চট্টগ্রাম শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

কক্সবাজারে এক কোটি ইয়াবা লুট : মিলছে না সুরাহা

নিজস্ব সংবাদদাতা, কক্সবাজার

১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২০ | ৪:৩৩ পূর্বাহ্ণ

কক্সবাজার শহরের মাঝিরঘাট এলাকা থেকে প্রায় এক কোটি ইয়াবা ট্যাবলেট লুট হওয়ার ঘটনার এখনো সুরাহা হয়নি। লুট হওয়ার ১০ দিন পার হয়ে গেলেও কোনো কূলকিনারা পাচ্ছে না পুলিশ। তবে পুলিশ বলছে, প্রায় ১০ লাখ ইয়াবা ট্যাবলেট খালাসের বিষয়টি তারা বিভিন্ন মাধ্যমে শুনেছেন এবং সেখানে পরিদর্শনেও গিয়েছিলেন। এই ঘটনায় কয়েকজনের নামও তারা পেয়েছেন। মূল ঘটনা বের করতে পুলিশ কাজ করছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত ৮ ফেব্রুয়ারি বিকালে কক্সবাজার শহরের বাঁকখালী নদীর মাঝিরঘাটস্থ আবু ছৈয়দ কোম্পানির জেটিতে মাছ ধরা ট্রলারে করে ইয়াবার একটি বিশাল চালান খালাস হয়। টেকপাড়া এলাকার ইয়াবা নিয়ে সক্রিয় গ্রুপটি এই ইয়াবা ট্যাবলেট লুট করে বলে জানা গেছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে বাঁকখালী নদীর তীরে মাঝির ঘাটের বিভিন্ন জেটি দিয়ে ইয়াবার চালান খালাস হয়। মাছ ধরার ট্রলার নিয়ে বিভিন্ন সময় এসব জেটি দিয়ে ইয়াবা খালাসের বিষয়ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অবগত রয়েছে। ইয়াবা খালাসের নিরাপদ রুট হিসেবে ওই এলাকায় গড়ে উঠেছে একটি ইয়াবা সিন্ডিকেটও। যারা নিয়মিত ইয়াবা বিক্রি ও লুটের ঘটনায় জড়িত। এই ইয়াবা লুটের মূল কারিগর হলো মিজান নামে এক যুবক। মিজান টেকপাড়া এলাকার জজ বাবুলের ছেলে নামে পরিচিত। মিজান ছাড়াও ওই এলাকার বাবু, নাছির, নুরুল হুদা ও ফয়সাল এই লুটের ঘটনায় জড়িত বলেও ইতিমধ্যে তথ্য পেয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। তবে তারা যে যার মতো করে বর্তমানে পলাতক রয়েছে।

সর্বশেষ ৮ ফেব্রুয়ারি (শনিবার) বিকালে আবু ছৈয়দ কোম্পানির জেটিতে প্রায় এক কোটি (স্থানীয় সূত্রে) ইয়াবা ট্যাবলেট খালাস হয়। খালাস হওয়ার খবরের বিষয়টি জানতে পেয়ে একটি চক্র ইয়াবা ট্যাবলেটগুলো লুট করে। অবৈধভাবে ইয়াবা খালাস ও লুটের ঘটনায় এখন তোলপাড় চলছে।
শহরের মাঝিরঘাটস্থ আবু ছৈয়দ বরফ মিলের মালিক দাবিদার হেলাল উদ্দিন বলেন, আমি গত ১৫ দিন ধরে চট্টগ্রামে ছিলাম। আমার জেটি দিয়ে ইয়াবা খালাস বা লুটের বিষয়টি আমি অবগত নই।
জানতে চাইলে সদর থানার ওসি মো. শাহজাহান কবির বলেন, বিভিন্ন মাধ্যমে মাঝিরঘাট এলাকায় ইয়াবা লুটের বিষয়টি শুনেছি। লুটের ঘটনায় স্থানীয় মিজানসহ একটি চক্র জড়িত বলেও খবর পাওয়া গেছে। তবে এখনো সঠিক তথ্য বা কারণ জানা যাচ্ছে না। ইয়াবা লুট বা খালাসে যারা জড়িত, পুলিশ তাদের বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করে আটকের চেষ্টা চালাচ্ছে।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট