চট্টগ্রাম শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

খেলা শুরু হলে বেকায়দায় পড়তে পারে সিজেকেএস

ক্রীড়াঙ্গনে বার্ষিক কোন সূচি নাই

খেলা শুরু হলে বেকায়দায় পড়তে পারে সিজেকেএস

দেবাশীষ বড়ুয়া দেবু

২৯ জুলাই, ২০২০ | ১:৫৫ অপরাহ্ণ

অনেক বছরতো হয়ে গেল, কিন্তু চট্টগ্রামের অভিভাবক ক্রীড়া সংগঠন জেলা ক্রীড়া সংস্থা এখনো কোন কাঠামোর মধ্যে ঢুকতে পারেনি। এই সংস্থার বার্ষিক কোন সূচি নেই, যাকে আধুনিক ভাষায় ‘ক্যালেন্ডার’ বলা হয়। এই ক্যালেন্ডারে উল্লেখ থাকে বছরের শুরু জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত কোন মাসে কি কি খেলা হবে।

একটা সময় নিশ্চয় আসবে যে চট্টগ্রামে খেলাধূলা আবারো মাঠে গড়াবে। সেটা হতে পারে, আগামী অক্টোবর বা নভেম্বর কিংবা তারও পরে। কিন্তু প্রশ্ন উঠেছে, তখন কোন ইভেন্ট দিয়ে খেলা শুরু হবে। যে ইভেন্ট দিয়ে খেলা বন্ধ হয়েছে তা দিয়ে নাকি, অন্য কোন ইভেন্ট দিয়ে। অভিজ্ঞ মহলের ধারণা এ নিয়ে বেকায়দায় পড়তে পারে চট্টগ্রাম জেলা ক্রীড়া সংস্থা (সিজেকেএস)। গত মার্চ মাসের ১৫ তারিখ থেকে চট্টগ্রামের খেলাধূলা বন্ধ রয়েছে। তার আগে প্রিমিয়ার ও প্রথম বিভাগ ফুটবল লিগের খেলা চলছিলো। এখন প্রশ্ন উঠেছে সেই অসমাপ্ত লিগ দিয়েই কী ফের খেলা মাঠে গড়াবে।

কেন জানি চট্টগ্রামে ফুটবলের উপরই আঘাতটা সবচেয়ে বেশি আসে। ৮০/৯০ দশকে ৩/৪ বছর পরপর ফুটবল লিগের খেলা হতো। বড় দলগুলোর দাপটে লিগ বন্ধ হয়ে যেতো। ক্লাবগুলোর কাছে কর্মকর্তারা জিম্মি ছিল। অবশ্য ক্লাব কর্মকর্তারাই কমিটির বড় বড় পদে আসীন থাকতেন। ইচ্ছে মতো করা হতো খেলার ফিকশ্চার, উদ্বোধনী ম্যাচের পর আমি কার সাথে পরের ম্যাচ, কার সাথে শেষ ম্যাচ খেলবো, সবই ওনারাই ঠিক করতেন। নিয়মনীতির তোয়াক্কা করা হতো না। তার উপর ছিল পাতানো খেলার মহাযজ্ঞ। অবশ্য বর্তমানে অনিয়ম অনেকাংশে কমে গেছে।

জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দিনের উপস্থিতিতে কোন এক সংবাদ সম্মেলনে ফিকশ্চারের অনিয়ম নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিন কঠোরভাবে সেটা দুর করার আশ্বাস দেন এবং সেই থেকে আজ পর্যন্ত ফিকশ্চারে কোন হেরফের হয়নি। তবে পাতানো খেলাটা বন্ধ করা যায়নি।প্রত্যেক বছর জেলা ক্রীড়া সংস্থার উদ্যোগে ২৫ থেকে ২৬টি ইভেন্টের খেলা অনুষ্ঠিত হয়। কিন্তু কখন কি হবে তার কোন ইয়ত্তা নাই। দেখা গেল, কেউ স্পন্সর পেল, তখনই তার ইভেন্ট শুরু হয়। ঠিক এ কারণে চট্টগ্রামে বৃষ্টির মধ্যেও অদ্ভূদ নিয়মে ক্রিকেট লিগের খেলা হয়েছে। কখন কি খেলা হবে তা আগে থেকেই ঠিক করা থাকবে এবং খেলা শেষ করার জন্য একটা নিদিষ্ট সময় বেধে দেয়া হবে। সেই ইভেন্টের কমিটির কর্মকর্তারা এ জন্য আগে থেকেই সজাগ থাকবেন। স্পন্সর সংগ্রহ থেকে শুরু করে দলগুলোকেও মাঠে নামার ব্যাপারে আগে থেকেই তাগিদ দিতে পারবেন। ক্যালেন্ডারটা হতে পারে এ রকম, এই যেমন চট্টগ্রামে জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত ক্রিকেট, এপ্রিল থেকে জুন পর্যন্ত ফুটবল, জুলাইতে রাগবী, আরচ্যারী ও হকি, আগস্টে ভলিবল, কাবাডি ও টেবিল টেনিস, সেপ্টেম্বরে বাস্কেটবল, চুকবল ও ক্যারম, অক্টোবরে সেপাক টাকরো ও দাবা, নভেম্বরে জুডো কারাতে ও বডিবিল্ডিং এবং ডিসেম্বরে সাঁতার, ব্যাডমিন্টন ও এথলেটিক্স ইত্যাদি।
পূর্বকোণ/এএ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট