চট্টগ্রাম শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

চসিক নির্বাচন: নৌকায় আগ্রহ, ধানের শীষে কম

মুহাম্মদ নাজিম উদ্দিন

২৩ ডিসেম্বর, ২০২০ | ২:০৬ অপরাহ্ণ

নৌকা প্রতীক পেতে নির্বাচনের আগেই প্রার্থীদের মধ্যে তুমুল লড়াই। তোড়জোড় ও কাদা ছোড়াছুড়ি। সেই তুলনায় ধানের শীষের প্রতি অনেকটা কম আগ্রহ। আসন্ন সিটি করপোরেশন নির্বাচনের প্রার্থিতা লড়াইয়ের পর এবার পৌর নির্বাচনেও শুরু হয়েছে মনোনয়ন-যুদ্ধ।

নির্বাচন বিশ্লেষকদের অভিমত, এখন নৌকা প্রতীক পাওয়া মানে জয় অনেকটা নিশ্চিত। তাই নৌকা প্রতীক পেতে তুমুল লড়াই চলছে। অপরদিকে, বিএনপি ও আওয়ামী লীগ নেতাদের দাবি হচ্ছে ভিন্ন। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র ও কাউন্সিলর পদে দলীয় সমর্থন পেতে চলেছিল তুমুল লড়াই। মেয়র পদে দলের মহানগর শাখার যুগ্ম সম্পাদক মো. রেজাউল করিম চৌধুরী নৌকা প্রতীক পেয়েছেন। কাউন্সিলর পদে বিভিন্ন ওয়ার্ডে ১০-১২ জন পর্যন্ত দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন। দল কাউন্সিলর পদে একক প্রার্থী ঘোষণার পরও এখনো মাঠে রয়েছে বিদ্রোহী প্রার্থী। এ নিয়ে বেকায়দায় রয়েছে সরকারি দল। দলের কেন্দ্রীয় শীর্ষ নেতারা বার বার সতর্ক করার পরও বিদ্রোহীদের দমানো যাচ্ছে না। অথচ তফসিল ঘোষণার পর থেকে বিদ্রোহী প্রার্থীদের প্রতি কঠোর অবস্থানে ছিল আ. লীগ। গত সপ্তাহেও এ বিষয়ে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন দলের কেন্দ্রীয় নেতারা।

আওয়ামী লীগ ও বিএনপির একাধিক নেতার সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, নৌকা পেলেই জয় নিশ্চিত-এই ধারণা থেকে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রতীক ও সমর্থন পেতে আগ্রহ বেশি। অন্যদিকে, পরাজয় জেনেও আন্দোলনের অংশ হিসেবে ভোটের লড়াইয়ে মাঠে থাকছে বিএনপি। এতে ধানের শীষ প্রতীক পেতে নৌকার চেয়ে তুলনামূলকভাবে আগ্রহ কম।

আসন্ন পৌর নির্বাচনেও একইভাবে আ. লীগের দলীয় প্রতীক নৌকা পেতে শুরু হয়েছে তোড়জোড়। জেলার বাঁশখালী পৌরসভায় দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন ১২ জন। উপজেলা ও পৌর আওয়ামী লীগের সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে নয়জনের নাম কেন্দ্রে পাঠিয়েছে জেলা আওয়ামী লীগ। জেলা আওয়ামী লীগ জানায়, চার পৌরসভায় ২৩ জনের নাম কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে। এরমধ্যে পটিয়া পৌরসভায় চারজন, সাতকানিয়ায় তিনজন, চন্দনাইশে ৭ জন ও বাঁশখালীতে ৯ জন। অপরদিকে, বিএনপিতে এক পা এগোলে দুই পা পেছায় অবস্থা। পটিয়া পৌরসভার ছাড়া অন্য পৌরসভায় বেশি তোড়জোড় নেই।

দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান পূর্বকোণকে বলেন, ‘সরকারের উন্নয়ন ও দলের জনপ্রিয়তার কারণে নেতাকর্মীদের মধ্যে নির্বাচনী স্পৃহা বেড়েছে। এতে দলের প্রার্থীর সংখ্যাও বাড়ছে।’

তবে ভিন্ন অভিমত ব্যক্ত করেছেন দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মো. আবু সুফিয়ান। তিনি বলেন, ‘নৌকা প্রতীক পাওয়া মানেই পাস। এখানে আর ভোটের দরকার নেই। তাই যেকোনোভাবে নৌকা প্রতীক পেতে চায় দলের নেতাকর্মীরা।’

বিএনপি নেতারা বলছেন, নির্বাচনে একের পর এক সরকারের কারচুপি ও অনিয়মের বিষয় জনগণের সামনে আনা হচ্ছে। এতে নির্বাচনে ভোটারদের উপস্থিতি ক্রমান্বয়ে কমছে। এটা সরকারের প্রতি অনাস্থা। এছাড়াও ভোটের কারণে নেতাকর্মীরা মাঠে চাঙা হয়ে ওঠে। দলের সাংগঠনিক কাজেও গতি আসে।

অপরদিকে, আওয়ামী লীগ নেতারা বলেন, মাঠের আন্দোলনে জনসমর্থন পায়নি। নির্বাচনেও দেশের জন্য কোনো পরিকল্পনা নেই। তাই জনগণ তাদের ভোটেও প্রত্যাখ্যান করছে।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট