চট্টগ্রাম শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪

বছরে এ পর্যন্ত বজ্রপাতে ৮১ জনের প্রাণহানি
বছরে এ পর্যন্ত বজ্রপাতে ৮১ জনের প্রাণহানি

বছরে এ পর্যন্ত বজ্রপাতে ৮১ জনের প্রাণহানি

অনলাইন ডেস্ক

১৭ মে, ২০২০ | ৪:৫৯ অপরাহ্ণ

চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে মে পর্যন্ত দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার মধ্যে বজ্রপাতে অন্তত ৮১ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর জানিয়েছে। চার মাসের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ঘটনা ঘটেছে এপ্রিল মাসে। এপ্রিল মাসে ৭০ জনের প্রাণহানি ঘটেছে।

এর মধ্যে আবার কৃষি কাজ করার সময় বজ্রাঘাতে মৃত্যুর ঘটনা সবচেয়ে বেশি। সিলেট বিভাগে সবচেয়ে বেশি প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে।

দুর্যোগের ক্ষয়ক্ষতি কমাতে বড় তালগাছের সুফল নেওয়ার পাশাপাশি বিকল্প পদ্ধতিতে ‘লাইটনিং এরেস্টার ও লাইটনিং ডিটেকটিভ সেন্সর’ স্থাপন ও জনসচেতনতার তাগিদ দিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
সারাদেশে সাড়ে ৩১ লাখ তাল বীজ বপন করা হয়েছে। এগুলো বড় হতে সময় লাগবে আরও ৫-৬ বছর। সর্বত্র তালগাছের সংখ্যা বাড়লে বজ্রপাত সেখানেই হবে, ফলে এড়ানো যাবে প্রাণহানি।

উল্লেখ্য, বজ্রপাতে বাংলাদেশে প্রতিবছর গড়ে ২৫০ থেকে ৩৫০ জনের মৃত্যু হয়। এটাকে দুর্যোগ ঘোষণার পর জানমালের ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে ২০১৭ সাল থেকে নানা ধরনের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার; তার একটি হচ্ছে তালগাছ রোপণ।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর মহাপরিচালক মো. মোহসীন জানান, বজ্রপাতের ক্ষতি এড়াতে বজ্রপাতপ্রবণ এলাকা সেন্সরের মাধ্যমে চিহ্নিত করে জনগণকে কীভাবে দ্রুত জানানো যাবে সে বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

তিনি বলেন, তালগাছ যেগুলো লাগানো হয়েছে, সেগুলো বড় হতে অনেক সময় লাগবে। অন্তর্বর্তী এই সময়ে বজ্রপাত থেকে রক্ষায় ৭২৩টি স্থানে লাইটনিং এরেস্টার পরিকল্পনা করা হয়েছে।

বজ্রপাত নিয়ে জনসচেতনা তৈরিতে কর্মরত বেসরকারি সংস্থা সেভ দ্য সোসাইটি অ্যান্ড থান্ডার অ্যাওয়ারনেস ফোরামের গবেষণা সেলের নির্বাহী প্রধান আব্দুল আলীম বলেন,“বিকল্প পদ্ধতিতে লাইটনিং ডিটেকটিভ সেন্সর ব্যবহার করে ১৫-২০ মিনিট আগে বজ্রপাত প্রবণতা এলাকার জনগণকে এসএমএস এর মাধ্যমে সতর্ক করতে পারলে ক্ষতি এড়ানো যাবে। লাইটনিং এরেস্টারের মতো সফল উদ্যোগ নেওয়া গেলে বজ্রপাত প্রবণ এলাকায় ক্ষয়ক্ষতি কমানো সম্ভব হতো।”

বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি ঝড় ও বজ্র বৃষ্টি হয় এপ্রিল ও মে মাসে। এ সময় ৬১ থেকে ৯০ কিলোমিটার বেগে বয়ে যাওয়া ঝড়ের সংখ্যা বেশি।

আবহাওয়াবিদরা জানান, বজ্রঝড়ের সময় সাধারণত ৩০ থেকে ৪৫ মিনিট বজ্রপাতের ভয় থাকে। কালবৈশাখী ঝড় ও বজ্রপাত শুরুর অন্তত আধ ঘণ্টা সময় সাবধানে থাকার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

পূর্বকোণ/ এএ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট