চট্টগ্রাম শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

দূষণরোধে নির্মল বায়ু আইন

১১ ফেব্রুয়ারি, ২০২০ | ৬:৪৩ পূর্বাহ্ণ

বায়ু দুষণরোধে অবশেষে দেশে ‘নির্মল বায়ু আইন-১৯’ হচ্ছে। আইনটির খসড়া ইতিমধ্যে তৈরি হয়েছে। খসড়া অনুযায়ী, বায়ুদূষণের জন্য সর্বোচ্চ দু’বছরের জেল বা দুই লাখ টাকা জরিমানার মুখে পড়তে হবে। তবে এ অপরাধ দ্বিতীয়বার করলে সর্বোচ্চ ১০ বছরের কারাদ- বা কমপক্ষে দুই লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দ- পেতে হবে।
পরিবেশ অধিদপ্তর যে কোনো সময় পুরনো যানবাহনের (বাস, ট্রাক, লরি, মিনিবাস, প্রাইভেট কার, মাইক্রোবাস ইত্যাদি) নিঃসরণ পরীক্ষা করতে পারবে এবং অধিক দূষণকারী পুরনো যানবাহন চলাচলে নিষেধাজ্ঞা দিতে পারবে। এমন বিধান রেখে ‘নির্মল বায়ু আইন-২০১৯’-এর খসড়া তৈরি করেছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়।

খসড়া অনুযায়ী, বায়ুদূষণ রোধে পরিবেশ অধিদপ্তরই হবে আইন প্রয়োগের ক্ষমতাপ্রাপ্ত সংস্থা। অধিদপ্তর দূষণ নিয়ন্ত্রণে বায়ুর মানমাত্রা নির্ধারণ করে দেবে। সরকার বায়ুদূষণকারী শিল্পপ্রতিষ্ঠান, প্রকল্প ও কাজের তালিকা প্রকাশ করতে পারবে। যানবাহন পরিচালনা ও নিয়ন্ত্রণকারী ব্যক্তিরা বায়ুর নির্ধারিত মানমাত্রা নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি এবং জাতীয় বায়ুমান ব্যবস্থা পরিকল্পনায় সুপারিশকৃত কর্মপদ্ধতি মেনে চলবে। পরিবেশ অধিদপ্তর সময়ে সময়ে যানবাহনের নিঃসরণ পরীক্ষা করবে এবং বেশি দূষণকারী পুরনো যানবাহন চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে পারবে। বায়ুর নির্ধারিত মানমাত্রা ও নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি নিশ্চিতে পরিবেশ অধিদপ্তর যানবাহনে ব্যবহৃত ইঞ্জিন নিয়ন্ত্রণ বা নিষিদ্ধ করতে পারবে। লাইসেন্স দেয়ার জন্য বিআরটিএ নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় যানবাহনের নিঃসরণ মাত্রা সরকারের মাত্রা অনুযায়ী নিশ্চিত করবে। স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান ও নির্মাণকাজ নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা সরকার নির্ধারিত বায়ুর মানমাত্রা অনুসরণ করবে। বায়ুমান উন্নয়ন তহবিল নামে একটি আলাদা তহবিল গঠন করা হবে। যা বিধিমালার মাধ্যমে নির্ধারিত পদ্ধতিতে পরিচালিত হবে। কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান বায়ুদূষণ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ এবং বায়ুর গুণগতমান রক্ষা ও উন্নয়নে অসামান্য অবদান রাখলে তাকে সরকার উৎসাহিত ও পুরস্কৃত করবে। কেউ যদি প্রতিবেদন দাখিল বা তথ্য দিতে ব্যর্থ হন বা মিথ্যা বিবৃতি দেন বা মিথ্যা বিবৃতি দিয়ে কেউ লাইসেন্স বা অনুমোদন নিলে তিনি অপরাধী হিসেবে গণ্য হবেন।
খসড়ায় বলা হয়েছে, সরকার নির্ধারিত বায়ুর মানমাত্রা ও বায়ুদূষণ সংশ্লিষ্ট বিধিবিধান না মানলে যে কোনো ব্যক্তি দোষী সাব্যস্ত হবেন। বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণে সরকার প্রজ্ঞাপন বা বিধিমালার মাধ্যমে বায়ুদূষণের তালিকা, বায়ুর মানমাত্রা, পদ্ধতি, প্রক্রিয়া, নির্দেশিকা ও নির্ণায়ক বা মানদ- নির্ধারণ করতে পারবেন। এটা সবাইকে বাধ্যতামূলকভাবে মানতে হবে। সরকার শিল্পপ্রতিষ্ঠান, যানবাহন, পরিবহন ও অন্যান্য উৎসের (বিদ্যুৎ কেন্দ্র, ইটভাটা, সিমেন্ট কারখানা, ইস্পাত কারখানা, লৌহ ঢালাই, বয়লার ইত্যাদি) বায়ু নিঃসরণ মানমাত্রা নির্ধারণ করে দেবে। প্রকল্প, অবকাঠামো উন্নয়ন কর্মকা-, গৃহ-অভ্যন্তরীণ ও পরিবেষ্টিত বায়ুর মানমাত্রা নির্ধারণও করে দেয়া হবে। নির্ধারিত মানমাত্রা ও নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থার ওপর ভিত্তি করে পরিবেশ অধিদপ্তর, এ আইন কার্যকর হওয়ার পর সময়ভিত্তিক একটি জাতীয় বায়ুমান ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনা প্রণয়ন করবে। এ পরিকল্পনা পাঁচ বছর অন্তর পর্যালোচনা ও হালনাগাদ করা হবে।

এতে আরও বলা হয়, সরকার প্রজ্ঞাপন দিয়ে কোনো এলাকাকে ডিগ্রেডেড এয়ারশেড বা বিশেষ এলাকা ঘোষণা করতে পারবে। বিরল প্রাকৃতিক, ঐতিহাসিক, সাংস্কৃতিক আবেদন সম্পন্ন বা বিশেষ বায়ুমান ব্যবস্থাপনা গ্রহণের দাবি রাখে- এমন এলাকায় শিল্প বা প্রকল্প স্থাপনের ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ বা বিশেষ নিয়ন্ত্রণ আরোপ করতে পারবে। বায়ুদূষণকারী বিদ্যমান শিল্প প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে দূষণ নিয়ন্ত্রণে বিশেষ প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারবে সরকার। প্রয়োজনে শিল্প প্রতিষ্ঠানকে ওই এলাকা থেকে স্থানান্তরের নির্দেশ দিতে পারবে। এছাড়া সরকার পরিবেশ, স্বাস্থ্য, সামাজিক, অর্থনৈতিক ও প্রতিবেশগত বা সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের ওপর মারাত্মক ক্ষতিকর হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে বা হতে পারে এমন বায়ুদূষণকারী শিল্প প্রতিষ্ঠান, প্রকল্প ও কাজের তালিকা প্রকাশ করতে পারবে। বায়ুদূষণকারী কোনো দ্রব্য বা বস্তুকে সার্বিকভাবে বা কোনো নির্দিষ্ট এয়ার শেডের জন্য প্রধান বায়ুদূষক হিসেবে ঘোষণা করতে পারবে।
খসড়ায় আরও বলা হয়েছে, ভ্রাম্যমাণ আদালত এ আইনের অধীন শাস্তিযোগ্য অপরাধ আমলে নিয়ে তাৎক্ষণিক বিচারের মাধ্যমে শাস্তি দিতে পারবেন। পরিবেশ আদালত বা স্পেশাল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এ আইনের অধীন সংঘটিত অপরাধ বিচারের জন্য আমলে নিতে পারবেন।
সচেতন মহলের অভিমত, দেশের বিভিন্ন অংশে বায়ুমান সন্তোষজনক অবস্থায় রাখা এবং পরিবেশ ও টেকসই উন্নয়ন, জনস্বাস্থ্য এবং নাগরিকের জীবন ও বিশুদ্ধ বায়ু সেবনের অধিকারের নিশ্চত করা সরকারের দায়িত্বর। এজন্য আইন প্রণয়ন জরুরি। কারণ, বায়ুদুষণ নিয়ন্ত্রণ, পরিশুদ্ধ ও লাগসই প্রযুক্তি এবং পরিবেশবান্ধব উৎপাদন প্রক্রিয়া, অবকাঠামো নির্মাণ ও উনয়ন এবং পরিবহন ব্যবস্থা উৎসাহিত করার মাধ্যমে বায়ুদূষণ রোধ ও প্রশমন করা সম্ভব। নির্মল বায়ু আইনের মাধ্যমে তা নিশ্চিত করা হবে।

বায়ুদূষণ রোধে পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে বায়ুমান পরিবীক্ষণ যন্ত্রপাতি বা পদ্ধতি স্থাপন, ব্যবহার, রক্ষণাবেক্ষণ ও উপাত্ত সংরক্ষণের জন্য নির্দেশনা দিতে পারবেন। কোন উপায়ে বায়ু দূষিত করলে বা করতে পারেÑএমন আশংকা সৃষ্টি হলে দূষণ প্রতিরোধ, নিয়ন্ত্রণ ও উপশমের জন্য উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ বা ব্যক্তিকে আদেশ বা নির্দেশ দিতে পারবে। বায়ুুদূষণ ঘটাতে পারে এমন সব উৎপাদন প্রক্রিয়া, দ্রব্য ও বস্তু নিয়ন্ত্রণ বা পরিহার করার জন্য সরকারকে পরামর্শ দিতে পারবেন পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক।
বায়ুদূষণের মাধ্যমে কোনো ক্ষতি হলে মহাপরিচালক ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণ করে তা পরিশোধ এবং যথাযথ ক্ষেত্রে সংশোনমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ বা উভয় প্রকার ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে নির্দেশ দিতে পারবেন। এ নির্দেশ ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান পালনে বাধ্য থাকবেন।
ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান ক্ষতিপূরণ না দিলে মহাপরিচালক আদালতে ক্ষতিপূরণের মামলা বা নির্দেশ পালনে ব্যর্থতার জন্য ফৌজদারি মামলা বা উভয় মামলা দায়ের করতে পারবেন। লিখিত নোটিশ দেয়ার পর মহাপরিচালক বায়ুদূষণকারী যে কোনো প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দিতে পারবেন।
মহাপরিচালকের কাছ থেকে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোনো ব্যক্তি কোনো নোটিশ না দিয়ে দূষণের উৎসস্থলে প্রবেশ করে তল্লাশি করতে পারবেন। এমনকি কোনো সরঞ্জাম, শিল্প-প্ল্যান্ট, রেকর্ড, নথি, রেজিস্ট্রার, দলিল বা এ সংশ্লিষ্ট অন্য কোনো গুরুত্বপূর্ণ কিছু পরীক্ষা এবং যাচাই ও জব্দ করতে পারবেন।
বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণে সরকার সময়ে সময়ে সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন বা বিধিমালার মাধ্যমে অন্যান্য বিষয়ের মধ্যে বায়ুুদূষনের তালিকা, বায়ুুর মানমাত্রা, পদ্ধতি, প্রক্রিয়া, নির্দেশিকা ও নির্ণায়ক বা মানদ- নির্ধারণ করতে পারবেন। এটা সবাইকে বাধ্যতামূলকভাবে মানতে হবে।
এছাড়া সরকার পরিবেশ, স্বাস্থ্য, সামাজিক, অর্থনৈতিক ও প্রতিবেশগত বা সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের ওপর মারাত্মক ক্ষতিকর হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে বা হতে পারে এমন বায়ু দূষণকারী শিল্প প্রতিষ্ঠান, প্রকল্প ও কাজের তালিকা প্রকাশ করতে পারবে।
নির্মল বায়ু আইন বাস্তবায়নে সরকার ও পরিবেশ অধিদপ্তরকে প্রয়োজনীয় পরামর্শ, দিকনির্দেশনা ও সুপারিশ দিতে বায়ু দূষণ নিয়ন্ত্রক উপদেষ্টা পরিষদ গঠন করা হবে।
খসড়ায় বলা হয়েছে, দেশব্যাপী উপযুক্ত স্থানে পর্যাপ্ত সংখ্যক সার্বক্ষণিক বায়ুমান পরিবীক্ষণ কেন্দ্রসহ আন্তঃদেশীয় বায়ুমান পরিবীক্ষণ কেন্দ্র স্থাপন করা হবে। বায়ুমানের দীর্ঘমেয়াদি অবস্থা মূল্যায়নের জন্য বায়ুমান পরিবীক্ষণ কেন্দ্রগুলোর তথ্য সংরক্ষণ করবে।
যানবাহন পরিচালনা ও নিয়ন্ত্রণকারী ব্যক্তিরা বায়ুর নির্ধারিত মানমাত্রা নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি এবং জাতীয় বায়ুমান ব্যবস্থা পরিকল্পনায় সুপারিশকৃত কর্মপদ্ধতি মেনে চলবে। পরিবেশ অধিদপ্তর সময়ে সময়ে যানবাহনের নিঃসরণ পরীক্ষা করবে এবং বেশি দূষণকারী পুরাতন যানবাহন চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে পারবে।

বায়ুর নির্ধারিত মানমাত্রা ও নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি নিশ্চিতে পরিবেশ অধিদপ্তর যানবাহনে ব্যবহৃত ইঞ্জিন নিয়ন্ত্রণ বা নিষিদ্ধ করতে পারবে। লাইসেন্স দেয়ার জন্য বিআরটিএ নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় যানবাহনের নিঃসরণ মাত্রা সরকারের মাত্রা অনুযায়ী নিশ্চিত করবে। স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান ও নির্মাণকাজ নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা সরকার নির্ধারিত বায়ুর মানমাত্রা অনুসরণ করবে।
বায়ুদূষণের আশঙ্কাগ্রস্ত বা বায়ু দূষণের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত যে কোনো সংক্ষুব্ধ ব্যক্তি লিখিতভাবে পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের কাছে প্রতিকার চাইতে পারবেন। অভিযোগ পাওয়ার পর মহাপরিচালক বা দায়িত্বপ্রাপ্ত কোনো কর্মকর্তা গণশুনানিসহ কার্যকর ব্যবস্থা নেবেন। পরিবেশ অধিদপ্তর ধার্য করা ক্ষতিপূরণ অপরাধীর কাছ থেকে আদায় করে ক্ষতিগ্রস্থ ব্যক্তিকে দিতে পারবেন।
সম্প্রতি ‘নির্মল বায়ু আইন, ২০১৯’-এর খসড়া সাধারণ জনগণের মতামতের জন্য পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে।

পরিবেশবিদদের অভিমত, এ আইনের প্রয়োগ ও ব্যাখ্যার ক্ষেত্রে পূর্ব সতর্কতামূলক, টেকসই উন্নয়ন এবং দূষণকারী কর্তৃক ব্যয়ভার বহন সংক্রান্ত নীতিগুলো অনুসরণ করতে হবে। নতুন খসড়া এ আইনে আগে প্রস্তুতকৃত খসড়া থেকে যা যা বাদ পড়েছে সেগুলো হলো সংজ্ঞার ক্ষেত্রে বিষাক্ত বায়ু উপাদান, অনুমোদিত জ্বালানি, নিয়ন্ত্রিত নিঃসরক, ঝুঁকিপূর্ণ বর্জ্য, শিল্প-কারখানা, অ-অর্জিত এলাকা বা অঞ্চল, অ-অর্জিত এলাকার বা অঞ্চলের বায়ুমান উন্নয়ন কর্মপরিকল্পনা, দুর্গন্ধ এবং দূষণ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র। গুরুত্বপূর্ণ যেসব ধারা বাদ দেয়া হয়েছে সেগুলো হলো নিয়ন্ত্রিত নিঃসরকের ঘোষণা ও ব্যবস্থাপনা, উপদেষ্টা পরিষদ গঠন, উপদেষ্টা পরিষদের ক্ষমতা ও কার্যাবলি, উপদেষ্টা পরিষদের সভা, অধিদপ্তরের ভূমিকা, জাতীয় বায়ুমান প্রতিবেদন, জাতীয় বায়ুমান ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনার বাস্তবায়ন প্রতিবেদন, তথ্য-উপাত্ত ব্যবস্থাপনা, জনমত এবং জনগণের অংশগ্রহণ, সরকারি সংস্থা কর্তৃক সংঘটিত অপরাধ। অসম্পূর্ণভাবে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে বায়ুদূষণ বিষয়ে গবেষণা, শিক্ষা ও প্রচারণা এবং বায়ুমান উন্নয়ন তহবিল।
পরিবেশ অধিদপ্তরের সক্ষমতা বৃদ্ধির বিষয়টি আইনে অন্তর্ভুক্ত করা হলে অধিদপ্তরের জন্য কার্যক্রম পরিচালনা সহজতর হবে। আইনটিতে সুনির্দিষ্ট করতে হবে যে বায়ুমানের নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষ কে হবে এবং কে কোন দায়িত্ব পালন করবে।
আন্তর্জাতিক চুক্তিগুলোয় বাংলাদেশ সরকারের করা অঙ্গীকারগুলোকে গুরুত্ব দিয়ে জাতীয় পর্যায়ে আইন প্রণয়ন করতে হবে। নির্মল বায়ু আইনের প্রাথমিক খসড়ায় সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোকে দায়বদ্ধ করার বিষয়টি থাকলেও পরবর্তী সময়ে খসড়া আইনে সেটিকে বাদ দেয়া হয়েছে। তাছঅড়া মামলার চাইতে দূষণের জন্য জরিমানা আদায়ের প্রতি বিশেষভাবে গুরুত্ব দেয়া উচিত। দূষণ কর সহজে আরোপ ও আদায়ের ব্যাপারে সুস্পষ্ট দিকনির্দেশনা থাকতে হবে।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট