চট্টগ্রাম শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

এক নজরে রেজাউল করিম চৌধুরী

১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২০ | ৬:৩৮ পূর্বাহ্ণ

পিতা: মরহুম হারুন-অর-রসিদ চৌধুরী, মাতা: মরহুমা সামসুন নাহার বেগম, দাদা: মরহুম ছালেহ আহমদ চৌধুরী (এডভোকেট)। 

পিতা মরহুম হারুন-অর-রশীদ চৌধুরী ছিলেন একজন উচ্চ পদস্থ সরকারি কর্মকর্তা ও দাদা ছালেহ আহমদ ছিলেন ইংরেজ শাসিত ভারত এবং পাকিস্তান আমলে চট্টগ্রামের একজন খ্যাতিমান আইনজীবী ও চট্টগ্রামে বৃটিশ আমলে প্রতিষ্ঠিত বিলুপ্ত কমরেড ব্যাংকের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা। তিনি পাকিস্তান আন্দোলন ও বাংলাদেশের স্বধীনতা আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। পরিবারের বড় ভাই অধ্যাপক সুলতানুল আলম চৌধুরী ছিলেন একজন রাজনীতিবিদ। তিনি ১৯৫৪ সালের যুক্ত ফ্রন্ট নির্বাচনে প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। এছাড়াও তার পূর্ব পুরুষেরা চট্টগ্রামের বিভিন্ন জায়গায় ২৩টি মসজিদ প্রতিষ্ঠাসহ অসংখ্য জনকল্যাণমূলক কাজ করেছেন। যার কারণে এলাকার জনসাধারণ এখনও শ্রদ্ধা ভরে খ্যাতিমান ঐতিহ্যবাহী বহরদার পরিবারের কথা।
জন্ম: ৩১ মে ১৯৫৩ সালে চট্টগ্রামের চান্দগাঁও থানার অন্তর্গত ৬নং পূর্ব ষোলশহর ওয়ার্ডের ঐতিহ্যবাহী ও প্রাচীন জমিদার বংশ বহরদার পরিবারে তিনি জন্মগ্রহণ করেন।
শিক্ষা জীবন : সাবেক বৃহত্তর পাঁচলাইশ থানায় তাঁর পরিবারের পূর্ব পুরুষেরা এলাকায় শিক্ষার প্রসারের জন্যে ১৮২০ সালে বহরদার হাটে নিজস্ব জমির উপর প্রতিষ্ঠা করেন পূর্ব ষোলশহর প্রাথমিক বিদ্যালয়। উক্ত বিদ্যালয় থেকে ১৯৬২ সালে ৫ম শ্রেণি এবং পরবর্তীতে চট্টগ্রাম সরকারি মুসলিম হাই স্কুল থেকে এস.এস.সি পাশ করেন। চট্টগ্রাম কলেজ থেকে এইচ.এস.সি. এবং চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ব্যাচেলর অব আর্টস ডিগ্রী অর্জন করেন এবং তারপর আইন বিষয়ে পড়াশোনার জন্যে ভর্তি হন। কিন্তু জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকা-ের পর হত্যার প্রতিবাদে সামরিক দুঃশাসনের বিরুদ্ধে সক্রিয় প্রতিরোধ লড়াইয়ে নেমে ফাইনাল পরীক্ষা দিতে পারেননি।
রাজনৈতিক জীবন:
১৯৬৭ সালে পূর্ব পাকিস্তান ছাত্রলীগে যোগ দেন।
১৯৬৯-১৯৭০ সালে সাংগঠনিক সম্পাদক চট্টগ্রাম কলেজ ছাত্রলীগ।
১৯৭০-১৯৭১ সালে ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক চট্টগ্রাম কলেজ ছাত্রলীগ।
১৯৭২-১৯৭৬ সালে সভাপতি চট্টগ্রাম কলেজ ছাত্রলীগ।
১৯৭০ সালে বৃহত্তর চট্টগ্রাম জেলা ছাত্রলীগ কার্যকরি কমিটির সদস্য।
১৯৭২-১৯৭৩ সালে দপ্তর সম্পাদক চট্টগ্রাম জেলা ছাত্রলীগ।
১৯৭৩-১৯৭৫ সালে সাংগঠনিক সম্পাদক চট্টগ্রাম উত্তর জেলা ছাত্রলীগ।
১৯৭৬-১৯৭৮ সালে সাধারণ সম্পাদক চট্টগ্রাম উত্তর জেলা ছাত্রলীগ।
১৯৭৮-১৯৭৯ সালে আহ্বায়ক চট্টগ্রাম উত্তর জেলা ছাত্রলীগ।
১৯৮০ সালে চট্টগ্রাম মহানগর যুবলীগের কার্যকরি কমিটির সদস্য।
১৯৯২ মহানগর আওয়ামী লীগের কার্যকরি কমিটির সদস্য।
১৯৯৭-২০০৬ সালে মহানগর আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক।
২০০৬-২০১৪ সালে মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক।
২০১৪ সালে থেকে মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ন-সাধারণ সম্পাদক পদে দায়িত্ব পালন করছেন।
চট্টগ্রামের উন্নয়নের দাবিতে সর্বপ্রথম সংগঠন চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ ও চট্টগ্রামের দুঃখ নামে খ্যাত চাক্তাই খাল খনন সংগ্রাম কমিটির প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান ছিলেন ১৯৮৩-১৯৯৪ সাল পর্যন্ত। চট্টগ্রাম বিজয় মেলা পরিষদের ব্যবস্থাপনা কমিটির আহ্বায়ক ছিলেন ১৯৯১-১৯৯২ সাল পর্যন্ত। চট্টগ্রাম বিজয় মেলা পরিষদের মহাসচিব ছিলেন ২০১১সালে এবং ভাইস চেয়ারম্যান ছিলেন ২০১৪ সালে। সামশুন নাহার পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট ও সামশুন নাহার টেকনিক্যাল ট্রেনিং ইনস্টিটিউটের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান। সভাপতি চান্দগাঁও এন এম সি উচ্চ বিদ্যালয় ও পূর্ব ষোলশহর ওয়াছিয়া আহমদিয়া মাদ্রাসা পরিচালনা পর্ষদ। সভাপতি বদর শাহী জামে মসজিদ পরিচালনা কমিটি। তার প্রকাশিত প্রকাশনা : সম্পাদক-মাসিক অযুত কন্ঠ (১৯৭২),বঙ্গবন্ধু হত্যাকা-ের পর ১৯৭৬ সালে সামরিক শাসনকে উপেক্ষা করে ‘সূর্যপথ’ পত্রিকা প্রকাশ করেন।
পাক্ষিক পত্রিকা ‘বারুদ’ এর সম্পাদক।
প্রকাশিত বই : জামায়াত শিবিরের হিং¯্রতা ও ধর্মীয় রাজনীতি (১৯৯৩), কালো টাকা নির্ভর রুগ্ন রাজনীতি থেকে মুক্ত হতে হবে (২০১৪), ছাত্রলীগ ষাটের দশকে চট্টগ্রাম (২০১৬) এবং স্বদেশের রাজনীতি ও ঘরের শত্রু বিভীষন (২০১৯)।
ব্যক্তিগত জীবন : স্ত্রী, দুই কন্যা এবং এক পুত্রের জনক এম রেজাউল করিম চৌধুরী।
স্ত্রী- সেলিনা আক্তার, মেয়ে-তানজিনা শারমিন নিপুন (শিক্ষক চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ও বর্তমানে সরকারি বৃত্তি নিয়ে পি.এইচ.ডি ডিগ্রী অর্জনের জন্যে বিদেশে পড়াশোনা করছেন)। দ্বিতীয় কন্যা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রী অর্জন করেছেন এবং ছোটো ছেলে ইমরান রেজা চৌধুরী কেমিক্যাল প্রকৌশল বিষয় নিয়ে পড়াশোনা করছেন।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট