চট্টগ্রাম শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪

মুজিব শতবর্ষ টুর্নামেন্ট শুরু ৯ অক্টোবর

হুমায়ুন কবির কিরণ

১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২০ | ২:৪২ অপরাহ্ণ

লম্বা সময় পর ফুটবল উন্মাদনার জন্য প্রস্তুত হচ্ছে চট্টগ্রাম। মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে ৯ অক্টোবর থেকে শুরু হতে যাওয়া ফুটবল আসর নিয়ে এম এ আজিজ স্টেডিয়ামে পুরোদমে চলছে মাঠ প্রস্তুতির কাজ। ওদিকে আয়োজকরা ব্যস্ত দল সাজাতে। এ নিয়ে দফায় দফায় চলছে বৈঠক। যার দেখভালের অগ্রভাগে রয়েছেন চট্টগ্রাম জেলা ক্রীড়া সংস্থা (সিজেকেএস)’র সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন।
১০ থেকে ১৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চলে খেলোয়াড় নিবন্ধন। জাতীয় পরিচয়পত্র মোতাবেক চট্টগ্রাম জেলার ১৫ উপজেলা ও মেট্টোপলিটন এলাকায় যে সকল ফুটবল খেলোয়াড় জাতীয় ফুটবল দল, বি লীগ, বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়ন্স লীগ, চট্টগ্রাম প্রিমিয়ার ও প্রথম বিভাগ লীগে অংশগ্রহণ করেন, এমন প্রায় ১৭০ জন ফুটবলার নিবন্ধন করেছেন। এই সংখ্যায় আবার বিপাকে পড়েছেন আয়োজকরা। কারণ, চারটি দলের জন্য খেলোয়াড় লাগবে ৯২ জন। প্রায় অর্ধেকেরও বেশি নিবন্ধন হওয়ায় আয়োজকরা দল সংখ্যা বাড়ানোর ব্যাপারে চিন্তা করছেন। তবে বিশ্বস্ত একটি সূত্র জানায়, দল সংখ্যা শেষ পর্যন্ত বাড়ার সম্ভাবনা কম। সিজেকেএস সাধারণ সম্পাদক অবশ্য বললেন, যদি সবকিছু ঠিকঠাক থাকে, যদি সবক’টি দলই পরিপূর্ণ সক্ষমতায় গঠন করা যায় তাহলে দল সংখ্যা বাড়তেও পারে। এ নিয়ে আলোচনা করেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় সিজেকেএস কনফারেন্স রুমে চারটি দলের সম্ভাব্য কোচদের সাথে আয়োজকদের বৈঠক হয়। তাতে কোচদের হাতে ফুটবলারদের তালিকা তুলে দেওয়া হয় বলে জানান টুর্নামেন্টের সমন্বকারী মো. শাহজাহান। সম্ভাব্য সেরা চারটি দল গঠনে ১৭০ জন নিবন্ধিত ফুটবলার থেকে সেরা ৯২ জন বেছে নেবেন কোচরা।

পরে কথা হয় সিজেকেএস সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীনের সাথে। তিনি বলেন, প্রায় ২০ লাখ টাকা বাজেটের এই টুর্নামেন্ট জাঁকজমকপূর্ণ ভাবেই করতে চায় সংস্থাটি। সংস্থার নিজস্ব অর্থায়নের এই টুর্নামেন্টে সর্বোচ্চ গ্রেডের ফুটবলার সম্মানী ভাতা পেতে পারেন ১৫ হাজার টাকা, গ্রেড মোতাবেক যা ক্রমশ কমে ১২ হাজার ও ১১ হাজার পর্যন্ত হতে পারে। প্রধান কোচ ও সহকারী কোচরা ভাতা পাবেন ১০ হাজার করে। সম্মানী ভাতার অংকটা মুখ্য নয়, সিজেকেএস সাধারণ সম্পাদক জানালেন, করোনার এই পরিস্থিতিতে নিথর হয়ে পড়া খেলাধুলাকে চাঙ্গা করতে এবং ফুটবলারদের মাঠে ফিরিয়ে আনার চেষ্টার অংশ হিসাবেই এই আয়োজন।

দীর্ঘদিন নিথর হয়ে পড়ে থাকায় এম আজিজ স্টেডিয়ামে প্রাণ মানে মাঠে ঘাসের আকৃতি লম্বায় যথেষ্ট বেড়েছে। একটু বিনোদনের জন্য যে কারও মন চাইবে লম্বা ঘাসের আশপাশে হেঁটে বেড়াতে। তবে একটি টুর্নামেন্ট যখন সামনে আয়োজকরা নেমে পড়েছেন মাঠেও। ঘাস কাটা থেকে শুরু করে ফুটবল খেলার উপযোগী করে তুলতে চলছে জোর প্রস্তুতি। আ জ ম নাছির উদ্দীন জানালেন, যথাসময়ে মাঠ প্রস্তুত হয়ে যাবে। করোনার এই মহামারীতে নতুন কোন সংকট সৃষ্টি না হলে যথাসময়ে মানে ৯ অক্টোবর থেকেই চার দলের লীগ ভিত্তিক টুর্নামেন্টটি শুরু হবে। টুর্নামেন্টে চারটি দল লীগ পদ্ধতিতে একে অপরের বিরুদ্ধে খেলবে। পয়েন্ট তালিকায় শীর্ষ দুটি দল খেলবে ফাইনালে।

পূর্বকোণ/এএ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট