চট্টগ্রাম শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪

অহমিকা ছুঁতে পারেনি বাদলকে : আশীষ ভদ্র

নিজস্ব ক্রীড়া প্রতিবেদক 

২৩ নভেম্বর, ২০২০ | ২:৪১ অপরাহ্ণ

বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনের এক উজ্জ্বল নক্ষত্র ছিলেন বাদল রায়। খেলার মাঠে যেমন ছিলেন উজ্জ্বল, তেমনি নিবেদিতপ্রাণ সংগঠকও ছিলেন। খেলোয়াড় থেকে কোচ, সংবাদকর্মী থেকে শুরু করে সাধারণ ফুটবলপ্রেমী মানুষকে ভালোবাসা দিয়ে আগলে রাখতেন তিনি।

 

এক সময়ে ফুটবল পায়ে দাপিয়ে বেড়ানো বাদল রায় গতকাল পাড়ি জমান না ফেরার দেশে। লাল-সবুজের জার্সি গায়ে যেমন সেরা ছিলেন তেমনি ছিলেন ঘরোয়া ফুটবলেও। বিশেষ করে ঢাকা মোহামেডানে টানা প্রায় একযুগ খেলা এই তারকা ফুটবলারের ক্যারিয়ারই ছিল মোহামেডান নির্ভর। যে কারণে সবাই তাকে মোহামেডানের বাদল রায় নামেই জানতো। খেলেছেন চট্টগ্রামের ফুটবল লীগেও। চট্টগ্রাম লীগে ১৯৭৯ সালে মাঠে নেমেছিলেন কেকেআরসির হয়ে। জাতীয় দলে যেমন তেমনি ক্লাব ফুটবলেও লম্বা সময় বাদল রায়ের সঙ্গী ছিলেন চট্টগ্রামের ফুটবলের অহংকার আশীষ ভদ্র। বাদল রায়ের মৃত্যুর সংবাদ শুনে কান্নাজড়িত কণ্ঠে আশীষ ভদ্র বলেন, অনেকদিন তার সাথে খেলেছি, ৮২ সালে ভারতে এশিয়াডে সে সময়ের আমাদের চাইতে এগিয়ে থাকা মালয়েশিয়াকে আমরা ২-১ গোলে হারিয়েছিলাম। তাতে প্রথম গোলটি ছিল আমার আর জয়সূচক গোলটি এসেছিল বাদল রায়ের পা থেকে।

দুর্দান্ত ফুটবলার ছিলেন তিনি, কোন অন্ধ অহমিকায় আচ্ছন্ন হতে দেখিনি তাকে। স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে আশীষ ভদ্র যোগ করেন, জাতীয় দলের ক্যাম্পেই তার সাথে আমার পরিচয়। জুনিয়র হিসাবে শুরু থেকেই তার সহযোগিতা পেয়েছি। অত্যন্ত বিনয়ী মানুষ ছিলেন তিনি। তিনি চট্টগ্রামে (কেকেআরসি) খেলতে এসেছিলেন আমারই অনুরোধে। মনে আছে, ঢাকা মোহামেডানের খারাপ সময়ে তিনি চুক্তিবদ্ধ হয়েও চট্টগ্রাম লিগে একটি ম্যাচ খেলার পর আর আসেননি। খেলতে না পারায় তিনি চুক্তির পুরো টাকাটাই ফেরত দিয়েছিলেন।

আশীষ ভদ্র আরও বলেন, আমি আবাহনীতে যেমন ক্যারিয়ারের প্রায় পুরোটা কাটিয়েছি তেমনি বাদল রায় কাটিয়েছেন মোহামেডানে। তবে ১৯৮৪ সালে যখন বাদল রায়ের সাথে আমি মোহামেডানে খেলি তখন দিল্লিতে একটি টুর্নামেন্টে আমরা একসাথে অতিথি ফুটবলার হিসাবে আবাহনীতে খেলেছিলাম। ভারতে সেই টুর্নামেন্টে আমরা সেমিফাইনালে খেলেছিলাম। তার মত একজন ফুটবলার এই প্রজন্ম কখনোই পাবে না। অহমিকাশূন্য, নেতৃত্বে অবিচল একজন সাথীকে হারিয়ে বেদনাভরা কণ্ঠেই বলছি, যেখানেই থাকুন ভালো থাকুন বাদলদা।

পূর্বকোণ/এএ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট