মানিকছড়ি উপজেলার মহামুনিতে ভয়াবহ অগ্নিকণ্ডে ৬ দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) আনুমানিক ১২টার দিকে বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিটের মাধ্যমে এ অগ্নিকান্ডের সূত্রপাত ঘটে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত রাত আনুমানিক ১২টার দিকে বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিটের আগুনে টিনের চালে থাকা শুকনো পাতা থেকে দ্রুত আগুন লেগে যায়। পরে স্থানীয় লোকজন আগুন নেভাতে ছুটে আসে এবং লক্ষীছড়ি ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেন।
অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্থ দোকানিরা হলেন- মো. ছিদ্দিক, আজম, কাঞ্চণ, মো. দেলোয়ার, মো. আলমগীর হোসেন ও শাহ আলম।
আগুনের খবরে মানিকছড়ি থানা পুলিশ ও সেনাবাহিনী দ্রুত ছুটে আসে এবং স্থানীয়দের সাথে আগুন নেভাতে সহায়তা করে। তৎক্ষণিক সকল দোকানেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে। পরে লক্ষীছড়ি ফায়ার সার্ভিসের ১টি ইউনিট কাজ করার পরও আগুন নিয়ন্ত্রণে না আসায় ফটিকছড়ি ফায়ার সার্ভিসের ১টি ইউনিট এসে আগুন নেভাতে কাজ করে। প্রায় দেড় ঘন্টার চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
লক্ষীছড়ি ফায়ার সার্ভিসের দল নেতা মো. ছলিম উল্লাহ চৌধুরী বলেন, ‘ছয়টি দোকানের মধ্যে ২টি ছিল জ্বালানি তেলের পাশাপাশি গ্যাস সিলিন্ডারসহ কীটনাশকের দোকান। গ্যাস সিলিন্ডার ও জ্বালানি তৈল থাকায় আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে এবং নিয়ন্ত্রন করা কঠিন হয়ে পড়ে। খবর পেয়ে আমরা দ্রুত ঘটনাস্থলে ছুটে আসি এবং আগুন নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করি। আগুনের তীব্রতা দেখে এক পর্যায়ে ফটিকছড়ি ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেই। পরে দুটি ইউনিট কাজ করার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।’
মহামুনি বাজার কমিটির সাধারণ সম্পাদক এ কে এম বাবলু জানান, ‘অগ্নিকান্ডে ক্ষয়-ক্ষতির পরিমাণ প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে প্রায় অর্ধকোটি। তবে আরও বেশিও হতে পারে। এছাড়া তিনি আরও বলেন, আজ যদি মানিকছড়ি ফায়ার সার্ভিস চালু থাকত তাহলে এতো ক্ষয়-ক্ষতি হতো না। পরে তিনি মানিকছড়ি ফায়ার সার্ভিসের কাজ দ্রুত গতিতে শেষ করাসহ চালু করার জোর দাবি জানান।’
মানিকছড়ি থানা অফিসার ইনচার্জ আমির হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।
পূর্বকোণ/পিআর