চট্টগ্রাম মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

লাল বলে ফিরলেন মুস্তাফিজ-তাসকিন

চমক রাব্বি-হাসান নেই মাহমুদউল্লাহ

স্পোর্টস ডেস্ক

১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২০ | ৬:১১ পূর্বাহ্ণ

পাকিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ ও বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগের প্রথম রাউন্ডের ম্যাচে বল হাতে স্বরূপে উদ্ভাসিত হয়ে উঠতে পারেননি দেশসেরা পেসার মুস্তাফিজুর রহমান। ফলে রাওয়ালপিন্ডি টেস্টে তাকে দল থেকে বাদ দিয়েছিল বাংলাদেশ টিম ম্যানেজমেন্ট। আরেক পেসার তাসকিন আহমেদ সবশেষ সাদা পোশাকে খেলেছিলেন সেই ২০১৭ সালের অক্টোবরে, স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে। এরপর প্রায় দুই বছরের বেশি সময় চোট ও ফর্মহীনতায় থেকেছেন জাতীয় দলের বাইরে। অবশেষে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টেস্ট দিয়ে জাতীয় দলে ফিরলেন তিনি। তাসকিন ফিরেছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগে (বিসিএল) পারফর্ম করে। মুস্তাফিজুর রহমানও তাই। বিসিএলে দুই ম্যাচে তাসকিনের উইকেট সংখ্যা ১০টি। পাশাপাশি তার গতিময় বোলিংকেও বিবেচনায় রেখেছে টাইগার নির্বাচকম-লী। আর মোস্তাফিজুর রহমান দুই ম্যাচে উইকেট শিকার করেছেন ৬টি। ফলে তাকে দলে ফিরিয়েছে টাইগার ম্যানেজমেন্ট। শুধু মুস্তাফিজ

তাসকিনের ফেরাই নয়, পেসার আল-আমিন হোসেনকে আবার কেন বাদ দেওয়া হলো, রুবেল হোসেন আর সৌম্য সরকার কেন নেই, নবাগত ইয়াসির আলী চৌধুরী রাব্বি ও মাহমুদুল হাসানকেই বা কেন নেয়া হলো, এ নিয়ে ক্রিকেট পাড়ায় সরব আলোচনা।
প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদিন নান্নুর দাবি, এটাই সময়ের সম্ভাব্য সেরা দল। প্রধান নির্বাচক বলেন, ‘বর্তমান পরিবেশ ও প্রেক্ষাপটে আমার মনে হয়, সম্ভাব্য সেরা দলটিই নির্বাচন করেছি আমরা।’ নান্নুর দাবি দলটিতে অভিজ্ঞতা ও তারুণ্যের মিশেল ঘটানো হয়েছে। এ মুহূর্তে দেশের ক্রিকেটের অন্যতম অভিজ্ঞ পারফরমার মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ দলে নেই। তাকে কেন রাখা হয়নি? সৌম্য সরকার কি কারণে নেই? পেসার আল আমিন হোসেনকে না রাখার কারণই বা কি? সৌম্য সরকার বিয়ের পিঁড়িতে বসতে যাচ্ছেন এবং ২৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত তিনি ছুটিতে থাকার আবেদন করেছেন। সে আবেদন মঞ্জুর হয়েছে। আর আল আমিন হোসেনের পিঠে ব্যাথা। এই দু’জন জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে যে টেস্ট দলে থাকবেন না, সে খবর আগেই জানা। অফ ফর্মের কারণে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ বিবেচনায় নাও আসতে পারেন, এমন খবরও জানা গিয়েছিল আগেই। গতকাল দল ঘোষণার সাথে সাথে সেই তিন জনের দলে না থাকার কারণও ব্যাখ্যা করেছেন প্রধান নির্বাচক। তিনি স্বীকার করেছেন, ‘এটা দুঃখজনক যে, আমাদের কয়েকজন প্রায় নিয়মিত পারফরমারকে ছাড়াই দল সাজাতে হয়েছে।’ তবে নান্নু যোগ করেন, ‘সেটা দলের গঠন বিন্যাস এবং পারফরম্যান্সে ধারাবাহিকতা আনার স্বার্থেই আমাদের সে সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে।’ অভিজ্ঞ-পরিণত মাহমুদউল্লাহর দলে না থাকার কারণ জানাতে গিয়ে প্রধান নির্বাচক যা বলেছেন, তার ভাবার্থ হলো, আসলে রিয়াদের টেস্ট পারফরম্যান্স প্রত্যাশিত মানে পৌঁছাচ্ছে না। তার কাছ থেকে দল যা চায়, তাও মিলছে না। তাই তাকে বাইরে রাখা। সে কথাটি ঘুরিয়ে কূটনৈতিক ভাষায় ফুটে উঠেছে তার মুখ থেকে, ‘আমরা লাল বলে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে বিশ্রাম দিয়েছি। আমাদের মনে হয়েছে তার লাল বলে বিশ্রামের প্রয়োজন।’ আল আমিন ও রুবেল হোসেনের দলে না থাকার কারণ ব্যাখ্যা করে নান্নু বলেন, ‘আল আমিনের চোট রয়েছে। আর সবচেয়ে বড় কথা হলো, আমরা আল আমিনকে সীমিত ওভারের ফরম্যাটে বেশি করে চাই। তাই তাকে টেস্ট দলের বাইরে রাখা হয়েছে। যাতে সে ওয়ানডে আর টি-টোয়েন্টি সিরিজের আগে সুস্থ হয়ে উঠে দলে ফিরতে পারে।’ অন্যদিকে রুবেল হোসেনকেও ঠিক টেস্ট ‘ম্যাটেরিয়েল’ মনে হয় না নির্বাচকদের। তাই প্রধান নির্বাচকের মুখে এমন কথা, ‘আসলে রুবেল এই মুহূর্তে আমাদের লাল বলের পরিকল্পনায় নেই। তাই তাকে বিবেচনায় আনা হয়নি।’ আর সৌম্য সরকারের না থাকার কারণ তার বিয়ে। এ তথ্য জানিয়ে প্রধান নির্বাচক বলেন, ‘সৌম্য বিয়ের কারণে ছুটিতে। তাই তাকে নেয়ার প্রশ্নই আসে না।’ দুই তরুণ ইয়াসির আলী চৌধুরী আর পেসার হাসান মাহমুদকে নেয়ার কারণ জানতে চাওয়া হলে প্রধান নির্বাচকের ব্যাখ্যা, ‘আমাদের মনে হয়েছে যে, হাসান মাহমুদ আর ইয়াসির আলী চৌধুরীর মাঝে যথেষ্ট সম্ভাবনা ও প্রতিশ্রুতি আছে। তারা দু’জনই আমাদের ভবিষ্যত পরিকল্পনায় ছিল। আছেও। তাই তাদের একটু পরখ করে দেখার জন্য সুযোগ দেয়া হয়েছে।’

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট