চট্টগ্রাম শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪

চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক

পুরোদমে চলছে চার সেতুর নির্মাণ কাজ

সুকান্ত বিকাশ ধর, সাতকানিয়া

১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২০ | ৬:৪৪ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে দক্ষিণ চট্টগ্রামের সাতকানিয়া ও চন্দনাইশ উপজেলার সেতুবন্ধন সাঙ্গু নদীর ওপর সাঙ্গু সেতুসহ ছয় লেনের মহাসড়কে চারটি নতুন সেতু নির্মাণকাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলছে। কাজের ক্রমধারা সন্তোষজনক বলা যায়। পর্যায়ক্রমে দৃশ্যমান হচ্ছে সেতুগুলো। নির্মাণকাজ ইতিমধ্যে ৪০% শেষ হয়েছে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।

পৃথিবীর দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত ও বিখ্যাত পর্যটন নগরী কক্সবাজার ঘিরে অনেক মেগাপ্রকল্প বিদ্যুৎগতিতে বাস্তবায়ন করছে বর্তমান সরকার। ফলে এসব প্রকল্প ঘিরে দেশি-বিদেশিদের আনাগোনা বেড়েছে। পর্যটননগরী কক্সবাজার ও বাংলাদেশের দার্জিলিংখ্যাত পার্বত্য জেলা বান্দরবানের সাথে যোগাযোগের প্রধান মাধ্যম চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক। দেশের পর্যটন খাতের সিংহভাগ রাজস্ব উপার্জন এই সড়কপথের ওপর নির্ভরশীল। চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক চার লেনে উন্নীতকরণ প্রকল্প এখন পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানা গেছে। এর আগেই জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সির (জাইকা) বেশিরভাগ আর্থিক সহায়তায় চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে ছয় লেনের চারটি নতুন সেতু নির্মাণকাজ বেশ ভালোভাবেই এগিয়ে চলছে। দিনরাত সমানতালে চলছে শ্রমিকদের কর্মযজ্ঞ। অত্যাধুনিক প্রযুক্তিতে নির্মিত এসব সেতুর দু পাশে হালকা যানবাহন চলাচলের জন্য বিশেষ সুবিধা রাখা হয়েছে বলে জানা গেছে। চারটি সেতুর নির্মাণকাজ বাস্তবায়ন করছে স্পেক্টা ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেড নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।

জানা গেছে, সরকার ও জাইকার যৌথ অর্থায়নে ক্রস বর্ডার রোড নেটওয়ার্ক ইমপ্রুভমেন্ট প্রকল্পের অধীনে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে নির্মাণাধীন সাঙ্গু নদীর উপর সাঙ্গু সেতুর দৈর্ঘ্য ২৩৮ মিটার, প্রস্থ ৩১.২০ মিটার। অপর তিনটি সেতুর মধ্যে পটিয়া ইন্দ্রপোল সেতুর দৈর্ঘ্য ৬০ মিটার, প্রস্থ ৩১.২০ মিটার। চন্দনাইশের বরুমতি খালের ওপর মাজার পয়েন্ট সেতুর দৈর্ঘ্য ৬০.১৫ মিটার, প্রস্থ ৩১.২০ মিটার এবং কক্সবাজার জেলার চকরিয়ায় মাতামুহুরী নদীর ওপর মাতামুহুরী সেতুর দৈর্ঘ্য ৩২১ মিটার প্রস্থ’, ৩১.২০ মিটার।

কাজের অগ্রগতি জানতে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে স্পেক্টা ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেডের প্রকৌশলী জিয়াউল হক জানান, ‘চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে ছয় লেনের চার সেতুর নির্মাণকাজ ইতিমধ্যে ৪০% সম্পন্ন হয়েছে। সাতকানিয়া ও চন্দনাইশ উপজেলার মধ্য দিয়ে প্রবাহিত সাঙ্গু নদীর ওপর সাঙ্গু সেতুর পাইলিংয়ের কাজ শেষে বর্তমানে পিলার নির্মাণ করা হচ্ছে। ২৩৮ মিটার দৈর্ঘ্যরে এই সেতুটিতে মোট পিলার হবে ৭টি, ইতিমধ্যে চারটি পিলার নির্মাণ শেষ হয়েছে। একটি পিলার থেকে আরেকটি পিলারের দূরত্ব ৪০ মিটার। প্রতিটি পিলারের নিচে সর্বোচ্চ ৩৪ মিটার থেকে সর্বনিম্ন ৩০ মিটার গভীরতায় সর্বোচ্চ ১৬টি থেকে সর্বনিম্ন ৯টি পাইল বসানো হয়েছে। তাছাড়া সেতুটির এপ্রোচ সড়কের কাজও ১০% শেষ হয়েছে। এদিকে চন্দনাইশ উপজেলায় বরুমতি খালের ওপর মাজার পয়েন্ট সেতুর পাইলিংয়ের কাজ সম্পন্ন হয়েছে এবং পটিয়ার ইন্দ্রপুল সেতুর পাইলিংয়ের কাজ শেষের দিকে। কক্সবাজারের চকরিয়া মাতামুহুরী নদীর ওপর মাতামুহুরী সেতুর পাইলিংয়ের কাজ শেষে বর্তমানে পিলার নির্মাণকাজও প্রায় শেষ পর্যায়ে। সেতুটিতে পিলার হবে মোট ৯টি, ইতিমধ্যে ৬টি পিলার নির্মাণ সম্পন্ন হয়েছে।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট