চট্টগ্রাম শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪

চট্টগ্রাম গণহত্যা দিবসের আলোচনা সভায় সিটি মেয়র

এ রায়ে শহীদ পরিবারে স্বস্তি ও শান্তি নেমেছে

২৫ জানুয়ারি, ২০২০ | ৪:৪৬ পূর্বাহ্ণ

মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সিটি মেয়র আ.জ.ম নাছির উদ্দীন বলেছেন, সামরিক স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন যখন তুঙ্গে ২৪ জানুয়ারি তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে সামরিক স্বৈর সরকারের প্ররোচনায় পুলিশ বাহিনী নির্বিচারে গুলিবর্ষণ করে ২৪ জন আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীকে হত্যা করে। এই গণহত্যা ছিল পূর্ব পরিকল্পিত। ৩২ বছর পর বিলম্বিত বিচারে দোষীদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত হওয়ায় শহীদদের আত্মা ও তাদের পরিবারদের মাঝে শান্তি ও স্বস্তি নেমে এসেছে। এই বিচার প্রক্রিয়া দ্রুত হতে পারত। কিন্তু সামরিক স্বৈর সরকার এবং বেগম জিয়া রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় ক্ষমতাসীন থাকার সময় উদ্দেশ্যে প্রণোদিতভাবে চট্টগ্রাম গণহত্যার বিচার প্রক্রিয়াকে বিলম্বিত করতে চেয়েছিল। সিটি মেয়র এসব নারকীয় ঘটনার দোষীদের সর্বোচ্চ শাস্তি দ্রুত কার্যকর করার দাবি জানান। তিনি গতকাল শুক্রবার পুরাতন বাংলাদেশ ব্যাংক সংলগ্ন আদালত ভবনের পাদদেশে ১৯৮৮ সালের ২৪ জানুয়ারি গণহত্যার শহীদদের স্মরণ বেদীতে মহানগর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় এ কথাগুলো বলেছেন। সভাপতির বক্তব্যে মহানগর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী বলেন, চট্টগ্রাম

গণহত্যা ঔপনিবেশিক আমলে জ্বালিয়ানওয়ালা বাগ গণহত্যার কথা মনে করিয়ে দেয়। চট্টগ্রাম গণহত্যার পর ২৪টি মূল্যবান প্রাণহানী হলেও নানাভাবে বিচার প্রক্রিয়াকে বিলম্বিত করা হয়েছে। এটা আমাদের কাছে লজ্জা ও ঘৃণার বিষয়। আজ ৩২ বছর চট্টগ্রাম গণহত্যার বিচার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে এবং দোষীদের ফাঁসির রায় রয়েছে। তিনি আরো বলেন বাংলাদেশে যারা হত্যা, নাশকতা, সন্ত্রাস ও মৌলবাদ এবং জঙ্গীবাদকে প্রশ্রয় ও ইন্ধন দেয় তারা জাতির দুশমন। মহানগর আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক এড. শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি নঈম উদ্দিন চৌধুরী, এড. সুনীল কুমার সরকার, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের এড. আ.ক.ম সিরাজুল ইসলাম, চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব বদিউল আলম, সাংগঠনিক সম্পাদক নোমান আল মাহমুদ, শফিক আদনান, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক চন্দন ধর, বন ও পরিবেশ সম্পাদক মশিউর রহমান চৌধুরী, মহিলা সম্পাদক জোবাইরা নার্গিস খান, আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এড. আইয়ুব খান, কোতোয়ালী থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবুল মনসুর, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের আবসার উদ্দিন চৌধুরী, সভা মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য আলহাজ্ব সফর আলী, শেখ মো. ইসহাক, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আলহাজ্ব শফিউল ইসলাম ফারুক, সম্পাদক ক-লীর সদস্য হাজী মো. হোসেন, হাজী জহুর আহমদ, মাহবুবুল হক মিয়া, আবদুল আহাদ, ইঞ্জিনিয়ার মানস রক্ষিত, দিদারুল আলম চৌধুরী, হাজী শহিদুল আলম, জহরলাল হাজারী, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের প্রদীপ কুমার দাশ, আবু জাফর, এড. মুজিবুল হক, নুরুল আবছার চৌধুরী, মহানগর আওয়ামী লীগের কার্য নির্বাহী সদস্য হাজী মো. ইয়াকুব প্রমুখ।

দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ : সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান বলেন, স্বৈরশাসকের নজিরবিহীন গণহত্যা চট্টগ্রামের ২৪ জানুয়ারির গণহত্যা। আওয়ামী লীগ সভানেত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার নীল নকশা ছিল এটি। স্বৈরশাসকরা ক্ষমতা চিরস্থায়ী করার জন্য এ গণহত্যা করেছিল। গতকাল শুক্রবার সকাল ১০টায় চট্টগ্রামে গণহত্যা দিবস পালন উপলক্ষে দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। সভায় বক্তব্য রাখেন, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ সহ-সভাপতি এড. এ কে এম সিরাজুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক এড. জহির উদ্দিন, সাংগঠনিক সম্পাদক প্রদীপ কুমার দাশ, শ্রম সম্পাদক খোরশেদ আলম, বন বিষয়ক সম্পাদক এড. মুজিবুল হক, দপ্তর সম্পাদক্ব আবু জাফর, উপ-দপ্তর সম্পাদক বিজয় কুমার বড়–য়া, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ সদস্য মাহবুবুর রহমান শিবলী, আওয়ামী লীগ নেতা রাশেদ মনোয়ার, নাছির উদ্দিন, শাহাদাত নবী খোকা প্রমুখ।পরে দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ ২৪ জানুয়ারি গণহত্যায় নিহত শহীদদের কোর্টবিল্ডিংস্থ স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানান।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট