চট্টগ্রাম বৃহষ্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪

সর্বশেষ:

সাংবাদিকদের সাথে নবনিযুক্ত পুলিশ সুপার

মাদকের পাশাপাশি দুর্নীতির বিরুদ্ধেও কাজ করব

নিজস্ব প্রতিবেদক

২৮ জানুয়ারি, ২০২০ | ৪:১৬ পূর্বাহ্ণ

সন্ত্রাস-মাদকের পাশাপাশি দুর্নীতির বিরুদ্ধেও কাজ করার কথা জানিয়েছেন চট্টগ্রাম জেলার নতুন পুলিশ সুপার (এসপি) এস এম রশিদুল হক।

গতকাল সোমবার বিকেলে জেলা পুলিশ সুপারের সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়ের সময় তিনি এই ইচ্ছার কথা জানিয়েছেন। যোগদানের পর প্রথমবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে পুলিশ সুপার রশিদুল বলেন, ‘চট্টগ্রাম জেলাবাসীকে সুখে শান্তিতে রাখার জন্য, আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার জন্য যা যা করা দরকার, সবটুকু করার সর্বাত্মক চেষ্টা করব। বিশেষ করে মাদক, জুয়া, সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদকে সর্বাত্মক অগ্রাধিকার দিয়ে কাজ করব। দুর্নীতির বিরুদ্ধে কাজের প্রক্রিয়া নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আপনাদের একটা বিষয় জানাতে চাই যে, পুলিশ সুপার মানে শুধু পুলিশ সুপার নয়। একজন পুলিশ সুপার হিসেবে বিশেষ শাখারও দায়িত্ব আমার আছে। বিশেষ শাখা একটি গোয়েন্দা ইউনিট।

নিজেকে মিডিয়াবান্ধব পুলিশ কর্মকর্তা জানিয়ে সাংবাদিকদের প্রতি এসপি রশিদুল বলেন, কোন তথ্য থাকলে আমার সঙ্গে শেয়ার করবেন। নেতিবাচক কিছু থাকলে আমাকে, আমাদেরকে জানাবেন। আমাকে কাজ করার সুযোগ দিতে হবে। সবকিছু যে আমার নজরে আসবে তা নয়। আমাকে বলার পরও যদি দেখেন কোনো কাজই হচ্ছেনা, তখন সেটা আলাদাভাবে দেখতে পারেন। আমি আপনাদের সর্বোচ্চ সহযোগিতা চাই। আমাদের পক্ষ থেকেও সর্বোচ্চ সহযোগিতা পাবেন।

পুলিশকে পরিচ্ছন্ন দেখতে চান উল্লেখ করে এসপি বলেন, ‘যোগদানের পর আমি আজকেই (সোমবার) আমার সব অফিসার, ওসি, ফোর্সসহ প্রায় সাত’শ সদস্যের সঙ্গে বৈঠক করেছি। ক্লিয়ার ম্যাসেজ দিয়েছি যে, আমি পরিচ্ছন্নতা চাই। থানায় সাধারণ মানুষের সঙ্গে আচার-আচরণে পরিবর্তন আনতে হবে।’ ‘ইন্শআল্লাহ পরিবর্তন আসবে। আমি যোগ দিয়েছি মাত্র সাতদিন। এতবড় একটা জেলা, একটু স্টাডি করতে হবে। কারা পাইকারি মাদক বিক্রেতা, কারা খুচরা বিক্রি করেন, রুট কোন্টা, এর সঙ্গে কে কে জড়িত, স্টাডি করার জন্য একটু সময় লাগবে। তারপর কাজে হাত দেব।’

চট্টগ্রামের মতো একটি বড় জেলায় দায়িত্ব পালনকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছেন জানিয়ে এসপি বলেন, ‘চট্টগ্রামকে বাণিজ্যিক রাজধানী বলে থাকি, অনেক বড় জেলা, এখানে দায়িত্ব পালন অবশ্যই চ্যালেঞ্জিং। আমার আগের জেলা ছিল লালমনিরহাট, সেটা পুরোটাই বর্ডার। আমি সেখানে মাদক নিয়ে কাজ করেছি, সেই জেলাকে একটা ভালো পর্যায়ে রেখে এসেছি। এখানেও মাদকের কিছু সমস্যা আছে। যেহেতু চট্টগ্রামের পাশেই কক্সবাজার, বুঝতে পারছি, মাদকের ওপর আমাদের বেশি গুরুত্ব দিতে হবে। এরপর কিছু চুরি-ডাকাতি হয়, এটা নিয়ন্ত্রণ রাখতে হবে। মানুষকে ভালো রাখার জন্য যা যা করা দরকার, সব করব।’ এসময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আফরুজুল হক টুটুল, একে এম এমরান ভূঁইয়াসহ জেলা পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ছিলেন।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট