চট্টগ্রাম বৃহষ্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

স্বাস্থ্যবিধি মেনে খেলাধুলা শুরুর কথা ভাবছে জেলা ক্রীড়া সংস্থা

দেবাশীষ বড়ুয়া দেবু

১৯ আগস্ট, ২০২০ | ১:২০ অপরাহ্ণ

সরকারের ঘোষণার সাথে সীমিত আকারে খেলাধুলা আয়োজনের ব্যাপারে মোটামুটি বেশ আগ্রহী মনে হচ্ছে চট্টগ্রাম জেলা ক্রীড়া সংস্থাকে। বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, ঘোষণা অনুযায়ী ১০ ধরণের স্বাস্থ্যবিধি মেনে কাজ করবে এই সংস্থা। এ জন্য সংস্থার কর্মকর্তারা ইনডোর গেমসের উপর জোর দিতে চাইছেন। এছাড়া ইতোমধ্যে আগামী মাস অর্থাৎ সেপ্টেম্বর থেকে সাঁতার প্রশিক্ষণ কার্যক্রম শুরু করার চিন্তাভাবনা করছে জেলা ক্রীড়া সংস্থা। পাশাপাশি প্রতিযোগিতা করার পরিকল্পনাও নেয়া হচ্ছে।কিন্তু ইনডোর গেমস’র আয়োজন করতে গিয়ে বেশ সমস্যায় পড়তে হচ্ছে জেলা ক্রীড়া সংস্থাকে। কেননা জিমন্যাসিয়াম আপাতত খালি নাই। চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সেখানে নির্বাচনী সরঞ্জামে অধিকাংশ জায়গা জুড়ে রয়েছে। এই অবস্থায় সেখানে খেলাধুলা আয়োজনে বিঘ্ন ঘটবে। এ কারণে ঐসব সরঞ্জাম না সরালে কোনভাবেই খেলাধুলা আয়োজন সম্ভব নয়। তবে এ ব্যাপারে দিন কয়েক আগে নির্বাচন কমিশন বরাবরে চিঠি দেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। এছাড়া সদ্য বিদায়ী মেয়র এবং জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দিনের সাথে নির্বাচন কমিশন কর্মকর্তাদের টেলিফোনে কথাও হয়েছে বলে জানা যায়। সেই কথার সূত্র ধরেই পাঠানো হয়েছে চিঠি। উল্লেখ্য, গত মার্চে র্সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। এখন সেটা এ বছরের শেষের দিকে হতে পারে। এরই মাছে স্বদিচ্ছা থাকলে বেশ কিছু ইনডোর গেমসের আয়োজন করতে পারবে জেলা ক্রীড়া সংস্থা।
স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত আকারে কি কি খেলাধুলার আয়োজন করা যায় সেটা অবশ্য এখনো ভাবেনি জেলা ক্রীড়া সংস্থা। তবে, এ মুহূর্তে ফুটবল বা ক্রিকেট নিয়ে হয়তো ভাবছেনা সংস্থার কর্মকর্তারা। অথচ গত ১৬ মার্চ থেকে ফুটবল দিয়েই বন্ধ হয়েছিল চট্টগ্রামের খেলাধুলা। যে কারণেই হোক, প্রিমিয়ারে ১০ এবং প্রথম বিভাগে ৯ অর্থাৎ মোট ১৯ দলকে ডেকে অন্ততঃ এ মুহূর্তে ফুটবল শুরু করার কোন সুযোগ নেই। এর পেছনে যথেষ্ট সঙ্গত কারণও রয়েছে। এই ১৯টি দলের প্রায় ৪শত ফুটবলার সারাদেশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। তাদের একত্রিত করে খেলাধুলা শুরু করা বেশ কঠিন হয়ে দাঁড়াতে পারে। এছাড়া ক্রিকেটও শুরু করা যাবে না। কারণ এখন বর্ষার মৌসুম চলছে।
এই অবস্থায় বডি কন্ট্রাক্ট ছাড়া আয়োজন করতে পারা ইনডোর গেমস’র মধ্যে রয়েছে, ক্যারম, টেবিল টেনিস, ভলিবল, আরচ্যারি, দাবা, বডিবিল্ডিং ও ব্যাডমিন্টন ইত্যাদি।
এখানে আরো একটি কথা থেকেই যায়। গত ডিসেম্বরে জেলা ক্রীড়া সংস্থার ৪ বছর মেয়াদি নতুন কমিটি এলেও এখনো সাব কমিটি গঠন করা হয়নি। খেলা শুরু করতে চাইলে পুরানো কমিটিকেই খেলা শুরু করতে হবে।
উল্লেখ্য, করোনাভাইরাসের কারণে গত ১৬ মার্চ থেকে সারাদেশে সকল ধরণের খেলাধুলা বন্ধ রয়েছে। কিছুদিন আগে ঢাকায় যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের এক সভায় সীমিত আকারে খেলাধুলা আয়োজনের ব্যাপারে অনুমতি দেয়া হয়েছে। তবে, কঠিনভাবে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের দেয়া ১০টি শর্ত এতে জুড়ে দেয়া হয়েছে।
শর্তের মধ্যে রয়েছে খেলা শুরুর আগে খেলার পূর্বে মাঠ জীবাণুমুক্ত এবং মাস্ক, গ্লাভস, হ্যান্ডস্যানিটাইজার ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। মাঠে ঢোকার আগে নন-কন্ট্যাক্ট ইনফ্রারেড থার্মোমিটার দিয়ে পরীক্ষা করতে হবে। যাদের শরীরের তাপমাত্রা ৯৮.৪ ফারেনহাইটের বেশি হবে, তাদের মাঠে ঢোকানো যাবে না। দর্শকদের এক মিটারেরও বেশি দূরত্বে বসা এবং পাশাপাশি দুইজন দর্শকদের মাঝে এক সিট খালি রাখাটা বাধ্যতামুলক করতে হবে।

পূর্বকোণ/এএ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট