চট্টগ্রাম শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

দুইজনের বিরুদ্ধে মামলা

পটিয়ায় সিএনজি ট্যাক্সি সমিতির টাকা নিয়ে শ্রমিক নেতা উধাও

নিজস্ব সংবাদদাতা, পটিয়া

২৫ জানুয়ারি, ২০২০ | ৫:১৭ পূর্বাহ্ণ

সিএনজি ট্যাক্সি সমিতির টাকা নিয়ে পটিয়ায় এক শ্রমিক নেতা উধাও হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
পটিয়া পৌরসভার ৫ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মৃত মুসলেম উদ্দিনের পুত্র শ্রমিক নেতা শহীদুল ইসলাম সেকু (৪৫) প্রায় ১৮ দিন ধরে উধাও রয়েছেন। সেকু কোথায় রয়েছেন তা পুলিশ কিংবা পরিবারের কেউ নিশ্চিত হতে পারেনি। পটিয়া অটো টেম্পো সিএনজি পরিবহন শ্রমিক কল্যাণ সংগঠনের প্রায় ৭ লাখ টাকা নিয়ে উধাও হওয়ার ঘটনায় পটিয়া উপজেলার শোভনদ-ী ইউনিয়নের হিলচিয়া গ্রামের মৃত আহমদ কবিরের পুত্র সংগঠনের সভাপতি বদিউল আলম (৪২) বাদি হয়ে দু’জনকে অভিযুক্ত করে একটি মামলা দায়ের করেছেন। বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) সকালে পটিয়া সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বিশ্বশ্বর সিংহ-এর আদালতে এই মামলাটি করেছেন।

পুলিশ ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, পটিয়া অটো টেম্পো সিএনজি পরিবহন শ্রমিক কল্যাণ সংগঠনের অর্থ সিম্পাদক ছিলেন শহীদুল ইসলাম সেকু। সংগঠনের ব্যাংক হিসাব থেকে অর্থ সম্পাদক ও সাধারণ সম্পাদক মিলে আত্মসাত করার জন্য প্রায় সাত লাখ টাকা উত্তোলন করেন। এরপর থেকে শ্রমিক নেতা সেকু উধাও হয়ে যান। সমিতির বর্তমান সাধারণ সম্পাদক বদিউল আলমের যোগসাজসে ব্যাংক হিসাব থেকে টাকা উত্তোলন করে সেকু তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোন বন্ধ করে রাখেন। চলতি মাসের ৬ জানুয়ারি থেকে সেকুর মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া গেলেও সাধারণ সম্পাদক বদি এলাকায় রয়েছেন।

মামলার বাদি শ্রমিক নেতা বদিঊল আলম জানিয়েছেন, সমিতির অর্থ সম্পাদক শহীদুল ইসলাম সেকু ও সাধারণ সম্পাদক বদিউল আলম দুইজনে মিলে সংগঠনের প্রায় ৭ লাখ টাকা বিভিন্নভাবে আত্মসাত করতে ব্যাংক থেকে উত্তোলন করে। তাছাড়া সমিতির শেয়ার ও সঞ্চয়ের টাকা ব্যাংকে জমা না দিয়ে অর্থ সম্পাদক ও সাধারণ সম্পাদক দুইজনে মিলে তাদের কাছে রাখতেন। এসব টাকা ব্যাংকে জমা দেয়ার জন্য সমিতির পক্ষ থেকে বার বার বলা হলেও তারা নির্দিষ্ট সময়ে টাকা জমা দেননি। টাকা জমা না দেওয়ার কারণে সমিতির সভাপতি হিসাবে তার সাথে একাধিকবার বাকবিত-াও হয়।
পটিয়ার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের আইনজীবী এনামুল হক জানিয়েছেন, অর্থ আত্মসাত, হুমকি ধমকির ঘটনায় পটিয়া অটো টেম্পো, সিএনজি পরিবহন শ্রমিক কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক বদিউল আলম ও অর্থ সম্পাদক শহীদুল ইসলাম সেকুর বিরুদ্ধে পটিয়া আদালতে দায়েরকৃত অভিযোগ পটিয়া থানার ওসিকে এজাহার হিসেবে রেকর্ড করতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
শ্রমিক নেতা ও সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক বদিউল আলম জানিয়েছেন, সংগঠনের অর্থ আত্মসাত সংক্রান্ত বিষয়ে তিনি অবগত নন। তবে অর্থ সম্পাদক সেকু ১৮ দিন ধরে নিখোঁজ রয়েছেন। তার স্ত্রী বাদি হয়ে পটিয়া থানায় একটি নিখোঁজ ডায়েরি করেছেন।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট