চট্টগ্রাম শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

‘গেম চেঞ্জারে’ পাকিস্তান ক্রিকেটে ‘গৃহযুদ্ধ’

৬ মে, ২০১৯ | ১:০৭ পূর্বাহ্ণ

শহিদ আফ্রিদির আত্মজীবনী ‘গেম চেঞ্জার’ প্রকাশের সূত্র ধরে একটার পর একটা চাঞ্চল্যকর ও বিতর্কিত বিষয় সামনে আসছে। নিজের বয়স থেকে সাবেক সতীর্থদের বিষয়ে ইতিবাচক, নেতিবাচক অনেক কথাই বলেছেন বইতে। আফ্রিদির নিজের জীবনের কাহিনীর সঙ্গে নতুন সংযোজন হয়েছে ২০১০ সালে লর্ডস টেস্টের স্পটফিক্সিং কা-। ২০০৭ সালে কানপুরে ভারত-পাকিস্তানের একদিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচে গৌতম গম্ভীর ও আফ্রিদির মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। আইসিসির আচরণবিধি ভাঙার দায়ে দুজনই শাস্তি পান। সেই রেশ ধরা পড়েছে আফ্রিদির বইতেও। যেখানে গম্ভীরের কোনো ব্যক্তিত্ব নেই। শুধু আছে একগাদা আচরণগত সমস্যা- এমনসব মন্তব্য করেছেন আফ্রিদি। পরে মানসিকভাবে অসুস্থ দাবি করে আফ্রিদিকে ভারতের চিকিৎসা নেয়ার আহবান জানিয়েছেন গম্ভীর। কিন্তু সেটা ছিল ভারত-পাকিস্তান চিরকালীন দ্বন্ধের ছায়া। আফ্রিদি গোল বাধিয়েছেন নিজ দেশের সাবেক গ্রেটদের নিয়ে মন্তব্য করেও। যেখানে জাভেদ মিঁয়াদাদ থেকে ওয়াসিম আকরাম, ওয়াকার ইউনুস ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান রয়েছেন। ‘বুম বুম’ তার বইতে এমনকিছু মন্তব্য করেছেন, যেটা বিশ্বকাপের আগে সেদেশের ক্রিকেটে গৃদ্ধযুদ্ধ লাগিয়ে দিতে পারে বলে মন্তব্য পাকিস্তান মিডিয়ার। এনিয়ে তো গতকাল ঝাঁঝালো এক সম্পাদকীয়ই লিখেছে দেশটির সবচেয়ে প্রভাবশালী দৈনিক ‘ডন’। লর্ডসের ফিক্সিং ঘটনায় জড়িয়ে নিষিদ্ধ হয়েছিলেন মোহাম্মদ আমির, সালমান বাট ও মোহাম্মদ আসিফ। সেই প্রসঙ্গ টেনে নিজের বইয়ে আফ্রিদি জানিয়েছেন, জুয়াড়িদের সঙ্গে স্পট ফিক্সিংয়ে যুক্ত ক্রিকেটারদের এসএমএস চালাচালির কথা তিনি জানতেন। সেটা তৎকালীন কোচ ওয়াকার ইউনিসকে জানিয়েছিলেনও। কিন্তু ওয়াকার তা আমল নেননি। সেটা নিয়ে নিজের বইয়ে আফ্রিদির তোপ, ‘ম্যানেজমেন্ট কিছুই করেনি। সেই একই গল্প। হয়তো এটা বের হলে কী হবে, সেটা নিয়ে ম্যানেজমেন্ট ভয় পাচ্ছিল। হয়তো তারা তাদের ফেভারিট ক্রিকেটার ও ভবিষ্যত অধিনায়ককে নিয়ে তদন্ত করতে চাইছিল না। ম্যানেজমেন্ট যে কী চাইছিল, সেটা সত্যিই আমি বুঝিনি।’ ১৯৯৬ সালে ত্রিদেশীয় সিরিজে নাইরোবিতে জাতীয় দলে অভিষেক হয় আফ্রিদির।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট