকাশ রিপনকে আটক করে। তাদের কাছ থেকে চুরি যাওয়া বাকি সব মালামালই উদ্ধার করা হয়। যার বাজার মূল্য প্রায় ১ কোটি ২৩ লাখ টাকা।

এডিসি আরেফিন জুয়েল বলেন, ‘সাভারের নবীনগরের পার্ল গার্মেন্টস নামে একটি কারখানা থেকে চট্টগ্রাম বন্দরে রপ্তানি পোশাক আনার সময় তিনটি কাভার্ডভ্যান থেকে এসব মালামাল চুরি হয়েছে। ইপিজেড ফাঁড়ির সামনে পুলিশ যদি বিষয়টি উদঘাটন করতে না পারত, তাহলে নির্ধারিত পণ্যের কম পণ্যই রপ্তানি হয়ে যেত। পণ্য বিদেশে পৌঁছার পর পণ্য কম পেলে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণœ হত’। এই ঘটনায় নগরীর মাইশা এন্টারপ্রাইজ ট্রান্সপোর্ট ম্যানেজার আনোয়ার উল্লাহ বাদি হয়ে ইপিজেড থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট