চট্টগ্রাম বৃহষ্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪

সর্বশেষ:

আ জ ম নাছিরের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার

সিডিএফএ সভাপতি হলেন শহীদ

২০ ফেব্রুয়ারি, ২০২০ | ১:৫৩ পূর্বাহ্ণ

অবশেষে ‘সোনার হরিণ’-টা ধরেই ফেললেন এস এম শহীদুল ইসলাম। সেই অনেক অনেক দিন আগ থেকেই শোনা যাচ্ছিলো চট্টগ্রাম জেলা ফুটবল এসোসিয়েশন (সিডিএফএ) সভাপতি তিনি হতে যাচ্ছেন। কিন্তু একেবারে শেষদিকে এসে শোনা যায় অন্যজনের নাম। অবশ্য অন্য জনটা অন্য কেউ নন। স্বয়ং চট্টগ্রামের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন। সেক্ষেত্রে আর কিছুই বলার থাকে না। এদিকে ১৮ ফেব্রুয়ারী জেলা ফুটবল এসোসিয়েশনের নির্বাচনে মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহারের দিনে সভাপতির পদ থেকে আ জ ম নাছির নিজেকে সরিয়ে নিলে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়ে যান এস এম শহীদুল ইসলাম।

তিনি বেশ কয়েকবছর ধরে এই কমিটির সহ-সভাপতির পদে দায়িত্বরত ছিলেন। এদিকে বিশেষ একটি পক্ষ কোনভাবেই চাননি যে, এস এম শহীদুল ইসলাম ফুটবল এসোসিয়েশনের সভাপতি হোক। সমালোচনার ডালি নিয়ে বসে বিরোধী পক্ষ। মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহারের দিন সকালে আ জ ম নাছির সকলের সাথে বসে নিজেকে সরিয়ে নেবার ঘোষনা দিয়ে মিটিং স্থল ত্যাগ করেন। বিষয়টা বাইরে এক প্রকার জানাজানিও হয়ে যায়। উপরন্তু ঐ সভা শেষ করেই আ জ ম নাছির প্রেস ক্লাবে সাংবাদিকদের সাথে এক বৈঠকেও জেলা ফুটবল এসোসিয়েশনের পদ থেকে সরে দাড়ানোর কথা বলেন। কিন্তু ঐ বিরোধী পক্ষ তখনো নাছোরবান্দা। অনেক অনেক চেষ্টা করেও আ জ ম নাছিরকে তার সিদ্ধান্ত থেকে পাল্টানো যায়নি। এভাবে চেষ্টা করতে গিয়ে সকালের মনোনয়ন পত্র রাত ৯টার দিকে এসে প্রত্যাহার করতে হয়েছে। এতে করে আগামী ৪ বছরের জন্য এস এম শহীদুল ইসলাম চট্টগ্রাম জেলা ফুটবল এসোসিয়েশনের দায়িত্ব পালন করবেন।

উল্লেখ্য চট্টগ্রাম জেলা ক্রীড়া সংস্থার নির্বাচনে এস এম শহীদুল ইসলাম গত কয়েক মেয়াদে কখনো নির্বাচন করেননি। প্রায় প্রত্যেকবারই তাকে সিডিএফএ’র সভাপতি দেয়া হবে বলে কথা দিলেও শেষ পর্যন্ত তা আর হয়ে ওঠেনি ঐ বিরোধী পক্ষের কারণে। সিডিএফএ’র সহ-সভাপতি পদে (২টি) আগেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন, নজরুল ইসলাম লেদু ও মো.তাহের উল আলম চৌধুরী স্বপন। কোষাধ্যক্ষ পদেও বিনা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আবারো নির্বাচিত হয়েছেন মো. শাহজাহান। এছাড়া বিনা সদস্য প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন, আমিনুল ইসলাম, মো. ইউসুফ, প্রকৌশলী বিজয় কুমার চৌধুরী, শাহাদাত হোসেন, এরশাদ আলী খান ভূট্টো, কুতুব উদ্দিন চৌধুরী, আবদুল হান্নান মিরন, মো. ইসহাক ও কাজী মো. জসিম উদ্দীন।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট