চট্টগ্রাম শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

বোয়ালখালী জলিল আম্বিয়া কলেজ নানা অভিযোগ অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে

নিজস্ব সংবাদদাতা, বোয়ালখালী

২০ ফেব্রুয়ারি, ২০২০ | ৫:২০ পূর্বাহ্ণ

উপজেলার অন্যতম উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কধুরখীল জলিল আম্বিয়া কলেজের অধ্যক্ষ তিলক বরণ দে’র বিরুদ্ধে ইউএনও অফিসে গত ৯ ফেব্রুয়ারি নানান অনিয়ম, অশালীন আচরণ ও দুর্ব্যবহারের অভিযোগ এনেছেন একই কলেজের বাংলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক রুমা রাণী পাল।

অন্যদিকে গত ৭ ফেব্রুয়ারি কলেজ গভর্নিং বডির সভাপতির মতামত ছাড়া একই শিক্ষকসহ আরও দুই শিক্ষকের সাময়িক বরখাস্ত ও কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রেরণের আলোচ্যসূচি নিয়ে গত বৃহস্পতিবার গভর্নিং বডির সভা আহ্বান করেন কলেজ অধ্যক্ষ। বিষয়গুলো নিয়ে অভিযোগ পাল্টা অভিযোগের মুখে নির্ধারিত সভা স্থগিত করেন গভর্নিং বডির সভাপতি। এদিকে অভিযোগের ভিত্তিতে গত বৃহস্পতিবার কলেজে সরেজমিনে তদন্ত করেছেন ইউএনও’র প্রতিনিধি উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার। অভিযোগসূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন যাবত কলেজের সহকারী অধ্যপক রুমা রাণী পালের সাথে অশালীন আচরণ, দুর্ব্যবহার করে আসছেন কলেজের অধ্যক্ষ তিলক বরণ দে। এছাড়া রয়েছে হাজিরা স্বাক্ষরে বাধা, ছুটির দরখাস্ত ছুড়ে ফেলে দেয়া, গালি দেয়া, মানসিক হয়রানি ইত্যাদি। এ নিয়ে ইতোপূর্বে তিনি বিষয়টি কলেজ সভাপতি, ইউএনও, জনপ্রতিনিধিদের জানিয়েছেন বলেও অভিযোগে বলা হয়। এর প্রতিবাদে কলেজ থেকে বরখাস্তের এজেন্ডা দাঁড় করিয়ে সভা আহ্বান করেন অধ্যক্ষ নিজেই, এমন অভিযোগ অধ্যাপক রুমা রাণী পালের। তিনি বলেন, প্রতিনিয়ত নারীকে উত্ত্যক্ত করার মতো ঘটনার জন্ম দিচ্ছেন অধ্যক্ষ মহোদয়। এ কারণে কলেজে পাঠদান ও কাজ করা দুরূহ হয়ে পড়েছে। জানা যায়, তিনজন তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী নিয়োগ প্রক্রিয়া চূড়ান্ত করেছেন অধ্যক্ষ নিজেই। এ নিয়েও রয়েছে কলেজে তার বিরুদ্ধে নানান অভিযোগ। তবে সব অভিযোগ অস্বীকার করে অধ্যক্ষ তিলক বরণ দে বলেন, এগুলো ভুয়া ও মিথ্যা। কলেজের সুনাম ও আমাকে অপমান করার জন্য মূলত এ অভিযোগ। তিনি বলেন, একই শিক্ষক দেড় মাস আগে একই অভিযোগ করেছিলো আমার বিরুদ্ধে, যা মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে। গত ৯ তারিখের অভিযোগের ভিত্তিতে একাডেমিক সুপারভাইজার তদন্ত করেছেন। আমি কারও সাথে কখনও অশালীন আচরণ করতে পারি না। বরং আমি একা অফিসে থাকলে সহকারী শিক্ষক কাউকে অফিসে না আসতে আদেশ দিয়েছি।

গভর্নিং কমিটির আইনে সভাপতি সভার আলোচ্যসূচিতে সম্মতি দিলেই তা সভায় উপস্থাপিত হওয়ার কথা এক্ষেত্রে তা মানা হয়নি এমন অভিযোগ কলেজের একাধিক শিক্ষকের। তদন্তকারী কর্মকর্তা একাডেমিক সুপারভাইজার সঞ্চিতা পাল বলেন, তদন্ত করেছি। অনেক ঘটনা যাচাই বাছাই হবে। তদন্ত শেষ করে পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন দেয়া হবে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার আছিয়া খাতুন বলেন, একাধিকবার মৌখিক অভিযোগ শুনেছি। এখন লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টির সুষ্ঠু তদন্ত হবে। কলেজ গভর্নিং কমিটির সভাপতি প্রয়াত সাংসদ মঈন উদ্দিন খান বাদলের স্ত্রী সেলিনা খান বাদল বলেন, আমার থেকে অনুমোদন ছাড়া অধ্যক্ষ সভা ডেকেছেন। সভায় নিয়োগ, বরখাস্ত ও শোকজের মতো জটিল বিষয় আলোচ্য সূচিতে আনা হয়েছে। এজেন্ডাগুলো নিয়ে আমি বিশ্লেষণ করব, তারপর মিটিং। আমি গত বৃহস্পতিবারের নির্ধারিত সভা স্থগিত করে দিয়েছি। নারী শিক্ষকের অভিযোগ ব্যাপারে বলেন, অভিযোগ করা হয়েছে, তদন্ত হচ্ছে। দোষী যে-ই হোক, তাকে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট