চট্টগ্রাম শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪

কাজা নামাজ রেখে ওয়াক্তের নামাজ আদায়ের যৌক্তিকতা

অনলাইন ডেস্ক

২২ নভেম্বর, ২০১৯ | ১০:৩৪ অপরাহ্ণ

জিজ্ঞাসা : এক ব্যক্তি মাগরিবের নামাজ ওয়াক্তের ভেতর পড়তে পারেনি। এশার সময় মসজিদে জামাতের সঙ্গে এশার নামাজ পড়েন। তখন তার মাগরিবের নামাজের কথা স্মরণ ছিল। কিন্তু যেহেতু এশার জামাত দাঁড়িয়ে গেছে তাই মাগরিবের কথা স্মরণ থাকা সত্ত্বেও তিনি এশার জামাতে শরিক হয়ে যান। আর অতীতেরও তার কোনো নামাজ কাজা নেই। এখন ওই ব্যক্তির করণীয় কী? সে কি এখন মাগরিবের কাজা আদায় করে নেবে?

জবাব : মাগরিবের কাজা নামাজের কথা স্মরণ থাকা সত্ত্বেও ওই ব্যক্তির এশার জামাতে শরিক হওয়া এবং তা পড়া সহিহ হয়নি। তার করণীয় হচ্ছে মাগরিবের কাজা নামাজটি পড়ে উক্ত এশার নামাজ পুনরায় পড়ে নেয়া। কেননা যার পেছনের কোনো নামাজ কাজা নেই, তার যদি কোনো ওয়াক্ত নামাজ কাজা হয়ে যায়, তবে তার জন্য পরবর্তী ওয়াক্তের নামাজ পড়ার আগে ওই কাজা নামাজ আদায় করা জরুরি। কাজা আদায় করতে গিয়ে জামাত ছুটে যাওয়ার আশঙ্কা হলেও তাকে আগে কাজাই আদায় করতে হবে। কিন্তু সময়স্বল্পতার দরুন কাজা আদায় করতে গিয়ে যদি পরবর্তী ওয়াক্তের ফরজ ছুটে যাওয়ার আশঙ্কা হয় তখন ওয়াক্তের নামাজ আগে পড়ে নিতে হবে।

কেননা হাদিসে এসেছে, হজরত আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) বলেন, রাসুল (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘যে ব্যক্তি কোনো ওয়াক্তের নামাজ ওয়াক্তের ভেতর পড়তে ভুলে গেছে, অতঃপর ইমামের পেছনে পরবর্তী ওয়াক্তের নামাজ পড়ার সময় তার ওই নামাজের কথা স্মরণ হয়, তাহলে সে ইমামের সঙ্গে নামাজটি পড়ে নেবে। এরপর যে নামাজটি পড়তে ভুলে গিয়েছিল (অর্থাৎ কাজা নামাজ) তা আদায় করবে। অতঃপর ইমামের সঙ্গে যে নামাজটি পড়েছে (অর্থাৎ বর্তমান ওয়াক্তের ফরজ নামাজ) তা আবার পড়ে নেবে।’ (শরহু মাআনিল আসার : ২৬৮৪; মুসান্নাফে আবদুর রাজ্জাক : ২২৫৪)। এ হাদিসটি বর্ণনা করার পর ইমাম তহাবি (রহ.) বলেন, ‘ইমামের সঙ্গে যে নামাজটি পড়েছে সেটা তার জন্য নফল হিসেবে গণ্য হবে।’ (আলমুহিতুল বুরহানি : ২/৩৪৭-৩৫০; আলবাহরুর রায়েক : ২/৮০; ফাতাওয়া আলমগিরি : ১/১২২)

 

পূর্বকোণ/রাশেদ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট