চট্টগ্রাম বৃহষ্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪

বাধা হয়ে দাড়াতে পারে শতদল ও কল্লোল

প্রিমিয়ারে উঠতে চায় নওজোয়ান ক্লাব

দেবাশীষ বড়–য়া দেবু

১ মার্চ, ২০২০ | ১:৫৭ পূর্বাহ্ণ

পাতানো খেলাকে ‘ঘৃনা’ করা একটি ক্লাবের নাম আগ্রাবাদ নওজোয়ান ক্লাব। ঠিক ৩ বছর আগে প্রিমিয়ার ফুটবল লিগের নিজস্ব শেষ খেলায় মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কাছ থেকে ১ পয়েন্ট পেলেই রেলিগেশন থেকে বেঁচে যেতো আগ্রাবাদের দলটি। কিন্তু ঐ যে ‘ঘৃনা’-র কারণেই দলটি কোন সমঝোতার আশ্রয় না নিলে রেলিগেটেড হয়ে প্রথম বিভাগে অবনমিত হয়। এরপর থেকে ৩ বছর ধরেই দলটিকে আবারো প্রিমিয়ারে ওঠানোর চেষ্টায় রয়েছে নওজোয়ান ক্লাব। প্রত্যেকবার ভাল দল গড়েও কেন জানি দলটি সফলতা পায়নি।
এবারেও দলটি বেশ কোমড় বেধেই মাঠে নেমেছে। দল-বদলে বিভিন্ন দল থেকে ভাল মানের ফুটবলার সংগ্রহের পাশাপাশি নিজের পুরানোদের মধ্যে ভালদের দলে রেখে দিয়েছে। এছাড়া পুরানো সকল কোচকে বাদ দিয়ে এবারে বাফুফের লাইসেন্স প্রাপ্ত কোচ মো. সামশুদ্দিনকে দলে টেনেছে নওজোয়ান ক্লাব। এই কোচের কথা একটু না বললেই নয়। খেলোয়াড়ী জীবনে একজন সফল ফুটবলার ছিলেন। মধ্যমাঠের তুখোড় এই ফুটবলার খেলা ছেড়ে হয়েছেন কোচ। আরো মজার ব্যাপার হচ্ছে, ১৯৮২ সালে এই নওজোয়ান ক্লাব দিয়েই প্রথম বিভাগ ফুটবলে পদচারণা শুরু করেছিলেন শামসু। ৩৮ বছর পর এসে সেই ক্লাবেরই কোচ তিনি হয়েছেন। ঠিক সে কারণেই তিনি বিষয়টিকে বেশ সিরিয়াসলি নিয়েছেন। তবে কেন জানি তাকে দল নিয়ে খুব একটা আশাবাদী হতে দেখা যায়নি। কারণ এখনো পর্যন্ত স্ট্রাইকিং পজিশন নিয়ে তিনি বেশ উদ্বিগ্ন। কিপার নিয়েও দূর্বলতার কথা বলেছেন। তবে এ পজিশনে খেলোয়াড় খোজা হচ্ছে। পেয়ে যাওয়ার ব্যাপারেও বেশ আশাবাদী। দল-গঠন এবং গত ১৭ ফেব্রুয়ারী থেকে অনুশীলন শুরু করার পর এ পর্যন্ত ২টি ম্যাচ খেলে প্রথমটিতে সিটি কর্পোরেশনের সাথে ০-০ ড্র করলেও অপর ম্যাচে বন্দর ক্রীড়া সমিতির কাছে ৩-১ গোলে হার মানে। এতেই তিনি স্ট্রাইকার ও কিপার নিয়ে সমস্যা দেখেছেন। তার দলের খেলোয়াড়দের মধ্যে রয়েছেন, কিপার- রিয়াদ (পুরানো) এবং শুভ ও রাজ (দুজনেই নতুন), রাইট ব্যাক- বাবু ও নাজমুল (দুজনেই নতুন), লেফট ব্যাক- রামিম (পুরানো) ও ফারুক (নতুন) , স্টপার- মালেক ও লিটন (দুজনেই নতুন) এবং কাউসার ও মুন্না (দুজনেই পুরানো), মধ্যমাঠ- ইন্দ্রজিত, পিয়াস, মামুন ও ইব্রাহীম (৪জনই পুরানো) এবং রাজীব ও নাঈম (দুজনেই নতুন), রাইট উইঙ্গার- আরিফ (পুরানো) ও তাইবু (নতুন), স্ট্রাইকার- রিয়াদ (পুরানো) এবং খোরশেদ ও কামরুল (দুজনেই নতুন) এবং লেফট উইঙ্গার- আমিন ফারুক (পুরানো)। এদের নিয়ে প্রত্যহ সকালে বিডিআর মাঠে অনুশীলনে নেমে পড়েন কোচ শামসু। অনুশীলনে মুলত ফিটনেসের উপরেই বেশি জোর দিচ্ছেন। এছাড়া স্ট্রাইকারদের নিয়েও আলাদা ভাবে তিনি কাজ করছেন। এতে গোলকিপিং কোচ হিসেবে শামসুকে সহায়তা করছেন সাবেক কিপার মিরাজ। দলে কিছুটা অপূর্ণতা থাকলেও এবারের লিগে তিনি ভাল কিছু করতে চান। এ জন্য তাকে অবশ্য বেশ কঠিন পথ পাড়ি দিতে হবে। কেননা প্রিমিয়ারে ওঠার লড়াইয়ে নওজোয়ান ক্লাবের সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রয়েছে সদ্য রেলিগেটেড হওয়া স্টেডিয়াম পাড়ার শতদল ক্লাব ও কদমতলী এলাকার নবউদ্যমে রুপ নেয়া কল্লোল সংঘ। এ দুুটি দলকে কিভাবে টপকে যাবেন সেটাই হবে দেখার বিষয়। কেননা ঐ দুটি ক্লাবও বেশ ভাল দল গড়েছে বলে স্টেডিয়াম পাড়ায় আলোচনা হচ্ছে। আপাত: দৃষ্টিতে মনে হচ্ছে, নওজোয়ান, শতদল ক্লাব ও কল্লোল সংঘের মধ্যেই এবারের শিরোপা লড়াই সীমাবদ্ধ থাকবে। তবে কোচ শামসুর মতে এখনো অন্যদল সম্পর্কে কোন ধারণা নিতে পারছেন না। তিনি বলেন, আগে দলগুলোর খেলা দেখি। তারপর না হয় বলবো কাদেরকে প্রতিদ্বন্দ্বী ভাবছি।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট