চট্টগ্রাম মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ, ২০২৪

সবজির দাম কমলেও উত্তাপ ভোগ্যপণ্যে

নিজস্ব প্রতিবেদক

২১ ফেব্রুয়ারি, ২০২০ | ৭:০৭ অপরাহ্ণ

একমাস যাবত বৃদ্ধি পাওয়া ভোগ্যপণ্যের দামে অস্থির অবস্থা বিরাজ করছে ভোগ্যপণ্যে। কমছে না রসুন, আদা, ভোজ্যতল, চিনি ও পেঁয়াজের দাম। তবে তিতকরলা, চিচিঙ্গা, বরবটি ও ঢেঁড়স ছাড়া শিথিল আছে শীতকালনি সব সবজি ও মাছের দাম। অপরিবর্তিত আছে মুরগি মাংসের দাম। গতকাল নগরীর ২ নম্বর গেট কর্ণফুলী কমপ্লেক্স ঘুরে দেখা যায় পাকা টমেটো বিক্রি হচ্ছে ২৫ টাকায়।

টমেটো ৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। শিম ৩০ টাকা, শসা ২০ টাকা, কাঁচা মরিচ ৩৫ টাকা। মুলা ১৫ টাকা, গাজর ২৫ টাকা, বেগুন ২৫ থেকে ৩০ টাকা, বাঁধাকপি ও ফুলকপি ২৫ থেকে ৩০ টাকা, লাউ ২০ টাকা ও কুমড়া ২০ বিক্রি হচ্ছে। তবে বৃদ্ধি পেয়েছে ঢেঁড়স, চিচিঙ্গা, বরবটি ও তিতকরলার দাম। এ সবজিগুলো সিজনা না হওয়ায় বেড়েছে বলে জানান বিক্রেতারা। প্রতি কেজি তিতকরলা বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকায়, বরবটি ১১০ টাকায়, ঢেঁড়স ১শ ও চিচিঙ্গা ৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মাছের বাজারে রুই মাছ ২২০, কাতল ২৪০, ট্যাংরা ৩শ’ টাকায়। শিং ৩৫০, গলদা চিংড়ি ৬শ’ টাকা, ছোট চিংড়ি ৪শ’-৪৫০ টাকা, পাঙ্গাস ১শ’-১২০ টাকা, তেলাপিয়া ১২০ টাকা, মলা ২৫০-২৭০ টাকা ও সুরমা মাছ ২৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মাংসের বাজার গত সপ্তাহের মতই আছে। ব্রয়লার মুরগি প্রতি কেজি ১২০ টাকা, পাকিস্তানি ২২০ টাকা ও দেশি মুরগি ৩শ’ থেকে সাড়ে ৩শ’ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কিছু দোকানে এর বেশি দামেও বিক্রি হচ্ছে। গরুর মাংস সাড়ে ৬শ টাকা, খাসির মাংস ৭শ’ থেকে সাড়ে ৭শ’ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এদিকে চীনের করোনা ভাইরাসের কারণে গত একমাস যাবত বৃদ্ধি পাওয়া কোনো পণ্যের দাম এখনো কমেনি। এতে অস্থির অবস্থা বিরাজ করছে ক্রেতাদের মধ্যে। কর্ণফুলী বাজারে বাজার করতে আসা এক ক্রেতা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, সামনে রমজানতো, তাই এখন থেকেই সব কিছুর দাম বাড়িয়ে ফেলছে ব্যবসায়ীরা। আসলে করোনা ভাইরাসতো একটি ছুঁতো মাত্র। এমন পরিস্থিতি থেকে যে কখন রক্ষা পাব আল্লাই জানে। ব্যবসায়ীদের এমন আচরণে একদিন আসবে আমাদের মত অল্প আয়ের মানুষ না খেয়ে মরতে হবে। সরকারকে দেশের গরিব-দুঃখিদের কথা মাথায় রেখে ব্যবসায়ীদের লাগাম টানা উচিত। ৮০ টাকার রসুন এখন বিক্রি হচ্ছে ২শ’ টাকায়। বেড়েছে চালের দামও। ভোগ্যপণ্যে দাম ঠিকই বেড়েছে কিন্তু আমরা যারা বেসরকারি চাকরি করি তাদের বেতনতো আর বাড়ছে না। গতকাল বাজারে প্রতি কেজি দেশি পেয়াঁজ বিক্রি হয় ১২০ টাকায়। ভারত মিয়ানমার আমদানি কার পেঁয়াজ ১১০ থেকে ১২০ টাকা ও মিশরের পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকায়। এছাড়া দেশি চিনি ৭২ টাকা, আমদানি করা চিনি ৬৮ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বোতলজাতের সয়াবিন তেল কোম্পানি ভেদে প্রতি লিটার ১১০ থেকে ১৪০ টাকায়, সরিষা ১২০ থেকে ২শ’ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া মুদি পণ্যের মধ্যে বৃদ্ধি পাওয়া কোনো পণ্যে দাম কমছে না।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট