চট্টগ্রাম শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪

সর্বশেষ:

রেল স্টেশন চত্বরে সংবর্ধনায় রেজাউল করিম

জয়ী হলে পরিকল্পিত নগর গড়ে তুলতে কাজ করবো

মাদক ও সন্ত্রাসমুক্ত নগরী গড়ার স্বপ্ন হ অর্থবিত্তের প্রতি কোনো মোহ নেই

নিজস্ব প্রতিবেদক

২০ ফেব্রুয়ারি, ২০২০ | ৫:৫৪ পূর্বাহ্ণ

আসন্ন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক) নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী রেজাউল করিম চৌধুরী বলেছেন, আমি জয়ী হলে চট্টগ্রামকে একটি পরিকল্পিত নগর হিসেবে গড়ে তুলতে কাজ করবো। সকলকে সঙ্গে নিয়ে একটি বসবাসযোগ্য, মাদক ও সন্ত্রাসমুক্ত নগরী গড়ার স্বপ্ন রয়েছে তার। একটা কথা দিতে পারি, অর্থবিত্তের প্রতি আমার কোনো মোহ নেই। গতকাল বুধবার বিকালে নগরীর পুরাতন রেল স্টেশন চত্বরে নগর আওয়ামী লীগ আয়োজিত সংবর্ধনায় তিনি একথা বলেন।

রেজাউল করিম বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনা আমার ওপর আস্থা রেখেছেন। জীবনের শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে হলেও তার মর্যাদা রক্ষা করবো। জহুর আহমদ চৌধুরী, এমএ আজিজ, মহিউদ্দীন চৌধুরীর পথ অনুসরণ করবো। চট্টগ্রামবাসীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে তিনি বলেন, নির্বাচনে যদি জয়ী ­হতে পারি তাহলে মানুষের পাশে থাকবো। এই শহরের যে উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রয়েছে তা আরও এগিয়ে নিতে কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।

মেয়র পদে আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশীদের সবাই যোগ্য ছিলেন উল্লেখ করে বলেন, নেত্রী আমাকে বেছে নিয়েছেন। আমি তার প্রতিদান দেবো। বক্তব্যদানকালে তিনি স্মরণ করেন চট্টলার শেখ মোজাজফর আহমদ, এম এ আজিজ, জহুর আহমদ চৌধুরী, এম এ হান্নান, এম এ মান্নান, কাজেম আলী মাস্টার, মনিরুজ্জামান ইসলামাবাদী, আতাউর রহমান খান কায়সার, আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবু এবং সদ্যপ্রয়াত চট্টলবীর এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীকে।’
তিনি বলেন, মহিউদ্দিন চৌধুরী ১৭ বছর মেয়র ছিলেন। বর্তমান মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনের রেখে যাওয়া অসমাপ্ত কাজগুলো আমি যদি নির্বাচিত হই তা অবশ্যই বাস্তবায়ন করতে আমি সচেষ্ট হবো। বিগত আমার পূর্বসূরী মেয়রদের আমি যেভাবে সহযোগিতা করেছি আমি নির্বাচিত হলেও আমি সেই সহযোগিতা প্রত্যাশা করি। আমি নির্বাচিত হলে চেষ্টা করব চট্টগ্রামের উন্নয়নের কাজে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ সহ সরকারি এবং আধা সরকারি ও স্বায়িত্ত্বশাষিত প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সমন্বয় করে স্থানীয় সরকার ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করার উদ্যোগ নেব।

দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি চট্টগ্রাম ৮ আসনের সংসদ সদস্য মোছলেম উদ্দিন আহমদ বলেন, নগর আওয়ামী লীগের পাঁচটি ওয়ার্ড থেকে নগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক শক্তির ভিত্তি উপলব্ধি করেছি। নগর আওয়ামী লীগের সর্বস্তরের নেতাকর্মীরা আমার জন্য যে অবদান রেখেছেন তাদের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ। আমি আশাবাদী এই সাংগঠনিক শক্তি দিয়ে আগামী ২৯ মার্চ অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচনে মেয়র পদে জননেত্রী শেখ হাসিনার মনোনীত প্রার্থী রেজাউল করিমকে নৌকা প্রতীকে ভোট দিয়ে বিজয়ী করতে পারবো ইনশাল্লাহ।

উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এম এ সালাম বলেন, বঙ্গবন্ধু তনয়া জননেত্রী শেখ হাসিনা মাঠের মানুষকে রাজনীতিতে পছন্দ করেন বলেই এম রেজাউল করিম চৌধুরীকে মেয়র পদে নৌকা প্রতীক দিয়েছেন। সামাজিক অর্থনৈতিক রাজনৈতিক ও পারিবারিকভাবে যিনি গ্রহণযোগ্য তাকে নেত্রী বেছে নিয়েছেন। এক্ষেত্রে তাকে বিজয়ী করার আমাদের সংকল্প।
নগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দীন চৌধুরী সভাপতির বক্তব্যে বলেন, পরীক্ষিত ও ত্যাগী এবং মেধাবীদের রাজনীতিতে আসার সুযোগ তৈরি করে দিয়েছেন বঙ্গবন্ধু তনয়া শেখ হাসিনা। তারই উল্লেখযোগ্য প্রকাশ রেজাউল করিম চৌধুরী যিনি বহদ্দারবাড়ি জমিদার বংশের এবং বীর মুক্তিযোদ্ধা রাজপথের কর্মী তাকে বিজয়ী করতে পারলে নগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক শক্তি সুদৃঢ় হবে। আমাদের বিশ্বাস মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক শক্তি দিয়ে মেয়র পদটিই আমরা জননেত্রী শেখ হাসিনাকে উপহার দিবো।

সিটি মেয়র ও নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীনের মা গত মঙ্গলবার রাতে নগরীর ম্যাক্স হাসপাতালে ভর্তি হন। গতকাল বুধবার তাকে হাসপাতালের সিসিইউতে স্থানান্তর করা হয়। মায়ের পাশে অবস্থান করার কারণে তিনি রেল স্টেশনের দলীয় সংবর্ধণা অনুষ্ঠানে উপস্থিত হতে পারেননি বলে নগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নোমান আল মাহমুদ পূর্বকোণকে জানিয়েছেন।

এসময় ট্রাকে স্থাপিত মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ মো. আতাউর রহমান আতা, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান, মহানগর আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি এড. ইব্রাহীম হোসেন চৌধুরী বাবুল, খোরশেদ আলম সুজন, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান জহিরুল আলম দোভাষ, আলতাফ হোসেন চৌধুরী বাচ্চু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বদিউল আলম, এম এ রশিদ, আবদুচ ছালাম, উপদেষ্টা সফর আলী, এনামুল হক চৌধুরী, শেখ মাহমুদ ইসহাক, উত্তর জেলা আওয়ামী লীগ নেতা গিয়াস উদ্দীন, সম্পাদক ম-লীর সদস্য নোমান আল মাহমুদ, শফিক আদনান, শফিকুল ইসলাম ফারুক, হাসান মাহমুদ শমশের, এড. শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী, চন্দন ধর, মশিউর রহমান, আহমেদুর রহমান সিদ্দিকী, জহুর আহমদ, ইঞ্জি. মানস রক্ষিত, জালাল উদ্দীন ইকবাল, দেবাশীষ গুহ বুলবুল, আবদুল আহাদ, মো. শহীদুল আলম, জহর লাল হাজারী, গাজী শফিউল আজিম, আবুল মনসুর, কামরুল হাসান বুলু, সৈয়দ আমিনুল হক, সাইফুদ্দীন খালেদ বাহার, আবদুল লতিফ টিপু, নগর শ্রমিক লীগের সভাপতি বখতেয়ার উদ্দীন খান, সাধারণ সম্পাদক কাজী মাহবুবুল হক চৌধুরী এটলী, নগর যুবলীগের আহ্বায়ক মহিউদ্দিন বাচ্চু, চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির নব নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক ও নগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহ্বায়ক এড. আবুল হোসেন মোহাম্মদ জিয়াউদ্দীন, যুগ্ম আহ্বায়ক কে বি এম শাহজাহান, নগর যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক দেলোয়ার হোসেন খোকা, মাহবুবুল হক সুমন, নগর ছাত্রলীগের সভাপতি ইমরান আহমেদ ইমু, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া দস্তগীর প্রমুখ।
সমাবেশশেষে রেজাউল করিম চৌধুরী হযরত আমানত শাহ মাজার জিয়ারত শেষে নিজ বাড়ি বহদ্দার বাড়িতে গিয়ে তার মরহুম পিতা মাতার কবর জিয়ারত করেন। আজ বৃহস্পতিবার সকালে রেজাউল করিম চৌধুরী চট্টগ্রামের প্রয়াত নেতৃবৃন্দের কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট