চট্টগ্রাম বৃহষ্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪

সর্বশেষ:

নিষেধাজ্ঞা এক মাসে নামিয়ে আনার দাবি

নিজস্ব প্রতিবেদক

২০ মে, ২০১৯ | ২:৫৩ পূর্বাহ্ণ

আজ ২০ মে থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত ৬৫ দিন সরকার কর্তৃক বঙ্গোপসাগরে বাণিজ্যিক ট্রলারের পাশাপাশি সকল প্রকার যান্ত্রিক ও অযান্ত্রিক নৌযান দ্বারা মাছ আহরণ বন্ধ ঘোষণা শিথিল চেয়েছেন জেলেরা। একইসাথে মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞার সময়কালেরও পরিবর্তন চেয়েছেন তারা। এসব দাবিতে গতকাল রবিবার দুপুরে নগরীর আন্দরকিল্লাস্থ চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক) ভবনের সামনে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন জেলেরা। উত্তর চট্টলা উপকূলীয় মৎসজীবী জলদাস সমবায় কল্যাণ ফেডারেশনের ব্যানারে আয়োজিত এই মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশে উত্তর চট্টলার ৩৮ গ্রামের দেড় হাজার জেলে অংশ নেন। এসময় তারা চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে সিটি মেয়রকে স্মারকলিপি দেন।
ওই স্মারকলিপিতে আজ ২০ মে থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞা ও বর্তমান আইন চট্টগ্রাম উপকূলীয় এলাকার সন্দ্বীপ চ্যানেলের জলদাস সম্প্রদায়ের কল্যাণের জন্য শিথিল এবং সরকারি জারীকৃত ওই আইন বাংলা চৈত্র ও বৈশাখ মাসে করার দাবি জানান। জেলেদেরে দাবি, মাছ উপকূলীয় এলাকায় ডিম ও পোনা ছাড়ে চৈত্র ও বৈশাখ মাসে। জেলেদের অস্তিত্ব রক্ষায় সিটি মেয়রের সহযোগিতা কামনা করেন।
মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন সংঠনের সভাপতি লিটন দাস, সহ-সভাপতি পরিমল দাস, সাধারণ সম্পাদক হরিদাস, সাংগঠনিক সম্পাদক রাসেল দাস, উত্তর চট্টলার ৩৮ গ্রামের অর্থ সম্পাদক তপন দাস।
তপন দাস বলেন, ‘সরকার মাছ ধরার উপর নিষেধাজ্ঞার সময়কাল কমিয়ে ৩০ দিন করা হোক।
জানা যায়, সীতাকু- থানার এক নম্বর সৈয়দপুর হতে চসিকের দক্ষিণ পতেঙ্গা পর্যন্ত ৩৮টি গ্রামের প্রায় ৫৩ হাজার পরিবারের বসবাস। জনসংখ্যা প্রায় পৌণে চার লাখ। জলদাস সম্প্রদায়ের দাবি নিষেধাজ্ঞার কারণে তাদেরকে মানবেতর জীবন যাপন করতে হবে। এই দাবিতে তারা সকাল সাড়ে ১১টা থেকে দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত নগর ভবনের সামনে অবস্থান নেন তারা। তবে সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন এসময় নগর ভবনে ছিলেন না।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট