চট্টগ্রাম শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪

করোনা মোকাবিলায় ব্যাপক প্রস্তুতি চট্টগ্রামে

নিজস্ব প্রতিবেদক

২৮ জানুয়ারি, ২০২০ | ৫:৫৬ অপরাহ্ণ

সম্প্রতি চীনের উহান থেকে ছড়িয়ে পড়া করোনা ভাইরাসের সংক্রমণে এরই মধ্যে ৮১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া এই ভাইরাসে তিন হাজারেরও বেশি মানুষ সংক্রমিত হয়েছে। এ নিয়ে চট্টগ্রামেও ছড়িয়ে পড়েছে আতঙ্ক। তাই করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় চট্টগ্রামে ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ। সংক্রমণের আশঙ্কা তৈরির পর চট্টগ্রাম অঞ্চলে বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানে কর্মরত চীনা নাগরিকদের তথ্য সংগ্রহ শুরু করেছে। সংক্রমণের চিকিৎসায় তিনটি হাসপাতালে বিশেষায়িত ওয়ার্ড স্থাপণ করা হয়েছে। চট্টগ্রাম বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক হাসান শাহরিয়ার কবির মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) সকালে এমন তথ্য জানান। তিনি বলেন, করোনা ভাইরাস নিয়ে কোনো ধরনের আতঙ্ক ছড়াক, সেটা আমরা চাই না। ফলে যৌক্তিক যেসব পদক্ষেপ নেয়া দরকার, সেগুলো আমরা নিচ্ছি। এর মধ্যে চট্টগ্রামে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কর্মরত চীনা নাগরিকদের আপাতত নিজ দেশে যাওয়ার বিষয়টি তদারক করা হচ্ছে। তাদের কেউ নিকটতম সময়ে চীনে গিয়েছিলেন কি না, ফেরার পর তাদের মধ্যে জ্বর কিংবা অন্যান্য কোনো উপসর্গ দেখা দিয়েছে কি না, সে বিষয়ে তথ্য নেয়া হচ্ছে।

তিনি জানান, সিইপিজেড, কেইপিজেড, কর্ণফুলী টানেল প্রকল্প, আনোয়ারা চীনা ইকোনমিক জোন, মীরসরাই বঙ্গবন্ধু শিল্পনগর এবং কক্সবাজার মাতারবাড়িতে কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্পে কাজ করছেন হাজারো চীনা নাগরিক। যাদের আপাতত দেশে যাওয়ার ক্ষেত্রে নিরুৎসাহিত করছি। চীন থেকে যদি কেউ আসেন তাদের স্ক্যানিং করা হচ্ছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষকেও অবহিত করা হয়েছে। এছাড়া করোনা ভাইরাস সংক্রমণের চিকিৎসায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতাল, চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতাল ও ফৌজদারহাট বিআইটিআইডি হাসপাতালে পৃথক তিনটি বিশেষায়িত ওয়ার্ড চালুর নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। প্রতিটি ওয়ার্ডে পাঁচটি করে শয্যা থাকছে। উপজেলা হাসপাতালগুলোকেও এ বিষয়ে সতর্ক থাকার জন্য বলা হয়েছে। চমেক হাসপাতালের উপপরিচালক আখতারুল ইসলাম জানান, পৃথক ওয়ার্ড চালু করা হয়েছে। পৃথক ব্যবস্থায় চিকিৎসা দেয়া হবে। আপাতত আমরা কেবিনে একটি করোনা ব্লক করার চিন্তা করছি।

চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন শেখ ফজলে রাব্বি বলেন; চট্টগ্রাম বন্দর, শাহ আমানত বিমানবন্দরে দুটি মেডিকেল টিম রাখা হয়েছে। তারা চীন বা আশপাশের দেশ থেকে আসা যাত্রীদের যদি সর্দি, হাঁচি বা কোনো অন্য লক্ষণ থাকে তাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করছে। এদিকে গত ২০ জানুয়ারি থেকে করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় সতর্ক রয়েছে বলে জানান শাহ আমানত বিমানবন্দরে দায়িত্বরত বেসরকারি বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপক উইং কমান্ডার সারোয়ার ই জামান।

 

 

 

 

পূর্বকোণ/এম

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট