চট্টগ্রাম শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

যাদের ওপর রোজা ফরজ, আর যাদের নয়

রায়হান আজাদ

৭ মে, ২০২০ | ৭:০৩ অপরাহ্ণ

ইসলামী শরীয়তে যাদের উপর রোজা ফরজ করা হয়েছে তারা হলেন প্রাপ্ত বয়স্ক মুসলিম, সুস্থ বিবেক বুদ্ধিসম্পন্ন ও মুকীম তথা নিজ বাসস্থানে অবস্থানকারী আর দশ প্রকার মানুষের উপর রোজা পালন করা ফরজ নয়।

তারা হলেন

১. অমুসলিম : ইসলাম গ্রহণের পূর্বে কাফিরের উপর রোজা ফরজ নয় এবং তার জন্য ইসলাম গ্রহণের পর কাজা করাও জরুরি নয়।

২. অপ্রাপ্ত বয়স : অপ্রাপ্ত বয়স্ক ছেলে-মেয়ের উপর রোজা ফরজ নয় কিন্তু অভ্যাস গড়ার জন্য তাদেরকে রোজা পালনের আদেশ করা যাবে।

৩. পাগল : প্রাপ্ত বয়স্ক পাগলের উপর রোজা ফরজ নয় এমনকি তার জন্য রোজা করিয়ে নেয়ারও প্রয়োজন নেই।

৪. অশীতিপর বৃদ্ধ : বার্ধক্যে উপনীত এমন লোক যে ভাল-মন্দ পার্থক্য করতে পারে না, অতিমাত্রায় বার্ধক্যের কারণে ক্ষুধার জ্বালা সহ্য করতে পারে না।

৫. চির রোগী ও অক্ষম : যে রোজা রাখতে শারীরিকভাবে সক্ষম নয়; অসুস্থতার কারণে কিছুক্ষণ পর পর ঔষধ গ্রহণ জরুরি।

এরূপ ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে ফিদইয়া দেয়া ওয়াজিব। ৬. মুসাফির : মুসাফিরের জন্য সফরে রোজা রাখা বা না রাখার এখতিয়ার আছে তবে যদি সফরে রোজা না রাখে তাহলে পরে এসব রোজা কাজা করে নেবে। ৭. রোগাক্রান্ত ব্যক্তি : সুস্থ না হওয়া পর্যন্ত রোগাক্রান্ত ব্যক্তি রোজা রাখবে না আর রমজানেই সুস্থ হয়ে গেলে অবশিষ্ট রোজা তাকে অবশ্যই রাখতে হবে এবং সুস্থ হওয়ার পর গাইরে রমজানে কাজা করে নিবে। ৮. ঋতুবতী মহিলা : হায়েজ তথা মাসিক ঋতুস্রাব অথবা নিফাস তথা সন্তান প্রসবজনিত স্রাব হলে উক্ত অবস্থায় রোজা না রেখে ¯্রাব চলে যাওয়ার পর কাজা করে নেবে। ৯. গর্ভবতী ও দুগ্ধদানকারী নারী : গর্ভধারণ বা দুগ্ধপান করানোর কারণে রোজা রাখা কঠিন হয় বা স্বীয় সন্তানের অনিষ্টের আশঙ্কা থাকে তবে আশঙ্কামুক্ত সুবিধামত সময়ে কাজা করে নিবে। ১০. দুর্ঘটনা কবলিত লোককে রক্ষাকারী নিরুপায় ব্যক্তি : এমন ব্যক্তি যে রোজা ছেড়ে দিতে বাধ্য, যেমন কোন ছোট বাচ্চা পানিতে ডুবে গেছে অথবা আগুনে পুড়ে যাচ্ছে তাকে মুক্ত করার জন্য রোজা ছেড়ে দিতে হলে ছেড়ে দেবে কিন্তু পরবর্তীতে তাকে কাজা করে নিতে হবে।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট