চট্টগ্রাম শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪

চাক্তাই খাতুনগঞ্জে অভিযান

মরিচ-মসলার গুঁড়ায় ভুষি ৪ প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা

নিজস্ব প্রতিবেদক

২১ মে, ২০১৯ | ২:৪৬ পূর্বাহ্ণ

নগরীর চাক্তাই ও খাতুনগঞ্জে র‌্যাবের অভিযানে নোংরা-অপরিচ্ছন্ন পরিবেশে সেমাই তৈরি, মেয়াদোত্তীর্ণ খেজুর বিক্রি ও মরিচ-মসলার গুঁড়ায় ভুষি মেশানোর অপরাধে চার প্রতিষ্ঠানকে সাড়ে ৪ লাখ টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
গতকাল সোমবার সকালে র‌্যাবের অভিযানে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আলী হাসান এই রায় দেন।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আলী হাসান পূর্বকোণকে জানান, সকাল সাড়ে ১০টায় চাক্তাই মায়ের দোয়া সেমাই কারখানায় অভিযান চালানো হয়। অভিযানে দেখা যায়, নোংরা-অপরিচ্ছন্ন পরিবেশে সেমাই তৈরি ও বাজারজাত করা হচ্ছে। ভোক্তা সংরক্ষণ অধিকার আইনে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। একই এলাকায় তাহের এন্ড সন্স সেমাই কারখানায় অভিযানে একই অবস্থা দেখা যায়। নোংরা পরিবেশে সেমাই তৈরি করা হচ্ছে। এই কারখানায় তৈরি করা সেমাই ঢাকার নামকরা কয়েকটি কোম্পানির নামে প্যাকেটজাত করে বাজারজাত করার প্রস্তুতি চলছে। একইভাবে চট্টগ্রামের একটি অভিজাত মিষ্টান্ন কোম্পানির বিপুল প্যাকেট পাওয়া যায়। ৫ হাজার সেমাই ওই কোম্পানির নামে প্যাকেটজাত করার জন্য অর্ডার নেওয়া হয়েছে বলে জানান তাহের সেমাই কর্তৃপক্ষ। নোংরা পরিবেশে সেমাই তৈরি ও অন্য কোম্পানির নামে প্যাকেটজাত করে ক্রেতাদের সঙ্গে প্রতারণার অভিযোগে তাহের সেমাই কোম্পানিকে দুই লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
আদালত সূত্র জানায়, র‌্যাবের একই দল খাতুনগঞ্জের পাইকারি খেজুর ব্যবসায়ী হাজি আমিরুজ্জামান এন্ড সন্সে অভিযান চালিয়ে মেয়াদোত্তীর্ণ খেজুর পায়। এছাড়াও মশার কয়েলের সঙ্গে খেজুর মজুত করে বিক্রি করে আসছে। মেয়াদোত্তীর্ণ খেজুর বিক্রি ও মশার কয়েলের সঙ্গে খেজুর মজুত করার অপরাধে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। মেয়াদোত্তীর্ণ ৩২০ কেজি খেজুর সিটি করপোরেশনের ডাস্টবিনে ধ্বংস করা হয়েছে বলে জানান নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আলী হাসান।
একই আদালত খাতুনগঞ্জের আলম মিল নামে একটি মসলা তৈরির কারখানায় অভিযান চালিয়ে ৫শ কেজি ভুষি জব্দ করে। এসব ভুষি হলুদ ও মরিচের গুঁড়ার সঙ্গে মিশিয়ে প্যাকেট করে বাজারজাত করা হচ্ছে বলে জানান নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আলী হাসান।
র‌্যাব-৭ এর সহকারী পুলিশ সুপার কাজী মোহাম্মদ তারেক আজিজ বলেন, নোংরা ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে সেমাই তৈরির অভিযোগ পেয়ে চাক্তাই খালের পাড়ে তাহের সেমাই ফ্যাক্টরিতে অভিযান চালানো হয়। কিন্তু দেখা যায়, তাহের সেমাই কারখানায় বিভিন্ন কোম্পানির নামে সেমাই প্যাকেটজাত করা হচ্ছিল। এসব কারখানার মালিক তাহের সেমাই কারখানায় অর্ডার দিয়ে কোম্পানির নামে প্যাকেটজাত করে বাজারে বিক্রি করে। বিভিন্ন কোম্পানির প্যাকেটে ঢাকার কামরাঙ্গীরচর এলাকার ভাই ভাই ফুড প্রোডাক্টস ও ঢাকার আশুলিয়া আউকপাড়া এলাকার মাসুদ ফুড প্রোডাক্টসের নামে প্যাকেটজাত করা হচ্ছিল।
জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আলী হাসান জানান, ভেজালবিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে র‌্যাবের সহায়তায় এই অভিযান পরিচালনা করা হয়।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট