চট্টগ্রাম মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪

চিটাগং ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটি ক্যাম্পাস জবে আগ্রহী শিক্ষার্থীরা

২০ ফেব্রুয়ারি, ২০২০ | ১:৩২ পূর্বাহ্ণ

‘ক্লাসের ফাঁকে ফাঁকে এখানে কাজ করছি। খুব ভাল লাগছে। প্রশাসনিক কাজের দক্ষতা বাড়ছে। আমরা নিজেরাই শিক্ষার্থী, নিজেরাই আবার নিজেদের বিশ^বিদ্যালয় পরিচালনা করছি।’

ঠিক এভাবেই কথাগুলো বলছিলেন বিবিএ’র ছাত্রী উম্মে হানি চৌধুরী। পড়ছেন চিটাগং ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটিতে (সিআইইউতে)। তবে কেবল উম্মে হানি নয়, তার মতো সিআইইউর এমন আরও বিভিন্ন অনুষদের শিক্ষার্থীরাও পড়ালেখার ফাঁকে ফাঁকে এখানে ক্যাম্পাস জবের সঙ্গে জড়িত রয়েছেন। ‘স্টুডেন্ট সাপোর্ট’ হিসেবে যারা কাজ করছেন ভালো ফলাফলের ভিত্তিতে। কাজ করতে গিয়ে তাদের অভিজ্ঞতা কেমন কিংবা সিআইইউর বড় কর্মকর্তাদের পাশে থেকে কাজ শেখার অনুভূতিগুলো কি-এমন সব চমৎকার বিষয়গুলো উপাচার্য ড. মাহফুজুল হক চৌধুরীর কাছে ব্যক্ত করতে পেরে তারা যেনো ভীষণ আনন্দিত। গত ১৮ ফেব্রুয়ারি নগরের জামাল খানের সিআইইউ ক্যাম্পাসের কনফারেন্স রুমে এই উপলক্ষে স্টুডেন্ট সাপোর্টদের নিয়ে অনুষ্ঠিত হয় মতবিনিময়। এই সময় ক্যাম্পাস জবের সঙ্গে জড়িত ১০ জন ছাত্র-ছাত্রী তাদের কাজের গল্পগুলো অনুষ্ঠানে তুলে ধরেন।

কেউ কেউ জানান, হাতে কলমে কাজ শেখার কারণে তাদের ভেতর আগের চেয়ে দায়িত্বশীলতার গুণটি বহুগুণ বেড়েছে। অনেকে আবার জানান, সময় মতো কাজ শেষ করা, ফাইল প্রস্তুত করা, সিনিয়রদের কাজগুলো খুব কাছ থেকে দেখা, চ্যালেঞ্জ নেওয়া-এমন সব বিষয়গুলো তাদেরকে জীবনে প্রতিষ্ঠিত হতে সবসময় অনুপ্রেরণা যোগাচ্ছে।

সিআইইউর উপাচার্য ড. মাহফুজুল হক চৌধুরী কোনো কাজই ছোট নয় উল্লেখ করে অনুষ্ঠানে বলেন, সময়ের কাজ সময়ে সম্পন্ন করতে হবে। কাজের ভেতর লুকিয়ে আছে সৃষ্টিশীলতা। সুস্থ কর্মচর্চার মধ্য দিয়ে মানুষ বড় হয়ে ওঠে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
সিআইইউর ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার আনজুমান বানু লিমার প্রাণবন্ত সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে আরও বক্তব্য দেন পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক সরকার কামরুল মামুন, ফিন্যান্স এন্ড একাউন্টস শাখার ভারপ্রাপ্ত পরিচালক সালমা বেগম (এফসিএ), সিআইটিএস শাখার উপ-পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী, এডমিন শাখার উপ-পরিচালক কুমার দোয়েল দে, সহকারি পরিচালক মো. আশরাফুল হক, সিনিয়র অফিসার জাফরীন চৌধুরী, বিশ^নাথ দে প্রমুখ। -বিজ্ঞপ্তি

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট