চট্টগ্রাম শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

‘কোচিং ও রেফারিং’ দুটোকে নিয়েই এগুতে চান জয়া

৮ এপ্রিল, ২০২০ | ৩:২৯ পূর্বাহ্ণ

মরণব্যাধী করোনাভাইরাসের কারণে পুরো বিশ্বই স্থবির হয়ে আছে। এমন থমথমে অবস্থায় ব্যক্তিগত চিন্তা-ভাবনা, চ্যালেঞ্জ ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কথা জানিয়েছেন জাতীয় নারী ফুটবলের দলের সাবেক ফুটবলার ও ফিফার স্বীকৃত রেফারি জয়া চাকমা। তিনি বাংলাদেশের প্রথম ফিফা স্বীকৃত রেফারি। আন্তর্জাতিক ও ঘরোয়া টুর্নামেন্টে ম্যাচ কাভার করার পাশাপাশি একজন কোচও তিনি। দেশের সবচেয়ে বড় ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বিকেএসপিতে কোচিং পেশায় আছেন রাঙামাটির সন্তান। কোচিংয়ে নামও কুড়িয়েছেন ইতোমধ্যে। ভারতে সুব্রত কাপে তার কোচিংয়ে টানা তৃতীয়বার চ্যাম্পিয়ন হয়েছে বিকেএসপি। তার ক্যারিয়ার ভাবনা, দেশের ফুটবল, ফুটবলে মেয়েদের ভূত-ভবিষ্যতসহ নানান প্রসঙ্গই উঠে এসেছে তার বক্তব্যে । তিনি এখন বিকেএসপিতেই রয়েছেন। বিকেল বেলা মাঠে যান। একদিন পর পর কন্ডিশনিং ট্রেনিং করছেন। সপ্তাহে তিনদিন এন্ডুরেন্স আর দুইদিন নিজের ট্রেনিং করেন। এখন ব্যাসিক কাজগুলো করছেন। ব্যাসিক এন্ডুরেন্সে ৬ থেকে সাড়ে ছয় হাজার মিটার তাকে দৌড়াতে হচ্ছে। ৩৭-৩৮ মিনিটের মধ্যে শেষ করার চেষ্টা করছেন। তিনি ২০১২ সালে যখন জাতীয় দল থেকে বাদ পড়েন, তখন একটু মন খারাপ ছিল। ভেবেছিলেন ফুটবলই ছেড়ে দেবেন। তখন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ছিলেন। ২০০৯-১০ সেশনে থার্ড ইয়ারে পড়তেন। তখন হাঠাৎ করেই চিন্তা আসে রেফারিং করা।ে সুযোগ পেয়েই ২০১০ সালে শ্রীলঙ্কায় রেফারিংয়ের উপর একটা কোর্স করেন। শ্রীলঙ্কায় যাওয়ার পর তিনি দেখেন ফিফা রেফারিদের সবাই বিশেষ সম্মান দিচ্ছিলো। এদিকে বাংলাদেশের থেকে কোনো মেয়ের ফিফা রেফারি হওয়ার রেকর্ড নেই। সেটা দেখে ভাবলেন যদি রেফারি হন তাহলে ফিফার রেফারি হবেন। ফুটবলেই থাকবেন। কিন্তু ২০১৭ ও ২০১৮ সালে ফিফা রেফারি হওয়ার জন্য দু-দ্বুার পরীক্ষা দিয়ে, দু-বারই ব্যর্থ হন। কিন্তু একটুও বিচলিত না হয়ে তৃতীয়বারে পাস করেন। ২০১২ সালে বঙ্গমাতা ফুটবল টুর্নামেন্টে প্রথমবার মতো রেফারিং শুরু করেছিলেন জয়া। ওই ম্যাচগুলোতে ম্যাচ কমিশনাররা তার প্রশংসা করেছেন। এগুলো তাকে আরো অনুপ্রাণিত করেছে। ২০১৫ সালে নেপাল ও বার্লিনে ফেডারেশন তাকে পাঠানো হয়। সেগুলো তাকে আরো বেশি মোটিভেট করেছে। তিনি একদিকে রেফারি অন্যদিকে কোচও। তিনি যখন বাইরে ম্যাচ কাভার করতে যান, তখন ম্যাচগুলো পর্যবেক্ষণ করেন। প্রত্যেকটা দলের স্ট্র্যাটেজি বা প্রত্যেকটা দল কিভাবে খেলে সেগুলো পর্যবেক্ষণ করার সুযোগ হয় মাঠে থেকে। এগুলা কাজে লাগে রেফারিং আর কোচিংয়ে। তিনি বিকেএসপির কোচ হওয়ার পর দিল্লীতে সুব্রত কাপে অংশ নিয়েছিলেন। প্রথমবার চ্যাম্পিয়ন হন। দ্বিতীয়বারেও শিরোপা জেতেন। এরপর সুব্রত কাপের ডায়মন্ড জুবিলিতেও চ্যাম্পিয়ন হয় বিকেএসপি। টানা তিনবার চ্যাম্পিয়ন হওয়াটা আত্মবিশ্বাস বাড়িয়েছে অনেক। এছাড়া কোচ হিসেবে তার এএফসির বি লাইসেন্স করা আছে এখন। ভাবছেন ‘এ’ লাইসেন্সটা বাইরে থেকে করবেন।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট