এলিসা হিলি নিজেই তার নাম ছড়িয়ে দিয়েছেন ক্রিকেট বিশ্বে। তাকে চেনানোর জন্য ইয়ান হিলির ভাতিজি কিংবা মিচেল স্টার্কের স্ত্রী পরিচয় দেওয়ার প্রয়োজন পড়ে না। মেয়েদের ক্রিকেটে ওপরের সারিতেই থাকবেন ২৯ বছর বয়সী ব্যাটার-উইকেটকিপার। চলমান নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ার ফাইনালে ওঠার পথেও হিলির অবদান অনেক। এবার মেলবোর্নের ফাইনালে নিজেকে মেলে ধরার পালা। গুরুত্বপূর্ণ এই ম্যাচে তাকে সামনে থেকে সমর্থন দিতে দক্ষিণ আফ্রিকায় খেলা ছেড়ে উড়ে যাচ্ছেন স্টার্ক। এরন ফিঞ্চদের দক্ষিণ আফ্রিকা সফর শেষ হয়নি এখনও। আজ ওয়ানডে সিরিজের শেষ ম্যাচ খেলতে নামবে অস্ট্রেলিয়া। যদিও সিরিজ শেষের আগেই গতকালই অস্ট্রেলিয়া পৌছান স্টার্ক। কাল মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে স্ত্রী হিলির খেলা দেখতে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি।

মেয়েদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে চারবারের চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়া লড়বে ভারতের সঙ্গে। দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ এরই মধ্যে ২-০ ব্যবধানে হেরে বসে আছে। পচেফস্ট্রুমের শেষ ম্যাচটি ফিঞ্চদের হোয়াইটওয়াশ ঠেকানোর। তবু স্টার্ককে দেশে ফেরার অনুমতি দিয়েছে অস্ট্রেলিয়ান টিম ম্যানেজমেন্ট। কোচ জাস্টিন ল্যাঙ্গার জানিয়েছেন, দেশে ফিরে স্ত্রীর বিশ্বকাপ ফাইনাল দেখাটা স্টার্ককে আরও সতেজ করবে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের আগে। বিষয়টিকে ইতিবাচকই দেখছেন ল্যাঙ্গার, ‘দেশের মাটিতে বিশ্বকাপ ফাইনাল ম্যাচে এলিসা হিলির খেলা দেখা মিচেলের জন্য জীবনের সেরা সুযোগ। তাই আমরা খুশি মনে তাকে অনুমতি দিয়েছি দেশে ফেরার এবং তার স্ত্রীকে সমর্থন দিয়ে দারুণ এই মুহূর্তের সঙ্গী হওয়ার।’ অস্ট্রেলিয়ান সামার থেকে টানা খেলছেন স্টার্ক। ধকল কাটিয়ে উঠতে এটি বড় ভূমিকা রাখবে বলে মনে করেন অস্ট্রেলিয়ান কোচ, ‘এবারের গ্রীষ্ম থেকে টানা খেলে চলেছে স্টার্ক। ওর কয়েকদিন আগে দেশে ফেরা মানে হলো সে ঘরের মাঠ ও এওয়ে ওয়ানডে সিরিজ এবং নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজে আগে নিজেকে চাঙা করার সুযোগ পেলো।’

দক্ষিণ আফ্রিকায় খেলা দুই ওয়ানডেতে খুব একটা ভালো সময় যায়নি স্টার্কের। প্রথম ম্যাচে ৫৩ রান দিয়ে পেয়েছেন ১ উইকেট, দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ৫৯ রানে শিকার ২ উইকেট। আর তার স্ত্রী হিলি খারাপ সময় কাটিয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ফিরেছেন চেনা ছন্দে। ভারতের বিপক্ষে ৫১ রানের পর বাংলাদেশের বিপক্ষে খেলেন ৮৩ রানের ঝড়ো ইনিংস।