চট্টগ্রাম বৃহষ্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

নিজ মাঠে হেরে গেলো আবাহনী

ঢাকা আরামবাগ ২- চট্টগ্রাম আবাহনী ১

নিজস্ব ক্রীড়া প্রতিবেদক

১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২০ | ৪:০৪ পূর্বাহ্ণ

শ’কয়েক সমর্থক গতকাল এম এ আজিজ স্টেডিয়ামের প্যাভেলিয়নে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম আবাহনীকে সমর্থন করতে। কিন্তু তাদের হতাশ হতে হয়েছে অপেক্ষাকৃত দূর্বল দল ঢাকা আরামবাগ ক্রীড়া সংঘের কাছে পরাজিত হয়ে। ৯০ মিনিটের ম্যাচে আগাগোড়া ভাল খেলেও বিপিএল ফুটবলে প্রথম পরাজয়ের স্বাদ পেল চট্টগ্রাম আবাহনী। অথচ ঢাকার মাঠে চট্টগ্রাম আবাহনীর শুরুটা ছিল অসাধারণ। এক সময়কার অন্যতম সেরা দল ঢাকার শেখ জামালকে ২-০ গোলে হারিয়ে শুরুটা করেছিল চট্টগ্রাম নীল আকাশী রংয়ের দলটি। কিন্তু গতকাল নিজেদের মাঠে কুপোকাৎ হতে হলো। এদিকে ঢাকা মোহামেডানের কাছে ১-০ গোলে পরাজয় দিয়ে এ লিগ শুরু করে আরামবাগ। গতকাল দলটি ভাল খেলে জিতেছে তা কিন্তু নয়। কেবল প্রাপ্ত সুযোগের স্বদব্যহার করে কৃতিত্বপূর্ণ এক জয় ছিনিয়ে নিয়েছে। দলের মিশরীয় ফুটবলার মোস্তাফা মাহামুদ ছিলেন আরামবাগের মধ্যমাঠের প্রাণভোমরা। যিনি বিশে^র অন্যতম সেরা স্ট্রাইকার সালাহ’র সাথে ৭/৮ বছর আগে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ^কাপে মিশর দলের হয়ে অংশ নেন। তার সাথে চট্টগ্রামের মাঠের সাথে অতি পরিচিত এলিটা কিংসলে’র যোগসাজশে চট্টগ্রাম আবাহনীকে কাপিঁয়ে দেয় আরামবাগ। খেলার ধারার বিরুদ্ধে ৩৭ মিনিটে গোল করে এগিয়ে যায় আরামবাগ। মধ্যমাঠ থেকে মিশরীয় মোস্তফা মাহামুদের নিখুঁতভাবে বাড়ানো বলে নাইজেরিয়ান এলিটা কিংসলে বক্সে ঢুকে প্লেসিং শটে গোল করেন (১-০)। অথচ এ গোলের আগে অন্তত নিশ্চিত ২টি সুযোগ থেকে গোল পায়নি স্বাগতিকরা। খেলার ৫ মিনিটে ফ্রিকিক থেকে আবাহনীর অধিনায়ক দিদিয়ের শট অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রস্ট হয়। ১১ মিনিটে আবারো বক্সের ভেতর থেকে আবাহনীর শাখাওয়াত হোসেন রনির শট সাইডবার ঘেষে বাইরে চলে যায়। ৩৭ মিনিটে আবাহনী গোল হজম করলেও ইনজুরি পিরিয়ডের প্রথম মিনিটেই সমতা আনতে সক্ষম হয়। এ সময় ডানদিকে ম্যাথু’র মাইনাসে পা ছুইয়ে বল জালে জড়ান চট্টগ্রাম আবাহনীর চট্টগ্রামের ছেলে শাখাওয়াত হোসেন রনি ( ১-১)। কিন্তু এ গোলের রেশ না কাটতেই লেফট ব্যাক রাসেলের অমার্জনীয় ব্যর্থতায় গোল করে আবারো এগিয়ে যায় আরামবাগ। এ সময় রাসেল কিপারকে ব্যাক পাস দিতে গেলে ভুল পাস হয়ে সেটা একেবারে ফাঁকায় দাড়ানো এলিটা কিংসলে পেয়ে যান। তিনি বল আয়ত্বে এনে সহজেই বল জালে জড়ান (২-১)। দ্বিতীয়ার্ধে আবাহনী একেচেটিয়া খেলেও সমতা আনতে ব্যর্থ হন। এ সময়ে আরামবাগের কিপার ও রক্ষভাগ বেশ দৃঢ়তার পরিচয় দেন। তবে আবাহনীর জন্য দূর্ভাগ্যও ছিল বটে।

বেশ কয়েকটি সুযোগ পেয়েও কাজে লাগাতে পারেনি। এর মাঝে ২০ মিনিটে কর্নার থেকে অধিনায়ক দিদিয়ের হেড ক্রসবারে লেগে ফেরত আসাটা ছিল একেবারে মন্দভাগ্যের কারণে। শেষ দিকেও ম্যাথু’র আরো একটি গোলের প্রচেষ্টা গোল হতে হতে কিপার ডান দিকে ঝাপিয়ে পড়ে রক্ষা করেন। খেলাটি পরিচালনা করেন ফিফা রেফারি জালাল উদ্দিন। চট্টগ্রাম আবাহনী পরের ম্যাচে আগামী ২ মার্চ ঢাকার মাঠে শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্র এবং আরামবাগ আগামী ২৩ ফেব্রুয়ারী পরের ম্যাচে মুক্তিযোদ্ধা সংসদের বিরুদ্ধে ঢাকায় মোকাবেলা করবে। আরামবাগ: শাওন, সুইট, এলিটা জুনিয়র, দিদার, কৃষ্ণ কুমার, মোস্তফা মাহামুদ (মাইকেল), এলিটা কিংসলে, ওমর ফারুক, সালাউদ্দিন, সাঈদি (কমল) ও মুরাদ (আরাফাত)। চট্টগ্রাম আবাহনী: নেহাল, রকি (নাসির), রাসেল, মানিক, রাকিব (রাব্বী), দিদিয়ে, ম্যাথু, রাজু (নিক্সন), শাখাওয়াত হোসেন রনি, মনির ও শুক্কর আলী।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট