চট্টগ্রাম বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

বঙ্গামাতা গোল্ডকাপ ফাইনাল আজ, প্রতিপক্ষ লাওস

মৌসুমীদের লক্ষ্য শিরোপা জয়

স্পোর্টস ডেস্ক

৩ মে, ২০১৯ | ২:৪৫ পূর্বাহ্ণ

বঙ্গমাতা অনূর্ধ্ব-১৯ উইমেন্স ইন্টারন্যাশনাল গোল্ডকাপের ফাইনাল ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে আজ। বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে ম্যাচটি শুরু হবে সন্ধ্যা ছয়টায়। এই ম্যাচে শিরোপার লড়াইয়ে লাওসের মুখোমুখি হবে স্বাগতিক বাংলাদেশ। ফাইনাল ম্যাচে সামনে রেখে গতকাল সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ দলের কোচ গোলাম রাব্বানী ছোটন বলেন, ‘টুর্নামেন্টে আমরা ভালো খেলে আসছি। কাল (আজ) আরো ভালো খেলতে হবে। লাওস শক্তিশালী দল। ওরাও অনেক ভালো ফুটবল খেলছে। ম্যাচটি কঠিন হবে। কিন্তু এ ধরনের ম্যাচে কিভাবে ভালো করতে হয় সেই অভিজ্ঞতা আমাদের আছে। আশা করছি, আমাদের মেয়েরা মাঠে সেরা নৈপুণ্য প্রদর্শন করে শিরোপা জয় করবে।’ বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক মিসরাত জাহান মৌসুমী বলেছেন, ‘এর আগের ম্যাচগুলোতে আমরা ভালো খেলে জিতেছি। আশা করছি, কালও (আজ) ভালো করব। এর আগেও আমাদের শিরোপা জেতার অভিজ্ঞতা রয়েছে। লাওস শক্তিশালী দল। কিন্তু আমাদের প্রস্তুতি ভালো। আমরা নিজেদের ঘরে শিরোপা রেখে দিতে চাই।’ লাওস দলের কোচ বলেন, ‘স্বাগতিক হিসাবে বাংলাদেশ এগিয়ে থাকবে। ওরা ওদের ঘরের মাঠে খেলবে। দর্শকরা ওদের থাকবে। কিন্তু আমরা ভালো ফুটবল খেলেই ফাইনালে উঠেছি। আশা করছি, ফাইনাল ম্যাচটি প্রতিদ্বন্ধিতাপূর্ণ হবে। সকলে উপভোগ করবে ম্যাচটি। আমরা আমাদের সর্বোচ্চটুকু দিয়ে শিরোপা জেতার চেষ্টা করব।’ লাওস দলের অধিনায়ক বলেন, ‘গ্রুপ পর্বে ও সেমিফাইনাল ম্যাচে আমরা ভালো খেলেছি। বাংলাদেশ অনেক ভালো দল। কিন্তু আমরাও ভালো ফুটবল খেলছি। আশা করছি, কাল দারুণ একটি ম্যাচ হবে। তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে। শিরোপা জেতার লক্ষ্য নিয়েই আমরা মাঠে নামব।’ এদিকে আজকের ফাইনালের প্রতিপক্ষ লাওসের ৮ নম্বর জার্সিধারী পি এখন বঙ্গামাতা গোল্ডকাপে আলোচনার মধ্যমণি। তিন ম্যাচে তার গোল আটটি। গোলের পাশাপাশি প্রতিপক্ষের রক্ষণ ভেঙে দেওয়ার ক্ষমতা হতবাক করেছে অনেককে। এই মিডফিল্ডারকে দমাতে পারলেই অর্ধেক কাজ হয়ে যাবে মনে করছে বাংলাদেশ। সেই কৌশল খুঁজছে স্বাগতিকরা। কোচ গোলাম রব্বানী ছোটন সেটা অস্বীকার করলেন না, ‘লাওসের অন্যতম চৌকস খেলোয়াড় হলো পি। শুরু থেকে তার খেলা চোখে পড়েছে। আমরা তাকে নিয়ে কিছুটা আতঙ্কের মধ্যে আছি। তবে তাকে কিভাবে থামানো যায়, সেই ছকও কোচিং স্টাফরা করে যাচ্ছে।’ পিকে শুধু আটকানো নয়, প্রতিপক্ষের উপরও আতঙ্ক তৈরি করতে চান বাংলাদেশের কোচ, ‘আমরা যদি পিকে নিয়ে আতঙ্কের মধ্যে থাকি, তাহলে তাদের তো আমাদের সানজিদা-তহুরা-মার্জিয়াদের নিয়েও আতঙ্কে থাকা উচিত। আমাদের দলও ভালো খেলছে। প্রতিপক্ষের রক্ষণে মুহুর্মুহু আক্রমণ করে যাচ্ছে। ফাইনালে আশা করছি আগের ভুলগুলো আর হবে না।’ বাংলাদেশের দুশ্চিন্তার আরও একটি কারণ আছে। আগের তিন ম্যাচে অপেক্ষাকৃত দুর্বল দলের বিপক্ষে খেলে জিতেছে। রক্ষণকে তেমন কঠিন পরীক্ষায় পড়তে হয়নি। ফাইনালে লাওসের বিপক্ষে বড় পরীক্ষাই দিতে হবে, সেক্ষেত্রে আঁখি-শিউলিদের ওপর চাপটা একটু বেশি পড়লে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট