চট্টগ্রাম বৃহষ্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪

সর্বশেষ:

পর্যটকের পদভারে মুখর রাঙামাটি

নিজস্ব সংবাদদাতা, রাঙামাটি অফিস

৮ সেপ্টেম্বর, ২০২০ | ১:৪৯ অপরাহ্ণ

রাঙামাটি পর্যটন ব্যবসায় প্রাণচাঞ্চল্য দেখা দিয়েছে। করোনা মহামারীর কারণে দীর্ঘ প্রায় পাঁচ মাস বন্ধ থাকার পর আবারো পর্যটকদের জন্য খুলে দেয়া হয়েছে পর্যটন কেন্দ্রগুলো। দীর্ঘ লোকসান কিছুটা হলেও পুষিয়ে নেয়ার চেষ্টা করছেন ব্যবসায়ীরা। পর্যটন কর্পোরেশনের ব্যবস্থাপকও জানালেন, দীর্ঘদিন পর ছুটিতে বেশ পর্যটক এসেছে।
রাঙামাটি জেলা প্রশাসক একেএম মামুনুর রশিদ বলেন, সরকারের সিদ্ধান্ত মোতাবেক স্বাস্থ্যবিধি মেনেই জেলার পর্যটন স্পটগুলো খুলে দেয়া হয়েছে। পর্যটন স্পটে যারা ঘুরতে যাবেন, তাদেরকে অবশ্যই সরকারের স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে।
সাধারণত সেপ্টেম্বর থেকে মার্চ মাস পর্যন্ত পর্যটন মওসুম হিসেবে ধরা হয়। এ সময় প্রচুর পর্যটক দেশের দর্শনীয় স্থানগুলো ভ্রমণ করেন। এবার করোনা মহামারীর কারণে গত ১৮ মার্চ থেকে রাঙামাটিতে সব ধরনের পর্যটন কেন্দ্র বন্ধ ঘোষণা করা হয়।
দীর্ঘদিন পর ভ্রমণে বের হয়ে পর্যটনকরাও জানিয়েছেন তাদের উচ্ছ্বাসের কথা। ঢাকা থেকে আসা এক দম্পতি কবির ও শারমিন বলেন, করোনা কারণে বাসায় বন্দী থাকার পর এখন নির্মল পরিবেশে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে চলে আসলাম।
রাঙামাটি হোটেল হিল পার্কের ব্যবস্থাপক স্বপন শীল জানান, দীর্ঘদিন পর ছুুটিতে বেশ কিছু পর্যটক এসেছে।
রাঙামাটি পর্যটন কমপ্লেক্সের ব্যবস্থাপক সৃজন বিকাশ বড়–য়া বলেন, করোনাকালের আস্তে আস্তে পর্যটন ব্যবসা সচল হচ্ছে। মোটামুটি গত মাসের শেষের দিকে ভালোই পর্যটক এসেছে।
এদিকে পাঁচ মাস পর রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলাধীন সাজেক ভ্যালি খুলে দিয়েছে প্রশাসন। সেপ্টেম্বরের ১ তারিখে পর্যটকদের জন্য সাজেক ভ্যালি উন্মুক্ত করা হয়।
ট্রাভেলস অব রাঙামাটির পরিচালক সাগর ওয়াহিদ জানান, লকডাউনের কারণে পর্যটনের সব ব্যবসা বন্ধ থাকায় একদিকে যেমন আমরা কর্মহীন ছিলাম তেমনি আর্থিক ক্ষতির সম্মুখিনতো হয়েছিই। ১ সেপ্টেম্বর থেকে সাজেক পর্যটন এলাকা খুলে দেয়ার পর বিভিন্নস্থান থেকে পর্যটকরাও যোগাযোগ করতে শুরু করেছে।
রাঙামাটি আবাসিক হোটেল ব্যবসায়ী সমিতির অর্থ সম্পাদক মো. ইমতিয়াজ সিদ্দিক আসাদ বলেন, করোনার কারণে আবাসিক হোটেল ব্যবসায় মারাত্মক ক্ষতি হয়েছে। সরকারের নির্দেশনায় রাঙামাটিতে পর্যটন স্পট খুলে দিলেও করোনার আতঙ্কে দূরবর্তী পর্যটকরা আসতে চাইছেন না। তবে পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হলে হোটেল ব্যবসা স্বাভাবিক হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আহসান হাবিব জিতু জানান, ব্যবসায়ীদের অনুরোধের প্রেক্ষিতে সাজেক পর্যটন কেন্দ্র খুলে দেয়া হয়েছে। তবে অবশ্যই তাদেরকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে এবং কিছু শর্ত দিয়েছি। শর্ত অমান্যকারীদের শাস্তিস্বরূপ পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা এবং তিনদিন রিসোর্ট বন্ধ রাখা হবে বলেও জানিয়ে দিয়েছি।

 

 

পূর্বকোণ/এএ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট