চট্টগ্রাম শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

২১ মে, ২০১৯ | ২:৫১ পূর্বাহ্ণ

গারারা, সারারা, সানাছাফিনা, সিলবারএন, সিম্বা বিচিত্রা নজর কাড়ছে মেয়েদের। এসব পোশাক কিনতে সব দোকানেই ভিড়। কোথাও তিল ধারণের ঠাঁই নেই। শুধু নারী নয়। কেনা-কাটায় ব্যস্ত ছেলেরাও। আবার বাবা-মার সাথে আছে শিশুরাও। ঈদের কেনাকাটা পুরোদমে জমে উঠেছে নগরীর স্যানমার ওসান সিটি। বাহারি আলোকসজ্জায় সাজানো শপিংমলটি মূলত মধ্যবিত্ত, উচ্চমধ্যবিত্ত ও উচ্চবিত্ত মানুষের কাছে এক নামেই পরিচিত। বাইরে সারি সারি গাড়ি পার্কিং। ভেতরেও একই অবস্থা। ক্রেতাদের আগমনে সরগরম হয়ে আছে প্রতিটি দোকান। ছয়তলা বিশিষ্ট মার্কেটটি সম্পুর্ণ শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত। নারী পুরুষ ও শিশুদের পোশাক, জুতা, কসমেটিক, গহনা, হিজাব-ওড়না, ঘড়ি, সানগ্লাস ও খাবারের দোকানসহ পুরো মল জুড়ে চার‘শ পনেরটি দোকান আছে। মলটির নিচতলায় আছে ছেলেদের পাঞ্জাবি, শার্ট, প্যান্ট, ফতুয়াও বিভিন্ন প্রকার বেবি আইটেম। প্রতিটি দোকানেই ছিল ছেলেদের ভিড়। শৈল্পিক, ইউল, ইজি, ক্র্যাফট গোল্ড, ক্যাটস আই ও ব্লু মুন ব্যান্ডের দোকানগুলোতে ঈদ উপলক্ষে আসেছে ছেলেদের ফ্যাশনেবল শার্ট, প্যান্ট ও পাঞ্জাবি। নজর কাড়া এসব পোশাক স্থান পাচ্ছে ছেলেদের পছন্দের তালিকায়। শৈল্পিকে পাঞ্জাবি ও শার্ট কিনতে আসেন আরিফ চৌধুরী ও স্ত্রী লিমা চৌধুরী। তারা বলেন, ঈদ উপলক্ষে শৈল্পিক থেকে আমার বাবা, ছেলে ও আমার জন্য পাঞ্জাবি কিনতে এসেছি। এখান থেকে আমি ঈদের সব পোশাক কিনেছি। এই ব্যান্ডের কাপড় আমার খুব পছন্দের। তবে এখানে দাম একটু বেশি । সাথে স্ত্রী ঘুরে ঘুরে পোশাক পছন্দ করে দিচ্ছেন তাকে। মলটির ২য় তলা জুড়ে আছে মেয়েদের পোশাক, কসমেটিকস, গহনা ও জুতার দোকান। প্রতিটি দোকানেই মেয়েদের ভিড় ছিল লক্ষনীয়। বিচিত্র নামের এ গাউনগুলো পাঁচ হাজার টাকা থেকে পনের হাজার টাকা পর্যন্ত আছে। এদোকান সে দোকান ঘুরে ঘুরে দেখছেন তারা। পোশাক কেনা হলেই ছুটছে জুতা ও কসমেটিকের দোকানগুলোতে। পোশাক কেনার ক্ষেত্রে মেয়েদের পছন্দে স্থান পাচ্ছে শৈল্পিক, বৈশাখী, জারা, সাজ ফ্যাশন, কিউ আই এস ফ্যাশন, নক্ষত্র, টিয়া, পরিনীতা, সাম্পান ও এনজেল। ক্রেতারা খুজে নিচ্ছেন তাদের পছন্দের পোশাকগুলো। জারা থেকে গাউন কিনেছে প্রিয়া খন্দকার। সাড়ে আট হাজার টাকা দিয়ে নিল রঙ্গের একটা সানাছাফিনা গাউন কিনেছেন তিনি। তিনি বলেন, এখানে গাউন ও থ্রিপিসের অনেক ভালো ভালো কালেকশন আসছে। অনেকগুলো দোকান ঘুরে এখানে গাউনটি পছন্দ হয়েছে। তাই নিয়ে ফেলেছি। জারার বিক্রেতারা মো. সুমন বলেন, ঈদ উপলক্ষে আমরা দোকানে নতুন ও ডিজাইনেবল পোশাক তুলেছি। এবারের ঈদের গাউনের মধ্যে গারারা, সারারা, সানাছাফিনা, সিলবারএন, সিম্বা ও থ্রিপিসের মধ্যে কারিসমা, জয়া, মোহিনী, রাণী কটন, জয় বিজয়, রাকি কটন, মতিজ, পাটোল, নাজির, জোবাইদা ও জিসা বেশি চলছে।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট